Bhojeshwar Mahadev Temple: রহস্য এবং কিংবদন্তিতে পূর্ণ মধ্যপ্রদেশের ভোজেশ্বর মন্দির

প্রীতি গুপ্তাঃ মধ্যপ্রদেশের ভোজপুর গ্রামে এক চমৎকার এবং বিস্ময়কর,এক অসম্পূর্ণ শিব মন্দির রয়েছে।এটি ভোজপুর শিব মন্দির বা ভোজেশ্বর মন্দির (Bhojeshwar Mahadev Temple)নামে বিখ্যাত। প্রাচীন এই শিব মন্দিরটি পারমার রাজবংশ (১০১০ AD- ১০৫৫AD) দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।  মন্দিরটি ১১৫ফুট (৩৫ মিটার) লম্বা, ৮২ ফুট (২৫ মিটার) চওড়া এবং ১৩ ফুট (৪ মিটার) উঁচু একটি টিলায় দাঁড়িয়ে আছে। এই মন্দিরের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এখানকার বিশাল শিবলিঙ্গ, এই অনন্য এবং বিশাল আকারের শিবলিঙ্গের কারণে ভোজেশ্বর মন্দিরকে উত্তর ভারতের সোমনাথও বলা হয়।মসৃণ লাল বেলেপাথর দিয়ে তৈরি, এই শিবলিঙ্গটি একটি একক পাথর দিয়ে তৈরি এবং এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম প্রাচীন শিবলিঙ্গ বলে মনে করা হয়।

ভোজেশ্বর মন্দিরটি (Bhojeshwar Mahadev Temple)১১ শতকে পরমারা রাজবংশের কিংবদন্তি রাজা রাজা ভোজ দ্বারা চালু করা হয়েছিল। তবে, মন্দিরটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, শুধুমাত্র গর্ভগৃহে বিশাল শিবলিঙ্গ রয়েছে। মূল মন্দিরের কাঠামোটি কখনই নির্মিত হয়নি, যা ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের জন্য একটি বিভ্রান্তিকর রহস্য হিসেবে রয়েছে। ভিত্তি সহ এই মন্দিরের শিবলিঙ্গের মোট উচ্চতা ৪০ ফুট (১২ মিটার) এর বেশি।  শিবলিঙ্গের দৈর্ঘ্য, এর উচ্চতা ৭.৫ফুট (২.৩ মিটার) এবং ব্যাস ৫.৮ ফুট (২ মিটার)।  এই শিবলিঙ্গটি ২১.৫ ফুট (৬.৬মিটার) প্রশস্ত বর্গাকার ভিত্তির উপর স্থাপন করা হয়েছে।  পশ্চিম দিকে মন্দিরে প্রবেশের জন্য সিঁড়ি রয়েছে।  গর্ভগৃহের দরজার দুপাশে নদী দেবী গঙ্গা ও যমুনার মূর্তি রয়েছে। এর সাথে, গর্ভগৃহের বিশাল শীর্ষ স্তম্ভে জোড়া দেবতা – শিব-পার্বতী, ব্রহ্মা-সরস্বতী, রাম-সীতা এবং বিষ্ণু-লক্ষ্মীর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।  সামনের দেয়াল ছাড়া বাকি তিনটি দেয়ালে কোনো মূর্তি স্থাপিত নেই।  মন্দিরের বাইরের দেয়ালে যক্ষের মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছে।

স্থানীয় মানুষদের মতে এই ভোজেশ্বর মন্দিরটি এই অঞ্চলের অন্যতম শক্তিশালী শক্তি কেন্দ্র, যা দূর-দূরান্ত থেকে ভক্ত ও পর্যটকদের আকর্ষণ করে।এই মন্দিরটি দেখলেই বুঝবেন এটি শুধু একটি মন্দির নয়, এর বিশাল আকার ছাড়াও এই মন্দিরের অনেক বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।এই বিশাল মন্দিরের প্রবেশদ্বারের আকার ও আকৃতি বর্তমানে ভারতের যেকোনো মন্দিরের প্রবেশপথের মধ্যে সবচেয়ে বড়।  ভিতরে স্থাপিত শিবলিঙ্গ দেখে প্রবেশদ্বারের এই আকৃতি প্রাসঙ্গিক মনে হয়।  এই মন্দিরের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হ্নদির৪০ ফুট উচ্চতার চারটি স্তম্ভ।  গর্ভগৃহের অসম্পূর্ণ ছাদ এই চারটি স্তম্ভের উপর টিকে আছে। এই ভোজেশ্বর মন্দিরের ছাদ গম্বুজ বিশিষ্ট।  কিছু পণ্ডিত এটিকে ভারতের প্রথম গম্বুজ বিশিষ্ট ছাদ ভবন বলে মনে করেন  এবং এটি একটি শক্তিশালী প্রমাণ যে ইসলামের আগমনের আগে থেকেই ভারতে গম্বুজ নির্মাণের প্রচলন ছিল। এই মন্দিরটি ভারতে ইসলামের আগমনের আগে নির্মিত হয়েছিল, তাই এই মন্দিরের গর্ভগৃহের উপর অসম্পূর্ণ গম্বুজযুক্ত ছাদটি ভারতে গম্বুজ বা শিখর নির্মাণের প্রত্যক্ষ প্রমাণ।

মন্দির কমপ্লেক্সটি প্রাচীন স্থাপত্য নকশার এক অপূর্ব উদাহরণ। মন্দির নির্মাণের জন্য স্থাপত্য পরিকল্পনার মানচিত্র এবং অন্যান্য বিবরণ কাছাকাছি পাথরে খোদাই করা হয়েছে।তার থেকে জানা যায়   মন্দিরের চারপাশের প্রশস্ত মঞ্চে মন্দিরের অন্যান্য অংশ, মণ্ডপ, মহামণ্ডপ এবং অন্তরাল নির্মাণের একটি চমৎকার পরিকল্পনা ছিল এবং যেখানে আরও অনেক মন্দিরও তৈরি করার কথা ছিল।ঐতিহাসিকদের অনুমান এই নির্মাণ পরিকল্পনা যদি সফলভাবে সম্পন্ন হত,তাহলে এই মন্দির কমপ্লেক্সটি ভারতের বৃহত্তম মন্দির কমপ্লেক্সগুলির মধ্যে একটি হত।

 অসম্পূর্ণ অবস্থা সত্ত্বেও, ভোজেশ্বর মন্দিরের নির্মাণ শৈলী দেখার মতো।এই মন্দির এবং এর রহস্যময় শিবলিঙ্গকে ঘিরে পৌরাণিক কাহিনী এবং কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে। স্থানীয় লোককাহিনী থেকে জানা যায় যে শিবলিঙ্গটিকে ঐশ্বরিক শক্তির দ্বারা এই স্থানে আনা হয়েছিল, এর প্রত্যক্ষ প্রমান হিসাবে স্থানীয় বাসীন্দাদের ধারনা মন্দিরের শীর্ষে ৭০ টন ওজনের বিশাল পাথর আনা হয়েছিল।এত বিশাল ওজনের পাথর কিভাবে কাঠামোর শীর্ষে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তানিয়ে আজও মানুষের মনে বিস্ময়ের অন্ত নেই। মন্দিরের ঠিক পিছনে একটি ঢাল রয়েছে, যেটি মন্দির নির্মাণের সময় বিশাল পাথর বহনের জন্য ব্যবহৃত হত বলে বনে করা হয়।।

প্রাচীন এই মন্দিরের ভারতীয় কারুশিল্প এবং স্থাপত্য তৈরির কৌশল অবশ্যই আলাদা । রাজবংশের বিখ্যাত রাজা ভোজ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ সমরঙ্গসূত্রধরে বর্ণিত নিয়মের ভিত্তিতে এই বিশাল মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন।সমরাঙ্গসূত্রধর হল ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র সম্পর্কিত একটি গ্রন্থ। এই বইটিতে ৮৩টি অধ্যায় রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে নগর-পরিকল্পনা, নির্মাণ কারুকাজ, মন্দিরের কারুকাজ, ভাস্কর্য এবং মুদ্রা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে একাধিক আলোচনা।

  এই বিস্ময়কর মন্দিরের মধ্যে একটি অবর্ণনীয়, অমীমাংসিত রহস্য রয়েছে। ভোজেশ্বর মন্দিরের (Bhojeshwar Mahadev Temple)নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ, হঠাৎ করে কেন এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ রেখে বন্ধ করা হল?যদিও এই বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ইতিহাসে নেই, তবে জনশ্রুতি আছে যে এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ এক রাতেই সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ছাদের কাজ শেষ হওয়ার আগেই সকাল হয়ে গিয়েছিল, তাই নির্মাণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়।যদিও অসম্পূর্ণ মন্দিরের ব্যাপারে সঠিক কারণ এখনও অজানা, ইতিহাসবিদদের অনুমান যে কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সম্পদের সরবরাহ হ্রাস বা যুদ্ধ শুরুর কারণে এটি ঘটেছে। সম্ভবত রাজা ভোজের মৃত্যুর কারণে এই মন্দিরের নির্মাণ বন্ধ করা হয়েছিল বলে মনে হয়।আবার কিছু পণ্ডিত বিশ্বাস করেন যে সম্পূর্ণ ভার সঠিকভাবে অনুমান করতে একটি গাণিতিক ত্রুটির কারণে নির্মাণের সময়ই ছাদটি ভেঙে পড়ে থাকতে পারে। তখন রাজা ভোজ এই ত্রুটির কারণে মন্দিরটি পুনর্নির্মাণের পরিবর্তে এটির নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।এছাড়াও অনেক পণ্ডিত বিশ্বাস করেন যে ভোজেশ্বর শিব মন্দির এক প্রকার অন্ত্যেষ্টি সৌধ।এই ধরনের মন্দিরকে বলা হত স্বর্গরোহন-প্রসাদ। তাদের অনুমান অনুসারে, রাজা ভোজ তাঁর প্রয়াত পিতা সিন্ধুরাজ বা চাচা ভাকপতি মুঞ্জের জন্য এই মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন।

 এই মন্দিরের নির্মাণ নিয়ে দুটি কিংবদন্তি রয়েছে। প্রথম কিংবদন্তি অনুসারে, এই শিব মন্দিরটি পাণ্ডবরা তাদের নির্বাসনের সময় তৈরি করেছিলেন।  ভীম হাঁটু গেড়ে বসে এই শিবলিঙ্গে ফুল নিবেদন করতেন।  এই মন্দিরটি মা কুন্তীর পূজার জন্য দ্বাপর যুগে পাণ্ডবরা এক রাতে তৈরি করেছিলেন।  সকাল হওয়ার সাথে সাথে পান্ডবরা অদৃশ্য হয়ে যায় এবং মন্দিরটি অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। এর পাশাপাশি এই মন্দিরের কাছেই রয়েছে বেতওয়া নদী।যেখানে কুন্তীর কর্ণকে ছেড়ে যাওয়ার লোককথাও প্রচলিত আছে।

 আরেকটি বিশ্বাস অনুসারে, এই মন্দিরটি ১১ শতকে মধ্য ভারতের পারমার রাজবংশের রাজা ভোজদেব তৈরি করেছিলেন। রাজা ভোজদেব ছিলেন অত্যন্ত প্রতাপশালী ও বিদ্বান রাজা,সেইসাথে তিনি শিল্প, স্থাপত্য এবং শিক্ষার একজন মহান পৃষ্ঠপোষক  ।তিনি ১১টিরও বেশি বই লিখেছিলেন। বর্তমানে এই মন্দিরটি একটি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক  বিভাগের সুরক্ষার অধীনে রয়েছে।  এই মন্দিরের কাছে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরও নির্মিত হয়েছে।  প্রতি বছর শিবরাত্রি উপলক্ষে রাজ্য সরকার এখানে ভোজপুর উৎসবের আয়োজন করে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


মহারানী পদ্মাবতী এবং জোহরের ঐতিহ্য: সাহস ও আত্মত্যাগের এক গল্প

উত্তরাপথঃ ভারতের ইতিহাসে, এমন অনেক গল্প রয়েছে যা সময়কে অতিক্রম করে আমাদের সম্মিলিত চেতনায় এক অমোঘ চিহ্ন রেখে যায়। তেমনই একটি গল্প মহারানী পদ্মাবতী ও জোহরের ঐতিহ্য। সাহস, সম্মান এবং ত্যাগের এই গল্প প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমাদের কল্পনাকে মুগ্ধ করে চলেছে।ভারতীয় ইতিহাসের পাতায় অত্যন্ত সুন্দরী ও সাহসী মহারানী পদ্মাবতী'র উল্লেখ আছে।  রানী পদ্মাবতী রানী পদ্মিনী নামেও পরিচিত।  রানী পদ্মাবতীর পিতা ছিলেন সিংহল প্রদেশের (শ্রীলঙ্কা) রাজা গন্ধর্বসেন।ইতিহাসে রানী পদ্মিনী তার ব্যতিক্রমী সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং বীরত্বের জন্য পরিচিত হলেও, তিনি করুণা এবং শক্তির প্রতীক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। দিল্লির শক্তিশালী শাসক আলাউদ্দিন খিলজি তার অতুলনীয় সৌন্দর্যের কথা শুনে তাকে অধিকার করার সংকল্প করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

WORLD CUP 2023: আফগানিস্তান  ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করল,অধিনায়কত্ব করবেন হশমতুল্লাহ শাহিদি   

উত্তরাপথঃ আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ২০২৩-এর জন্য একটি শক্তিশালী ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে,এই দলে ফিরেছেন নবীন-উল-হক। ৫ অক্টোবর থেকে ভারতে শুরু হতে চলেছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ,চলবে১৯ নভেম্বর পর্যন্ত।  এই বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের দলে ফিরেছেন নবীন-উল-হক, যিনি এশিয়া কাপে দলের অংশ ছিলেন না।১৫ সদস্যের আফগান দলের অধিনায়কত্ব করবেন হশমতুল্লাহ শাহিদি ।একই সময়ে, ২৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার আজমতুল্লাহ ওমরজাই, যিনি এশিয়া কাপের দলে ছিলেন না, তিনিও বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

ভোরের শুকতারা

অনসূয়া পাঠকঃ বাস ছাড়তে তখনো কিছুটা সময় বাকি ছিলো, আমি মা বাবার সাথে বাসের ভেতরে জানালার দিকের সিটটায় বসে আছি। এমন সময় দেখি আমাদের পাশের সিটে বসে একজন রবীন্দ্রনাথের সঞ্জয়িতা পড়ছেন, বইটাকে দেখে আমার চোখের সামনে একটা সোনালী ফ্রেমের চশমা পরা মুখ ভেসে উঠলো, চন্দন স্যারের মুখ। বছর পাঁচেক আগের কথা, আমার বাবা তখন জঙ্গলমহল মেদিনীপুরের আমলাশুলির পোষ্টমাষ্টার। দু কিমি দূরেই আমার পিসীমার বাড়ি। ওখানেই আমার হাইস্কুলে পড়াশোনা শুরু। আর যে স্যার আমার মননে সদা জাগরুক , বাংলা সাহিত্যের বটবৃক্ষ বলা যায় যাকে , আমার গল্প যাঁকে নিয়ে সেই চন্দন স্যারকে ওখানেই পাওয়া। ফর্সা গায়ের রঙ, মাথায় ক়াঁচা পাকা চুল , সরু গোঁফ চোখে সোনালী ফ্রেমের চশমা, .....বিস্তারিত পড়ুন

ব্যয় বৃদ্ধির কারণে বাড়ছে বাংলাদেশে ইলিশের দাম, প্রভাব রাজ্যেও

উত্তরাপথঃ বাংলাদেশ ও ইলিশ এই দুটি নাম একে অপরের পরিপূরক মনে হলেও বাস্তব কিন্তু বলছে অন্য কথা। সূত্র মাধ্যমে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে  প্রকৃতির অপার দান হলেও শিকার থেকে শুরু করে বাজারজাত হওয়া পর্যন্ত ব্যয় বৃদ্ধির কারণেই বাড়ছে বাংলাদেশে ইলিশের দাম। এর সঙ্গে মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভের অঙ্ক যোগ হয়ে তা চলে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।পরিস্থিতি এমন যে গরিব তো দূর থাক মধ্যবিত্তের পাতেও এখন আর জুটছে না ইলিশ। বুধবার বরিশালের পাইকারি বাজারে এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হয় ৬০ হাজার টাকা মন দরে। ৪২ কেজিতে মন হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ে প্রায় সাড়ে ১৪শ টাকা। খুচরা বাজারে গিয়ে যা বিক্রি হয় ১৬ থেকে ১৮শ টাকা। যে কারণে জাতীয় এই মাছ এখন শুধু বিত্তশালীদের খাদ্যে পরিণত হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top