অ্যাস্ট্রোস্কেল হোল্ডিংস ইনক (Astroscale Holdings Inc), একটি জাপানি স্পেস কোম্পানি, বিশ্বে প্রথম মহাকাশের ধ্বংসাবশেষের ক্লোজ-আপ ছবি সর্বসমক্ষে প্রকাশ করেছে । যা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণকারী আবর্জনা দ্বারা সৃষ্ট সমস্যাগুলি বোঝার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ৷ চিত্রে এই নির্দিষ্ট ধ্বংসাবশেষটি হল জাপানের H2A রকেটের দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ যা ২০০৯ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এই ধ্বংসাবশেষটি, ৪ মিটার ব্যাস এবং প্রায় ৩ টন ওজনের এবং এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ মিটার। Astroscale-এর ছবি ADRAS-এর দ্বারা বন্দী করা হয়েছিল প্রায় কয়েকশো মিটার দূরত্ব থেকে। পৃথিবীর প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উপরে উচ্চ গতিতে ধ্বংসাবশেষটিকে ভ্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে, অংশটিকে বাদামী নিরোধক উপাদানে মোড়ানো।
Astroscale, স্যাটেলাইট সার্ভিসিং-এ বিশেষজ্ঞ টোকিও ভিত্তিক একটি কোম্পানি, মহাকাশ ধ্বংসাবশেষ দ্বারা সৃষ্ট সমস্যাগুলিকে সমাধান করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টার একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হিসাবে চিত্রটিকে বর্ণনা করা হয়েছে।জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি নিশ্চিত করেছে যে নিরোধক উপাদানটি, প্রাথমিকভাবে কমলা রঙের ছিল, কক্ষপথে থাকাকালীন তীব্র অতিবেগুনী বিকিরণের দীর্ঘায়িত এক্সপোজারের কারণে একটি গাঢ় বাদামী ছায়ায় পরিবর্তিত হয়েছে।
এর মিশনের পরবর্তী পর্যায়ে, ADRAS-J ধ্বংসাবশেষের আরও কাছাকাছি চলে যাবে, কয়েক মিটারের মধ্যে এর ঘূর্ণন, ক্ষতির পরিমাণ এবং অবনতির মাত্রা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে। মহাকাশের ধ্বংসাবশেষ অপসারণের জরুরী প্রয়োজনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে কারণ পৃথিবী থেকে যেভাবে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক উপগ্রহ এবং রকেট মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে তাতে যে কোনও সময় সম্ভাব্য সংঘর্ষের বিষয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ্যাস্ট্রোস্কেল, ২০১৩ সালে জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন কর্মকর্তা নোবু ওকাদা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত,সংস্থার লক্ষ্য মহাকাশের ধ্বংসাবশেষ অপসারণের জন্য বাণিজ্যিক পরিষেবা প্রদান করা। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে একটি রোবোটিক হাত দিয়ে সজ্জিত একটি উপগ্রহ ব্যবহার করে মহাকাশের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা এবং নিরাপদে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তা পুড়িয়ে ফেলা।
আরও পড়ুন
ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার
উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে। কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে। যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে। অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়। এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে। এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন
NASA Carbon Emission: পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে
উত্তরাপথঃ কার্বন নির্গমন (NASA Carbon Emission) সম্পর্কে নাসার সর্বশেষ আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য এক সতর্কতা সংকেত। মহাকাশ সংস্থার মতে, পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে, যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। NASA এর এই আবিষ্কারটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে দেখা যেতে পারে, সেইসাথে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেছে।নাসার সর্বশেষ গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে পৃথিবীর মহাসাগর এবং ভূমি-ভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র আগের চেয়ে কম কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গত এক দশকে ভূমি এবং মহাসাগর দ্বারা শোষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৫% হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন
প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে
উত্তরাপথঃ হঠাৎ করেই একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে।২০২৩ এর ৩০ অক্টোবর প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি মৃত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত একটি নতুন দ্বীপের জন্ম দিয়েছে। বিস্ফোরণের পর জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপ চেইনের কাছে বিশাল বিশাল পাথরের টুকরো দেখা গেছে। এ বিষয়ে জাপানি গবেষক বলেন, গত মাসে প্রশান্ত মহাসাগর জলের নিচে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের পর টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ইওটো দ্বীপের কাছে একটি ছোট নতুন দ্বীপের উদ্ভব হয়েছে।টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ফুকাশি মায়েনো জানিয়েছেন যে নতুন দ্বীপ, এখনও যার নাম নেই প্রশান্ত মহাসাগরের ইওটো দ্বীপ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ১০০ মিটার ব্যাসের একটি পাথুরে দ্বীপে একটি phreatomagmatic বিস্ফোরণ ঘটেছে। টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিস্ফোরণটি দেখা গেছে। ভূপৃষ্ঠের নীচে জলের সাথে লাল গরম ম্যাগমা সংঘর্ষের কারণে প্রতি কয়েক মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটে।গত ২১ অক্টোবর, ২০২৩-এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল, যা আগে ইও জিমা নামে পরিচিত ছিল এবং এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের স্থান ছিল। প্রায় ১০ দিন ধরে অগ্ন্যুৎপাত চলার পর, আগ্নেয়গিরির উপাদান অগভীর সমুদ্রতলের উপর জমা হয় এবং প্রায় ১৬০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় বড় বড় পাথরের আকারে সমুদ্র পৃষ্ঠের উপরে উঠে আসে। .....বিস্তারিত পড়ুন