উত্তরাপথঃ লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে জিডিপি প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের দাবি অনুযায়ী, ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিক অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। যা সাম্প্রতিক অতীতে সর্বাধিক। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে জিডিপি বৃদ্ধির (GDP Forecast) এই হার প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশাল মিডিয়ায় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। সরকারের নিজস্ব হিসেব ছিল ৭ শতাংশ, কিন্তু প্রকৃত চিত্র তার চেয়ে অনেক ভালো বলে প্রমাণিত হয়েছে। নির্বাচনের মৌসুমে অর্থনীতির এই সুদিনগুলো সরকারকে বড় ধরনের স্বস্তি দিতে পারে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুসারে বর্তমানে ভারতের অর্থনীতি সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। ভারত সারা বিশ্বে ১ নম্বরে রয়েছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতি অভূতপূর্ব দেখাচ্ছে। এর আগের গত ত্রৈমাসিকে প্রবৃদ্ধির হার রেকর্ড করা হয়েছিল ৭.৬ শতাংশ, অর্থাৎ এবার আগের চেয়ে অনেক গুণ ভালো প্রবৃদ্ধি ।
এখন এই দ্রুতগতির কথা বিবেচনা করে NAC তার অনুমানও সংশোধন করেছে। এর আগে বলা হয়েছিল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু এখন সেই সংখ্যা ৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট,”দেশের জিডিপি বৃদ্ধির এই বিরাট হার দেশের অর্থনীতির শক্তি এবং সম্ভাবনার প্রমাণ। দেশের ১৪০ কোটি মানুষ যাতে আরও ভালো জীবনযাপন করতে পারেন, এবং একটি বিকশিত ভারত যাতে তৈরি করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা আরও দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি করার চেষ্টা করব।” আসলে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে তুলে ধরতে চায়। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে গেলে এই হারেই বৃদ্ধির প্রয়োজন।
আরও পড়ুন
কতো অজানা রে
মৈত্রেয়ী চৌধুরী: ইতিহাস বিষয়ে আলোচনা করতে গেলেই আমাদের মনে যে সব সৌধের প্রসঙ্গ মনে আসে তারমধ্যে পার্লামেন্ট ভবন একটা অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান। বহু পর্যটক এই ভবন দেখতে যান. কিন্তু জানেন কি, এই পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন কে বানিয়েছিলেন ? 10 জনকে জিজ্ঞেস করলে 9 জনই বলতে পারবেন না। যাঁরা খুব ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন অথবা গুগুল সার্চ করে থাকেন, তাঁরা হয়তো উত্তরটা দিতে পারবেন। পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন বানিয়েছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি এডুইন লুটিয়েন। তাঁর সহকারী ছিলেন আরেক ব্রিটিশ স্থপতি হার্বার্ট বেকার। 1927 খ্রিস্টাব্দে এই ভবনটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয় এবং ব্রিটিশ .....বিস্তারিত পড়ুন
প্রয়াত "কালবেলা"-র স্রষ্টা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার
উত্তরাপথ: সাহিত্য একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রামণের কারনে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ১৯৪২ সালে উত্তরবঙ্গের গয়েরকাটায় জন্ম এই বিখ্যাত লেখকের।ষাটের দশকের গোড়ায় তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের বাংলা (সাম্মানিক) স্নাতক বিভাগে৷ এর পর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য .....বিস্তারিত পড়ুন
পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি'সিনেমাটির ভাগ্য সুপ্রিম কোর্টের হাতে
উত্তরাপথ: 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়ায় সিনেমাটির সিনেমার নির্মাতারা বাংলার নিষেধাজ্ঞাকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাদের দাবী ছিল নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রতিদিন তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে । নির্মাতাদের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আজ 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়ার পিছনে যুক্তি জানতে চেয়েছে । প্রধান বিচারপতির একটি বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে, যখন এটি কোনও সমস্যা ছাড়াই সারা দেশে চলছে।পশ্চিমবঙ্গের সিনেমাটি কেন নিষিদ্ধ করা উচিত? এটি একই রকম জনসংখ্যার সংমিশ্রণ রয়েছে এম .....বিস্তারিত পড়ুন
মানভূমে প্রচলিত রাত কহনি
ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাত: পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে (মানভূম ) সন্ধ্যার ঠিক কিছু পরেই ঠাকুমা , দিদিমা, পিসিমা , মাসিমারা ছোটদের নানা রূপকথা , উপকথা শোনায় যেগুলি ' রাত কহনি ' নামে পরিচিত।এরকম রাত কহনির দু একটি দৃষ্টান্ত দেওয়া যেতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন