উত্তরাপথ
আবহাওয়া দপ্তর সতর্কবার্তা জারি করেছে যে ঘূর্ণিঝড় বিপরজয় বিপজ্জনক রূপ নিচ্ছে । এই ঝড়টি গুজরাটের কচ্ছ, দ্বারকা এবং জামনগরে সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে ২১ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । আরব সাগর থেকে উঠে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘বিপরজয়’ গুজরাটের কচ্ছ, দেবভূমি দ্বারকা এবং জামনগরে অনেক ক্ষতি করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানার সময় তিনটি জেলাতেই সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি হবে। আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, মঙ্গলবার ঝড়টি কিছুটা দুর্বল হলেও এটি এখনও ‘খুব তীব্র’ বিভাগে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এটি গুজরাটের মান্ডভি এবং পাকিস্তানের করাচির মধ্যবর্তী কোথাও উপকূলে আঘাত হানবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৫০ কিমি হতে পারে।
ঝড়ের কারণে গুজরাট ও মুম্বাইয়ের উপকূলীয় এলাকায় বজ্রপাত অব্যাহত রয়েছে এবং দুর্ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার গুজরাটের উপকূলীয় অঞ্চলের ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ থেকে সকলকে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। ২১ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বন্দরগুলো। NDRF-এর ১৭ টি দল এবং SDRF-এর ১২ টি দল ত্রাণ ও উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত । ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উত্তর গুজরাট ও রাজস্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ঝড়ের কারণে ফসল, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, বিদ্যুতের তার ও খুঁটির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূলে ৬ মিটার উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে খবর। দুর্বল হওয়ার পর ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ রাজস্থানের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এই কারণে, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত উত্তর গুজরাট এবং রাজস্থানে ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টি হবে। বিপরজয়ের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গির জাতীয় উদ্যান। উপকূলীয় এলাকার জঙ্গলে উপস্থিত ১০০ সিংহকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সোমনাথ মন্দির সহ অন্যান্য বিখ্যাত স্থানগুলিও বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম রেলওয়ে জানিয়েছে যে ভুজ এবং গান্ধীধামের ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩০টি ট্রেন গন্তব্যের আগেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার দিল্লিতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করেছেন। শাহ বলেন, বিপর্যয়ের মধ্যে কেউ যাতে মারা না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। শাহ মঙ্গলবার ৮,০০০কোটি টাকারও বেশি মূল্যের তিনটি বড় প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। আইএমডির মতে, এটি আরব সাগরের দীর্ঘতম ঝড় হতে পারে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত এর জীবন কেটেছে আট দিনের বেশি। এরআগে ২০১৯ সালে আরব সাগরে কিয়ার ঝড় এবং ২০১৮ সালে গাজা ঝড়ের জীবনকাল ছিল ৯ দিন ১৫ ঘন্টা।
আরও পড়ুন
বেতন, মাসে ৩০,০০০ আর সম্পত্তির মালিকানা ৭ কোটির বেশী
উত্তরাপথ: এ এক দুর্নীতির অনন্য নজির যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি কে লজ্জায় ফেলবে । দুর্নীতির এই অভিযোগটি উঠেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ হেমা মীনার বিরুদ্ধে।মধ্যপ্রদেশের সরকারি কর্মকর্তা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর হেমা মীনা প্রচার মাধ্যমের নজরে আসে । এখন প্রশ্ন কে এই হেমা মীনা ? মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ যিনি মাসে ৩০,০০০ টাকা আয় করেন । দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২০,০০০ বর্গফুট .....বিস্তারিত পড়ুন
ব্রিজভূষন সরণ সিং ও মোদী ইমেজ
উত্তরাপথ: কে এই ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং ? কি করে তিনি হঠাৎ খবরের শিরোনামে ? তার বিরুদ্ধে ভারতীয় রেসলারদের অভিযোগ সত্বেও কেন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছেনা ? বিরোধী দলগুলি এই ইস্যুতে সরকারের সমালোচনা করছে তবু সরকার চুপ ? এটা কি মোদী ইমেজে ধাক্কা নয় ? না কি ২০২৪ এর রাজনীতির বাধ্য বাধ্যকতা ? প্রথমে আসা যাক ব্রিজভূষন সরণ সিং প্রসঙ্গে। উত্তরপ্রদেশের বিজেপির বাহুবলী নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা, কায়সারগঞ্জ এবং বলরামপু .....বিস্তারিত পড়ুন
সীমানা
অসীম পাঠক: কল্লোলিনী তিলোত্তমার অভিজাত বেলভিউ নার্সিং হোমের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে শোরগোল পড়ে গেলো, ডাক্তার নার্স সবার ছুটোছুটি। সিনিয়র ডক্টর মিঃ লাহিড়ী সব শুনে চমকে গেলেন, অস্ফুটে গলা থেকে বেরোলো তাঁর "ইটস এ রেয়ার কেস অফ মেডিক্যাল সায়েন্স "। তারপর স্টেথো টা ঝুলিয়ে রিভলভিং ছেড়ে উঠতে উঠতে বললেন , " ইমিডিয়েট বাড়ির লোকেদের খবর দিন " …..বিশ্বজিৎ মজুমদার কুড়ি বছর কোমাতে। আজ ই রেসপন্স করছেন ।সবাই যখন হাল ছেড়ে দিয়েছে ,জন্ম মৃত্যুর সীমানা থেকে তিনি তখন জেগে উঠেছেন, অবচেতনের সব জাগতিক অনুভূতি থেকে .....বিস্তারিত পড়ুন
মতুয়া আন্দোলনের এক মনোগ্রাহী ভাষ্য
অরবিন্দ পুরকাইত: আপাত বা গভীর কোনও স্তরেই তেমন কিছু তফাৎ পরিলক্ষিত না হলেও, বর্ণবাদী সমাজে একই পাড়ায় একেবারে প্রায় পাশাপাশি কেবল বিশেষ বিশেষ ঘরে জন্মানোর নিমিত্ত - শিক্ষাদীক্ষা পরের কথা – ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকেই আজীবন একজন শ্রদ্ধা-ভক্তি-প্রণাম পাওয়ার অদৃশ্য শংসাপত্রের অধিকারী আর অন্যজনের সেবা-শ্রদ্ধা-ভক্তির অদৃশ্য দাসখতের দায়বদ্ধতা! কেন-না সৃষ্টিলগ্নেই একজন প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখনিসৃত আর অন্যজন পদজ যে! সুতরাং মুখ থাকবে সবার উপরে, সবার নিচে পা – এতে অস্বাভাবিকতা বা আশ্চর্যের তো কিছু নেই! কিন্তু কেবল সেবা-শ্রদ্ধাতেই সব মিটে .....বিস্তারিত পড়ুন