উত্তরাপথ
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-56.png)
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-56.png)
ছবি সংগৃহীত
চন্দ্রযান – ৩ প্রকল্পের সফল উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করল দূরদর্শনের মাধ্যমে আপামর ভারতবাসী । চন্দ্রযান-৩ প্রকল্পের পরিচালক পি ভিরামুথুভেল এবং ইসরো প্রধান এস সোমানাথও তাদের আনন্দ ভাগ করে নিলেন যখন LVM3 M4 যানটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ হল। “চন্দ্রযান-৩, তার সুনির্দিষ্ট কক্ষপথে, চাঁদের উদ্দেশ্যে তার যাত্রা শুরু করেছে। ইসরো জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের সময় মহাকাশযানের অবস্থা স্বাভাবিক ছিল।
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-54.png)
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-54.png)
ছবি সংগৃহীত
এবার আসাযাক চন্দ্রযান-৩ প্রসঙ্গে । ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ফের যাত্রা শুরু করেছে চন্দ্রযান-৩।এই অসাধারণ কৃতিত্বের পিছনে রয়েছে অনেক কঠোর পরিশ্রম। শুক্রবার শ্রীহরিকোটার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে যাত্রা শুরু হয় চন্দ্রযান-৩। এর আগে ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি উৎক্ষেপণ হয় চন্দ্রযান ২। তবে উৎক্ষেপিত চন্দ্রযান ২-এর অরবিটরটি সফলভাবে চন্দ্রকক্ষে প্রবেশ করলেও অবতরণের ঠিক আগের মুহূর্তে ল্যান্ডারটি চাঁদের মাটিতে ভেঙে পড়ে। সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, তাই ৬১৫ কোটি টাকা খরচ করে ফের নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে চন্দ্রযান-৩।
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-53.png)
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-53.png)
ছবি সংগৃহীত
জানা গিয়েছে, ১৪ জুলাই উৎক্ষেপণের পরে চাঁদের মাটিতে পৌঁছতে চন্দ্রযান ৩-এর বেশ অনেকটা সময় লাগবে। ২৩ আগস্ট চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩। সেখানে পৌঁছে চাঁদের হিসাবে একদিন কাজ করবে এই চন্দ্রযান, যা পৃথিবীর হিসাবে প্রায় ১৪ দিনের সমান। এই সময়ের মধ্যে চাঁদের মাটি পরীক্ষা করে দেখবে চন্দ্রযানের রোভার। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, আগের বার চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে গেলেও সেখানে অবতরণের সময়ে ভেঙে পড়েছিল চন্দ্রযান। তবে এবার উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে সেরকম বিপর্যয়ের সম্ভাবনা নেই।
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-52.png)
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-52.png)
ছবি সংগৃহীত
পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করে মোট ছ’টি ধাপে চাঁদে পৌঁছে যাবে এই চন্দ্রযান-৩। শ্রীহরিকোটার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথেই ঘুরপাক খাবে চন্দ্রযান। সেখান থেকে ধাপে ধাপে প্রবেশ করবে চাঁদের কক্ষপথে। সেখানে পৌঁছেই প্রোপালশন মডেল থেকে আলাদা হয়ে যাবে ল্যান্ডার। তারপর বিছিন্ন হয়ে যাওয়া ল্যান্ডার থেকেই চাঁদের মাটিতে নেমে পড়বে রোভার। মূলত চাঁদের দক্ষিণ মেরু এলাকায় কাজ চালাবে রোভারটি। সেখান থেকেই মিলবে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-55.png)
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-55.png)
ছবি সংগৃহীত
এই চন্দ্রযান ৩ তৈরি করতে মোট ৬১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ৪৩.৫ মিটার উঁচু ও ৪ মিটার চওড়া এই যানটির ওজন ৬৪০টন।চন্দ্রযানে থাকবে তিনটি মডিউল- প্রোপালশান, ল্যান্ডার ও রোভার। প্রোপালশান মডিউল মূলত একটি রকেট যা চন্দ্রযান ৩-কে উৎক্ষেপন করতে সাহায্য করবে। ল্যান্ডারের কাজ হল চাঁদের কক্ষপথ থেকে রোভারকে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামিয়ে আনা। রোভার একটি ছয় চাকা যুক্ত রোবটযান যেটি চন্দ্রপৃষ্ঠে হেঁটে বেড়াবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য ও ছবি পৃথিবীতে পাঠাবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ অগস্ট ল্যান্ডার এবং রোভার অবতরণ করবে।
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-51.png)
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-51.png)
ছবি সংগৃহীত
আরও পড়ুন
লোকসংস্কৃতির আলোকে মালদার শতাব্দী প্রাচীন গম্ভীরা
মৈত্রেয়ী চৌধুরীঃ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের একটি জেলা মালদা। আমের জন্য এই জেলাটি পরিচিতি লাভ করলেও এই জেলা আর ও একটি কারণে বিখ্যাত, তা হল গম্ভীরা । মালদার নিজস্ব লোকসংস্কৃতি।গম্ভীরা শব্দটি প্রকোষ্ট, গৃহ বা মন্দির অর্থের সঙ্গে আভিধানিক মিল থাকলেও এই অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত আকাশের নিচে বা কোথাও চাঁদোয়া বা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলেন স্বয়ং দেবাদিদেব। এই উৎসবের তিনি 'নানা' নামে পরিচিত।একজন শিবের সাজে থাকেন, আর দেবাদিদেবের চেলার মতো কিছু সংখ্যক সেই নানার ভক্ত হয়ে খোল, করতাল হাতে উনার সঙ্গী হন। বাস্তব জগতের এবং পারিপার্শ্বিক যা মা সমস্যা থাকে তা চেলার নানার কাছে অভিযোগ জানান, যেন নানা সেই অভিযোগ শুনে তার সমাধান করেন।শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই ভিড় করে জমায়েত .....বিস্তারিত পড়ুন
শূন্য বর্জ্য নীতি গ্রহনে জাপান আজ বিশ্বগুরু
উত্তরাপথঃ পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ শহর জাপান । সম্প্রতি তার শূন্য বর্জ্য নীতি-এর কারণে খবরের শিরোনামে । Zero Waste বা শূন্য বর্জ্য হল- অযথা খরচকে ন্যূনতম রেখে উৎপাদিত আবর্জনা কমানোর প্রচেষ্টা। ১৯৯৬ সালে , অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী শহর ক্যানবেরা বিশ্বের প্রথম শূন্য-বর্জ্য শহরের শিরোপা অর্জন করে।এরপর Zero Waste ধারণাটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, উদাহরণস্বরূপ কানাডার টরন্টো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো নিজেদের শূন্য-বর্জ্য শহর হিসাবে ঘোষণা করে । পরিবেশ সচেতনতার ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের প্রায় ৭০% পৌরসভা নিজেদের শূন্য-বর্জ্য পৌরসভা হিসাবে ঘোষণা করেছে।এদিকে ২০২২ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত, জাপানের পাঁচটি শহর নিজেদের শূন্য বর্জ্য শহর হিসেবে ঘোষণা করেছে।জাপানের তোকুশিমা প্রিফেকচারের কামিকাতসু টাউন প্রথম নিজেদের শূন্য বর্জ্য শহর হিসেবে ঘোষণা করার পর, ধারণাটি পুরো জাপানে ছড়িয়ে পড়ে। .....বিস্তারিত পড়ুন
মহারানী পদ্মাবতী এবং জোহরের ঐতিহ্য: সাহস ও আত্মত্যাগের এক গল্প
উত্তরাপথঃ ভারতের ইতিহাসে, এমন অনেক গল্প রয়েছে যা সময়কে অতিক্রম করে আমাদের সম্মিলিত চেতনায় এক অমোঘ চিহ্ন রেখে যায়। তেমনই একটি গল্প মহারানী পদ্মাবতী ও জোহরের ঐতিহ্য। সাহস, সম্মান এবং ত্যাগের এই গল্প প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমাদের কল্পনাকে মুগ্ধ করে চলেছে।ভারতীয় ইতিহাসের পাতায় অত্যন্ত সুন্দরী ও সাহসী মহারানী পদ্মাবতী'র উল্লেখ আছে। রানী পদ্মাবতী রানী পদ্মিনী নামেও পরিচিত। রানী পদ্মাবতীর পিতা ছিলেন সিংহল প্রদেশের (শ্রীলঙ্কা) রাজা গন্ধর্বসেন।ইতিহাসে রানী পদ্মিনী তার ব্যতিক্রমী সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং বীরত্বের জন্য পরিচিত হলেও, তিনি করুণা এবং শক্তির প্রতীক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। দিল্লির শক্তিশালী শাসক আলাউদ্দিন খিলজি তার অতুলনীয় সৌন্দর্যের কথা শুনে তাকে অধিকার করার সংকল্প করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
ঘোষণা হল ভারতের শীর্ষ বিজ্ঞান পুরস্কার শান্তি স্বরূপ ভাটনগর প্রাপকদের নাম
উত্তরাপথঃ এটি আশ্চর্যজনকভাবে ২০২২ সালে, প্রথমবারের মতো, বিজ্ঞানে ভারতের শীর্ষ বার্ষিক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়নি।এক বছর স্থগিত রাখার পর, সোমবার ২০২২ সালের শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, যেখানে ১২ জন তরুণ বিজ্ঞানীকে ভারতের শীর্ষ বিজ্ঞান পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।ভাটনগর পুরষ্কার, CSIR-এর প্রথম মহাপরিচালক শান্তি স্বরূপ ভাটনাগরের নামানুসারে, প্রতি বছর সাতটি বৈজ্ঞানিক শাখায় গবেষকদের অসামান্য কৃতিত্বের জন্য দেওয়া হয়। জীববিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসা, প্রকৌশল এবং পৃথিবী, বায়ুমণ্ডল, মহাসাগর এবং গ্রহ বিজ্ঞান - এর অধীনে ৪৫ বছর পর্যন্ত অসামান্য গবেষকদের নির্বাচন করা হয়। পুরস্কারে ৫ লক্ষ টাকা নগদ ও একটি প্রশংসাপত্র দেওয়া হয়। .....বিস্তারিত পড়ুন