বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি


বিশ্বব্যাপী ১০ বিলিয়ন কিলোগ্রাম কফি বর্জ্য ব্যবহারে বিজ্ঞানীদের অভিনব আবিষ্কার

একবার বীজ থেকে কফি তৈরির প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে অবশিষ্ট কফি বর্জ্যর কি হবে? সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা সেই বাতিল কফি বর্জ্যর একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে একটি উত্তেজনাপূর্ণ আবিষ্কার করেছেন।গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে ,একবার চাষ করার পর কফি গ্রাউন্ডগুলি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে, যা কফি গ্রাউন্ডগুলিকে অবিশ্বাস্যভাবে মূল্যবান সম্পদ করে তোলে। এই আবিষ্কারটি শুধুমাত্র বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি উদ্ভাবনী সমাধান প্রদান করে না বরং দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশ বান্ধব এক নতুন সম্ভাবনাও উন্মুক্ত করে।এই গবেষণার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফলাফলগুলির মধ্যে একটি হল সার হিসাবে কফি গ্রাউন্ডের সম্ভাবনা। কফি গ্রাউন্ডগুলি নাইট্রোজেন, পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। .....বিস্তারিত পড়ুন

NASA Exoplanet: নতুন গবেষণা বলছে, আমাদের সৌরজগতের বাইরে আরও ১৭টি অনুরূপ বিশ্ব থাকতে পারে

উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, আমাদের সৌরজগতের বাইরে জীবনের অনুসন্ধান আরও তীব্র হয়েছে, NASA একটি নতুন গবেষণা বলছে, আমাদের সৌরজগতের বাইরেও প্রাণ থাকতে পারে। NASA র এই গবেষণা দলটি আশা প্রকাশ করেছে যে সৌরজগতের বাইরে আরও ১৭টি এক্সোপ্ল্যানেট (Exoplanet)বা অনুরূপ বিশ্ব থাকতে পারে।NASA-র দ্বারা পরিচালিত গবেষণা এক দূরবর্তী বরফময় বিশ্বের সম্ভাব্য বাসযোগ্যতার  সম্ভাবনার উপর আলোকপাত করে।এক্সোপ্ল্যানেট (exoplanet) বা আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত গ্রহগুলি বিজ্ঞানী এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য অত্যন্ত আগ্রহের বিষয়। বছরের পর বছর ধরে, NASA-র কেপলার এবং TESS মিশনগুলি হাজার হাজার এক্সোপ্ল্যানেট সনাক্ত করেছে, যার মধ্যে অনেকগুলি তাদের নিজ নিজ তারা সিস্টেমের বাসযোগ্য অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত। .....বিস্তারিত পড়ুন

কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজে ইসরো

ড. সায়ন বসুঃ ২০২৩ পেরিয়ে ২০২৪-এও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মহাকাশ গবেষণায় অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটেই চলেছে! সূর্য, মঙ্গল, চাঁদ পেরিয়ে এবার তার নজর এই বিশ্বচরাচরের শক্তিশালী রাক্ষসের দিকে। ইসরোর লক্ষ্য এবার কৃষ্ণগহ্বর ! ১লা জানুয়ারি শ্রীহরিকোটার কাছে একটি ছোট দ্বীপ থেকে এক্সরে-পোলারিমিটার কৃত্রিম উপগ্রহ (XPoSat) উৎক্ষেপণ করা হলো যার উদ্দেশ্য ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের গতিবিধি সম্বন্ধে তথ্য পাঠানো।  প্রথমে আসুন সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক কি ভাবে কৃষ্ণগহ্বর তৈরী হয়| কৃষ্ণগহ্বর সাধারণত বিশাল তারা থেকে তৈরি হয়, যাদের ভর আমাদের সূর্যের চেয়ে অনেক কয়েকগুণ বেশি। এই বিশাল নক্ষত্রগুলি তাদের কেন্দ্রস্থলে পারমাণবিক ফিউশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় যা হাইড্রোজেনকে হিলিয়ামে রূপান্তর করে এবং আলো এবং তাপের আকারে শক্তি বিকিরণ করে। এই বাহ্যিক বিকিরণ আর মহাকর্ষীয় শক্তির মধ্যে দড়ি টানাটানির খেলায় শেষমেশ তারার পতন হয়| তারাদের জীবনকালের সবটাই কাটে অন্তর্বর্তী মহাকর্ষীয় বল এবং পারমাণবিক ফিউশন প্রক্রিয়া থেকে তৈরী হওয়া শক্তির বাহ্যিক বলের টানাটানির মধ্যে .....বিস্তারিত পড়ুন

Supercomputer:২০২৪ সালে তৈরি হবে মানুষের মস্তিষ্কের নকল করতে সক্ষম সুপার কম্পিউটার

উত্তরাপথঃ অসংখ্য সায়েন্স ফিকশন ফিল্ম কম্পিউটারকে মানুষের বুদ্ধিমত্তার প্রতিফলন দেখায়, যা প্রায়শই মানুষের ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা মানুষের মতো মস্তিষ্কের ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সুপার কম্পিউটার নিয়ে কাজ করছেন। সুপার কম্পিউটারের (supercomputer) সাহায্যে, বিজ্ঞানীরা মূলত সম্পূর্ণ ভাবে মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ প্রতিলিপি করার চেষ্টা করছেন। স্পষ্টতই, সুপারকম্পিউটার –– যাকে বিজ্ঞানীরা ডিপসাউথ বলে ডাকছেন। সিডনির ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নিউরোমরফিক সিস্টেমের (ICNS) গবেষকদের দ্বারা তৈরি একটি মস্তিষ্ক-অনুপ্রাণিত সুপারকম্পিউটার, ডিপসাউথ (DeepSouth) নামে পরিচিত মেশিনটি, এর চিপগুলিতে স্পিকিং নিউরাল নেটওয়ার্কের গর্ব করে। এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, Intel এবং Dell-এর সাথে অংশীদারিত্ব করে––মানুষের মস্তিষ্কে যেভাবে নিউরনের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করে সেইভাবে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বিজ্ঞানীরা। ডিপসাউথের পিছনের গবেষকদের মতে, সুপারকম্পিউটারটি এক সেকেন্ডে ২২৮ ট্রিলিয়ন সিন্যাপটিক অপারেশন করতে সক্ষম হবে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Fast Radio Bursts (FRBs): এক মহাজাগতিক ধাঁধা

ড. সায়ন বসুঃ মহাবিশ্বের বিশাল এবং রহস্যময় বিস্তৃতির রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি ঘটনাতে বেশ খানিকটা হোঁচট খেয়েছেন বলা যেতে পারে যা তাদের কৌতূহলকে বিমোহিত করেছে এবং তাদের কিছুটা  বিভ্রান্ত করেছে - রহস্যময় ফাস্ট রেডিও বার্স্টস (Fast Radio Bursts) বা FRBs। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর উপস্থিতি টের পেয়েছেন গত দুই দশকে FRB একটি ক্ষণস্থায়ী এবং গভীর স্থান থেকে উদ্ভূত বেতার তরঙ্গের তীব্র বিস্ফোরণ। এর সংক্ষিপ্ততা সত্ত্বেও, এই মহাজাগতিক সংকেতগুলি প্রচুর পরিমাণে শক্তি বহন করে, এবং তাদের উৎস আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ধাঁধাগুলির মধ্যে একটি। আজকের সংখ্যায় ফাস্ট রেডিও বার্স্টের আবিষ্কার, বৈশিষ্ট্য এবং এদের সম্ভাব্য উৎস বোঝার যে নিরন্তর প্রয়াস তারদিকে আলোকপাত করা হল| একটি ফাস্ট রেডিও বার্স্ট-এর প্রথম সনাক্তকরণ ২০০৭ সালের দিকে, যখন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ২০০১ সালে সংগৃহীত ডেটা পুনরায় নতুন করে দেখেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার পার্কস রেডিও টেলিস্কোপ মাত্র কয়েক মিলিসেকেন্ড স্থায়ী একটি অদ্ভুত বিস্ফোরণের সঙ্কেতকে সনাক্ত করেছিল .....বিস্তারিত পড়ুন

Heart Beat: বাংলার ছেলের হাতধরে হৃদস্পন্দনের ছয় দশকের পুরানো রহস্য উন্মোচন

গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ  আপনি যখন বিজ্ঞানের এই বিশেষ প্রবন্ধটা পড়ছেন তখন নিশ্চই আপনার মধ্যে আপনার হৃদপিন্ড সম্পর্কে জানার একটা আগ্রহ বাড়ছে। আপনার হৃদপিন্ড, হৃদস্পন্দন এই সমস্ত বিষয়গুলিকে নিয়ে হাজার প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘুরছে। আপনি কি জানেন কিভাবে কাজ করে আমাদের হৃদপিন্ড? হৃদরোগে আক্রান্ত হলে এর মধ্যে কী পরিবর্তন হয়? হৃদপিন্ডের কাঠামো ও প্রক্রিয়া বোঝার জন্য গবেষকরা ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করছেন। আর এই অজানা রহস্য উন্মোচনের পথ দেখালেন আমাদের এই বাংলার ছেলে ড. দেবব্রত দত্ত। তার হাত ধরে এই নতুন গবেষণা বিখ্যাত Nature পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছে। ড. দত্তের জন্ম বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের রতনপুর গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই তার ইচ্ছে ছিলো বিজ্ঞানী হওয়ার, তাই পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন থেকে স্কুল এর পড়াশুনা শেষ করে রসায়ন-এ অনার্স নিয়ে ভর্তি হয় কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে (St. Xavier’s college)। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) থেকে Biochemistry তে M.Sc-র পর IIT-Kharagpur থেকে বায়োটেকনোলজিতে Ph.D. করেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

NASA ১০ মিলিয়ন মাইল দূর থেকে আসা  Laser – Beamed ট্রাক করেছে

উত্তরাপথঃ আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা (NASA ) প্রায় এক কোটি মাইল দূর থেকে একটি লেজার আলোর বার্তা (Laser – Beamed )ট্রাক করেছে। বিজ্ঞানীরা একে নজিরবিহীন বলেছেন। প্রায় ১৬ মিলিয়ন কিলোমিটার বা ১০ মিলিয়ন মাইল থেকে বার্তাটি ডিপ স্পেস অপটিক্যাল কমিউনিকেশনস (DSOC) যন্ত্র দ্বারা ট্রাক করা সম্ভব হয়েছিল, যা নাসার (NASA ) সাইকি মহাকাশযানের সাথে ভ্রমণ করছিল। সাইকি মিশনটি গত মাসে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল। নাসার মতে, লেজার রশ্মির এই দূরত্ব পৃথিবী ও চাঁদের দূরত্বের চেয়ে ৪০ গুণ বেশি। সহজ ভাষায় বুঝতে পারলে, নাসা সাইকি মিশন পাঠিয়েছিল ১০ মিলিয়ন মাইল দূরত্বে এবং সেখানে যাওয়ার পরে এটি পৃথিবীতে একটি লেজার লাইট বিম বার্তা পাঠিয়েছিল, যা নাসা গ্রহন করতে সফল হয়েছিল। এই লেজার আলো পৃথিবীতে পৌঁছতে ৫০ সেকেন্ড সময় নেয়।বিজ্ঞানীরা বলছেন যে এই লেজার রশ্মির (Laser – Beamed) এই প্রযুক্তিগত ডেমো একদিন নাসা মিশনকে মহাকাশের গভীরে অনুসন্ধান করতে এবং মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কে অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় খুঁজে পেতে সহায়তা করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top