slider


কৃত্রিম মিষ্টি (সুক্রলোজ ও স্যাকারিন) কি মানসিক হতাশার কারণ ?
উত্তরাপথঃ টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত একটি নতুন গবেষণায় কৃত্রিম মিষ্টি খাওয়ার এবং হতাশার বর্ধিত ঝুঁকির মধ্যে একটি সম্ভাব্য সংযোগ পাওয়া গেছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় ৫,০০০ জনেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্কদের তথ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত কৃত্রিম মিষ্টি গ্রহণ করেন তাদের বিষণ্ণতার লক্ষণগুলির পরিমাণ বেশি ছিল। কৃত্রিম মিষ্টি, যেমন অ্যাসপার্টাম, সুক্রলোজ এবং স্যাকারিন, সাধারণত বিভিন্ন খাবার এবং পানীয়গুলিতে চিনির বিকল্প হিসাবে ব্যবহৃত হয়। চিনির একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবে এগুলি বাজারজাত করা হলেও, এই মিষ্টিগুলির নিয়মিত সেবনের ফলে এর কোনও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব আমাদের শরীরে পরছে কিনা তা এখনও পুরোপুরি বোঝা যায় নি। সমীক্ষায়, অংশগ্রহণকারীদের তাদের কৃত্রিম মিষ্টি খাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এবং বিষণ্নতার লক্ষণগুলি মূল্যায়ন করার জন্য একটি প্রশ্নপত্রও তৈরি করা হয়েছিল। গবেষকরা দেখেছেন যে যারা কৃত্রিম মিষ্টি খেয়েছেন তাদের ঘুমের ধরণ, ক্ষুধা, এবং বিষন্নতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ শক্তির মাত্রার পরিবর্তন অনুভব করার সম্ভাবনা বেশি ছিল। যদিও গবেষকরা কৃত্রিম মিষ্টি এবং বিষন্নতার মধ্যে কোনও কার্যকারণ সম্পর্ক স্থাপন করেননি,তবে ফলাফলগুলি পরামর্শ দেয় যে উভয়ের মধ্যে একটি লিঙ্ক থাকতে পারে। গবেষণার প্রধান গবেষক ডঃ হংলেই চেন উল্লেখ করেছেন, "আমাদের ফলাফলগুলি থেকে বোঝা যায় যে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কৃত্রিম মিষ্টি চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে না।" কৃত্রিম মিষ্টি এবং বিষন্নতার মধ্যে সম্ভাব্য সংযোগ জনস্বাস্থ্যের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। বিষণ্নতা একটি সাধারণ এবং গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য অবস্থা যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে। .....বিস্তারিত পড়ুন


জাপানের বিজ্ঞানীরা মানুষের কোষ দিয়ে রোবটের জন্য 'জীবন্ত' ত্বক তৈরি করলেন
উত্তরাপথঃ একটি যুগান্তকারী এবং উদ্বেগজনক অগ্রগতিতে, জাপানের বিজ্ঞানীরা মানুষের কোষ দিয়ে মানুষের মতো ত্বক তৈরি করার একটি কৌশল তৈরি করেছেন যা ভবিষ্যতে রোবটগুলিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিজ্ঞানীদের একটি দল সফলভাবে রোবটের জন্য "জীবন্ত" ত্বক তৈরি করেছে, যা "জৈবিক ত্বকের অন্তর্নিহিত স্ব-নিরাময় ক্ষমতা সহ রোবটগুলিকে আরও জীবন্ত করা"বিজ্ঞানীদের গবেষণার মূল লক্ষ্য।সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণষণাটির পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত অনেক বিশেষজ্ঞ এবং সাধারণ মানুষ নতুন এই প্রযুক্তির প্রভাব এবং মানবতার জন্য সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সম্প্রতি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সেল রিপোর্টস ফিজিক্যাল সায়েন্স জার্নালে একটি নতুন গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। সেখানে তারা দেখান যে কিভাবে তারা মানুষের কোষ দিয়ে মানুষের মতো ত্বক তৈরি করেছেন।তারা আশাবাদী যে এই নতুন কৌশলগুলি ভবিষ্যতের রোবটগুলিকে স্ব-নিরাময়ের বৈশিষ্ট্যগুলিকে বাস্তবে কার্যকরী করতে সাহায্য করবে, যদি তাদের ত্বক কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রকৃতপক্ষে, রোবটগুলিকে স্ব-মেরামত করার ক্ষমতা দেওয়া তাদের গবেষণার মূল উদ্দেশ্য, যেহেতু ঐতিহ্যগতভাবে রোবটগুলি সিলিকন রাবারে আবৃত থাকে।মানুষের ত্বক যেভাবে সব-নিরাময় করতে পারে ,সিলিকনের ত্বক সেভাবে স্ব-নিরাময় করতে পারে না। "অপ্রত্যাশিত পরিবেশে, রোবটের ত্বকে যে ছোটখাটো স্ক্র্যাচ এবং ক্ষতি অনিবার্যভাবে ঘটে তা যদি মনোযোগ না দেওয়া হয় তবে তা গুরুতর প্রতিবন্ধকতায় পরিণত হতে পারে," বিজ্ঞানীরা গবেষণাপত্রে ব্যাখ্যা করেছেন। "অতএব, স্ব-মেরামতের ক্ষমতা মানবিক রোবটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে।" .....বিস্তারিত পড়ুন


বিজ্ঞানীরা বিশুদ্ধ বলের তৈরি একটি কণা (glueball) খুঁজে পেয়েছেন
উত্তরাপথঃঅর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে, কণা পদার্থবিদরা গ্লুবল (glueball) নামে পরিচিত একটি অনন্য কণার অস্তিত্বের তত্ত্ব দিয়েছেন। গ্লুবল হল একটি তাত্ত্বিক কণা যা সম্পূর্ণরূপে গ্লুন দিয়ে তৈরি, শক্তিশালী পারমাণবিক বলের বল বাহক যা পারমাণবিক নিউক্লিয়াসে প্রোটন এবং নিউট্রনকে একত্রে ধারণ করে। ব্যাপক গবেষণা এবং পরীক্ষা সত্ত্বেও, গ্লুবলের অস্তিত্ব অধরা এবং নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং ছিল।সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বিজ্ঞানীরা গ্লুবলের (glueball) অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছেন।চীনের বেইজিং ইলেক্ট্রন-পজিট্রন কোলাইডার II (BEPC-II) ব্যবহার করে গবেষকরা সাম্প্রতিকতম আবিষ্কারটি উপহার দিয়েছে। যেখানে তারা X(2370) নামে পরিচিত একটি নতুন কণা সনাক্ত করেছে। এই নতুন আবিষ্কৃত কণাটির ভর রয়েছে 2370 MeV/c2, যা একটি গ্লুবলের (glueball) প্রত্যাশিত ভরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সারিবদ্ধ। একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার যা কণা পদার্থবিদ্যার প্রচলিত ধারনাকে চ্যালেঞ্জ করে, বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণরূপে বিশুদ্ধ বল(force) দ্বারা গঠিত একটি কণা চিহ্নিত করতে পারেন। এই আবিষ্কার, যদি নিশ্চিত করা হয়, মহাবিশ্বে মৌলিক মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের বোঝার বিপ্লব ঘটাতে পারে। সূক্ষ্ম গবেষণা এবং উন্নত পরীক্ষামূলক কৌশলগুলির মাধ্যমে, গবেষকরা প্রথাগত পদার্থ-ভিত্তিক রচনাকে অস্বীকার করে এমন একটি কণার অস্তিত্বের পরামর্শ দেওয়ার বাধ্যতামূলক প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন। এই নিবন্ধটি এই আবিষ্কারের প্রভাব এবং কণা পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রের সম্ভাব্য প্রভাবগুলি নিয়ে আলোচনা করে৷ .....বিস্তারিত পড়ুন


Plastic eating bacteria: প্লাস্টিক খাওয়া ব্যাকটেরিয়া
উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্লাস্টিক দূষণ একটি বৈশ্বিক সংকটে পরিণত হয়েছে, লক্ষ লক্ষ টন প্লাস্টিক বর্জ্য বিশ্বজুড়ে ল্যান্ডফিল এবং মহাসাগরগুলিতে জমা হচ্ছে৷ প্লাস্টিক, যা পচতে শত শত বছর সময় নিতে পারে, পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণীর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।এই ধারাবাহিকতায়, বিজ্ঞানীরা এমন একটি প্লাস্টিক তৈরি করেছেন যা স্ব-ধ্বংস করবে। এতে দূষণ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, সান দিয়েগোর বিজ্ঞানী হ্যানসোল কিম পলিউরেথেন প্লাস্টিকে একটি ব্যাকটেরিয়া যোগ করেছেন। এই ব্যাকটেরিয়া প্লাস্টিক খায়। ফলে প্লাস্টিক নিজেই ভেঙে পড়ে।এই প্লাস্টিকটির বিশেষ বিষয় হল যতক্ষণ এটি ব্যবহার করা হয় ততক্ষণ এতে মিশ্রিত ব্যাকটেরিয়া নিষ্ক্রিয় থাকে। যখন এটি আবর্জনার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়, তখন এটি আবর্জনার মধ্যে উপস্থিত উপাদানগুলির সংস্পর্শে আসে এবং সক্রিয় হয়ে প্লাস্টিক খেতে শুরু করে।এই প্লাস্টিকের মধ্যে মেশানো ব্যাকটেরিয়াটির নাম ‘ব্যাসিলাস সাবটিলিস’। এই ব্যাকটেরিয়া খাবারে প্রোবায়োটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক আকারে এটি প্লাস্টিকের সাথে মেশানো যায় না। এটি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাহায্যে প্রস্তুত করা হয়, যাতে এটি প্লাস্টিক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন


তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে তাপের বিশ্বরেকর্ড তৈরি হয়েছে রাজস্থানে
নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, রাজস্থানঃ-গত কয়েকদিন ধরে উত্তর ভারতের অনেক রাজ্যে তাপপ্রবাহ শুরু হলেও, তাপের বিশ্বরেকর্ড তৈরি হয়েছে রাজস্থানে ইতিমধ্যেই রাজস্থানের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁচেছে। শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ ১০টি শহরের মধ্যে রয়েছে রাজস্থানের ৭টি শহর। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি পুরো রাজস্থানে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র তাপদাহ ও তাপপ্রবাহে মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। শোনা যাচ্ছে যে গত শুক্র ও শনিবার মাত্র দুই দিনে রাজ্যে তাপের কারণে ২০ জন মারা গেছে। এই ব্যাপারে একটি বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে গত ২৪মে শুক্রবার তাপজনিত কারণে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার যে আটটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে একটিও মৃত্যুকে তাপজনিত কারণে মৃত্যু বলে স্বীকার করেনি সরকার।দেশের সবচেয়ে উষ্ণতম দশটি শহরের মধ্যে আটটিই বর্তমানে মরুধারায় রয়েছে। ফলোদিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর সাথে, জয়পুর আবহাওয়া কেন্দ্রের সর্বশেষ সতর্কতা অনুসারে, আগামী্ল৩ দিনের মধ্যে রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি বাড়বে এবং ৩ দিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ থাকবে। রাজস্থানে ৪ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আপাতত তিন-চার দিনে প্রচণ্ড গরম থেকে রেহাই পাওয়ার আশা নেই। .....বিস্তারিত পড়ুন


নক্ষত্রসভা- ভারতের প্রথম "জ্যোতির্বিজ্ঞান পর্যটনকেন্দ্র"
ড. সায়ন বসুঃ আমরা যারা শহরে বা "শহর ঘেঁষা গ্রামে" বড় হয়েছি, একটু মনে করলে দেখবো যে রাতের আকাশে "দৃশ্যমান" তারার সংখ্যা আস্তে আস্তে কমে গেছে বা যাচ্ছেও। এর পিছনে কোনো মহাজাগতিক ঘটনা নেই বরং আছে আমাদেরই তৈরী করা আলোক দূষণ! রাতের অন্ধকার দূর করতে গিয়ে আমরা রাতের আকাশের অপরূপ সৌন্দর্য্যকেই একটু একটু করে শেষ করে দিচ্ছি| আর এই আলোক দূষণ নামক দৈত্যের থাবা এখনও যে সব জায়গাতে পড়েনি তাদের নিয়েই গড়ে উঠছে ভারতের প্রথম নক্ষত্রসভা। Astro tourism (অ্যাস্ট্রো ট্যুরিজম) এই ইংরেজি শব্দবন্ধটি অ্যাস্ট্রোনমি ট্যুরিজম থেকে এসেছে যাকে বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায় জ্যোতির্বিজ্ঞান পর্যটন| এটি আসলে সেই সমস্ত জায়গাকে বোঝায় যেখানে গেলে তারা, গ্রহ, ছায়াপথ এবং অন্যান্য জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক বস্তুগুলিকে ভালোভাবে দেখা যায় মূলত কোনো আলোক দূষণ ছাড়া । পৃথিবী জুড়ে এই মূহুর্তে হাতে গোনা কয়েকটি জায়গা আছে যেগুলিকে জ্যোতির্বিজ্ঞান পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা যায় । এগুলির মধ্যে আছে চিলির আটাকামা মরুভূমি, আমেরিকার উটাহ প্রদেশের Natural Bridges National Monument, মিশরের White Desert এবং Nuweiba, জাপানের Iriomote-Ishigaki National Park, জর্ডনের Petra এবং Wadi Rum, দক্ষিণ আফ্রিকার Kruger National Park, এবং ফ্রান্সের Pic du Midi। এবার এই তালিকায় যোগ হলো ভারতের উত্তরাখন্ড পর্যটন দপ্তর এবং Starscapes নামক একটি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠা "নক্ষত্র সভা"। এটি মুসৌরিতে শুরু হলেও ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পরবে উত্তরকাশী, পিথোরাগড়, নৈনিতাল, এবং চামোলি পর্যন্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন


জাফরানী (Saffron) সফরনামা
প্রিয়াঙ্কা দত্তঃ তাকে নিয়ে না জানি কত গান,কত কবিতা লেখা হয়েছে। না জানি কত রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ঘটে গেছে তার চাহিদায়। না জানি কত ইতিহাস লুকিয়ে তার বর্ণ, গন্ধ ও স্বাদে। নামও তার গুণের মতোই অনেক। সে হলো আজ পর্যন্ত ব্যবহার হয়ে আসা প্রাচীনতম মশলা গুলির মধ্যে অন্যতম মহার্ঘ্য মশলা .. জাফরান বা কেশর। যে কেশর শ্রীকৃষ্ণের শ্রী বৃদ্ধি করত তাঁর কপালের তিলক হয়ে সেই আবার হয়ে উঠেছিল মিশরের রাণী ক্লিওপেট্রার অবগাহন আর অঙ্গরাগের প্রিয়তম উপাদান । বাদ যাননি সাইরাস বা আলেকজান্ডার দি গ্রেট বা নিরো। শরীর ও মন চাঙ্গা রাখতে তাঁরাও ভরসা রাখতেন কেশরের ওপরেই। আলেকজান্ডারের বাহিনী এশিয়া মহাদেশে যুদ্ধে এসে বিপুল পরিমানে জাফরান সংগ্রহ ও ব্যবহার করেছিল। মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা হয়ে আজ একবিংশ শতাব্দীতেও জাফরান বিরাজ করেছে স্বমহিমায়। একেই বোধহয় বলে আদি অকৃত্রিম রূপে বিরাজ করা। আনুমানিক সাড়ে তিন হাজার বছর আগে যার পথ চলা শুরু সেই জাফরানের নামের উৎপত্তি নিয়েও বেশ ধন্ধ আছে। কেউ বলেন ইংরিজি সাফ্রন কথাটি এসেছে লাতিন শব্দ স্যাফরানাম থেকে আবার কেউ বলেন ফরাসি সাফরান থেকে জাফরান নামের আগমন। আরবীতে ‘কুরকুম’ আর সংস্কৃতে একে ‘কুমকুমম্’ নামে ডাকা হয়। .....বিস্তারিত পড়ুন