দ্বিতীয় পাতা
সত্যই কি ২৫ ডিসেম্বর যিশু খৃষ্টে জন্মদিন (Date of the birth of Jesus)? কি বলছে ইতিহাস ?
বলরাম মাহাতোঃ ২৫ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় ক্রিসমাস। এদিনটিকে যিশু খৃষ্টের জন্মদিন (Date of the birth of Jesus) বলে মনে করা হয়। কিন্তু এই বিষয়ে ঐতিহাসিকরা কী বলছেন? সত্যিই কি প্রথম থেকেই ২৫ ডিসেম্বর দিনটিতে যিশু খৃষ্টের জন্মদিন (Date of the birth of Jesus) পালন হয়ে আসছে? না কি এই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে ? বাইবেলে যিশুর জন্মতারিখের কোনও উল্লেখ না থাকলেও, প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর দিনটি যিশুর জন্মদিন (Date of the birth of Jesus)হিসেবেই পালন করা হয়। ইতিহাস বলে ২৪ ডিসেম্বর রাতে বেথেলহেমের এক গোশালায় কুমারী মা মেরীর কোলে জন্ম হয় যিশুর। বলা হয় বিশ্ব থেকে হিংসা ভেদাভেদ মুছে ফেলতেই জন্ম হয় তাঁর। এমনকী অনেকেই যিশুকে সূর্যের সন্তানও মনে করেন। তবে প্রথম কবে বড়দিন পালন করা হয়েছিল সেই নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।যিশুর জন্ম ধরেই খ্রিস্টাব্দের হিসেব করা হয়। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, তার এক বছর আগে জন্মেছিলেন যিশু। তবে অনুমান, ৩৩৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বড়দিন পালন করা হয়, ক্যাথলিক রাজা কনস্ট্যানটাইনের আমলে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Artificial rain: কি দিল্লির দূষণের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারবে?
উত্তরাপথঃ Artificial rain কি দিল্লির দূষণ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে? দিওয়ালির পর থেকে দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে, যা এর বাসিন্দাদের জন্য উল্লেখযোগ্য সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ এবং আরও অনেক শহর সহ উত্তর ভারতের অন্যান্য অংশগুলিকে বিষাক্ত কুয়াশায় ঢেকে দিচ্ছে৷ বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত), দিল্লিতে বায়ুর গুণমান সূচক (AQI) ছিল ৩৯৮। যা বায়ুর 'খুব খারাপ' স্তর বলে মনে করা হয়।সেপ্টেম্বরে, দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই উল্লেখ করেছিলেন যে দিল্লীর সরকার বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তার শীতকালীন কর্ম পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ‘ক্লাউড সিডিং’ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে । ক্লাউড সিডিং যা কৃত্রিম বৃষ্টি (Artificial rain), নামেও পরিচিত, এটি একটি কৌশল যা বায়ুতে রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে দিয়ে বৃষ্টিপাত ঘটানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে সিলভার আয়োডাইড বা পটাসিয়াম আয়োডাইডের মতো পদার্থগুলিকে বিমান এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করে মেঘে প্রবেশ করানো হয়, যা চারপাশে জলের ফোঁটার জন্য নিউক্লিয়াস হিসেবে কাজ করে। এই পদ্ধতিতে বৃষ্টি হতে সাধারণত আধা ঘণ্টা সময় লাগে। .....বিস্তারিত পড়ুন
রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চে আবার CAA কার্যকর করার আশ্বাস কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর
উত্তরাপথঃসামনেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন, আর এই নির্বাচনের আগে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (CAA) কার্যকর করার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র । রবিবার (২৬ নভেম্বর) রাস পূর্ণিমার উপলক্ষ্যে ঠাকুরনগরে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র। হরিচাঁদ-গুরুচাঁদের পুজো দেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘'নাগরিকত্ব আইন শীঘ্রই কার্যকর হবে। যেসব সমস্যা রয়েছে, তা দূর করার চেষ্টা চলছে , নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইনের চূড়ান্ত খসড়া আগামী বছরের ৩০ মার্চের মধ্যে প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।" স্থানীয় বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, যিনি নিজে মতুয়া সম্প্রদায়ের, তিনিও তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র মতুয়া সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করেছেন যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত তারা মতুয়া ফেডারেশনের দেওয়া পরিচয়পত্র নিয়ে দেশের যে কোনও জায়গায় যেতে পারবে। এতে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কোনো সমস্যা হবে না।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন যে সিএএ বাস্তবায়নে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে, যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
কেন্দ্রীয় সরকার, ১৫,০০০ SHG-কে ড্রোন সরবরাহ করবে
উত্তরাপথঃ সামনেই লোকসভা ভোট, তার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা দুই বছরের জন্য ১৫,০০০ মহিলা স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীকে (SHG) ড্রোন সরবরাহ করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পে ১,২৬১ কোটি টাকা খরচ হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বুধবার (২৯ নভেম্বর ২০২৩) বলেছেন যে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর ২০২৩) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনুরাগ ঠাকুর বলেন, 'স্কিমের উদ্দেশ্য হল ২০২৪-২০২৫ এবং ২০২৫-২০২৬ সালের মধ্যে কৃষি কাজের জন্য কৃষকদের ভাড়া পরিষেবা দেওয়ার জন্য ১৫,০০০ নির্বাচিত মহিলা SHG-কে ড্রোন সরবরাহ করা।'প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "মহিলাদের জন্য বিশেষ করে একেবারে নীচু তলার জন্য, তাঁদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও সম্পদ প্রদানের মাধ্যমে তাঁদের ক্ষমতায়নের জন্য এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।" এই প্রকল্পের অধীনে প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির (এসএইচজি) মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা পাঠাবেন বলে, এমনটাই জানান হয়েছে। প্রেস রিলিজে দেওয়া তথ্য অনুসারে, এই প্রকল্পটির অধীনে অনুমোদিত প্রথম ১৫,০০০ SHG-কে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা এবং জীবিকা সহায়তা প্রদান করা হবে। .....বিস্তারিত পড়ুন
PAN-Aadhar link: কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে নিষ্ক্রিয় করেছে
উত্তরাপথ : আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link)করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় করেছে৷ আপনি যদি এখনও প্যান কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক না করে থাকেন, তাহলে আপনি সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের আওতায় এসেছেন। আপনি যদি আপনার আধার কার্ডকে প্যানের সাথে লিঙ্ক করতে চান তবে আপনি জরিমানা দিয়ে এটি সক্রিয় করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক না করার কারণে নিষ্ক্রিয় করেছে। একটি আরটিআই-এর জবাবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে যে আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link) করার সময়সীমা ৩০ জুন শেষ হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করেননি তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে ৭০ কোটি প্যান কার্ড বর্তমানে ভারতে প্যান কার্ডের সংখ্যা ৭০.২ কোটিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৭.২৫ কোটি মানুষ আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন
দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?
উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে। বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী? আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত? পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না? এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন