Gadar 2 মুভি রিভিউ: সানি দেবলকে আবার দেখা গেল পুরানো ফর্মে

উত্তরাপথঃ – Gadar 2 সানি দেবলের প্রথম ফিল‍ম ‘গদর – এক প্রেম কাহিনী’এর ২৩ বছর পরে এল। এর আগে ‘গদর’সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল। এবার আবার অনিল শর্মা, তারা স‍িংহ এবং সকিনা এর এই ‘গদর: একটি প্রেমের গল্প’এর  দ্বিতীয় ভাগ অর্থাৎ সিনেমার পরবর্তী অংশ নিয়ে সামনে এল।

গোটা পাকিস্তানকে একা হাতে দুরমুশ করে বন্দি হওয়া ছেলেকে ফিরিয়ে আনলেন তারা সিং। ২২ বছর পরেও তারা সিং-এর ক্ষমতা যে এতটুকুও কমেনি, তা বেশ ভালোই বুঝিয়ে দিল Gadar 2। আগের পর্বের রেশ রেখে ডায়লগে পাকিস্তান বিদ্বেষের ছড়াছড়ি। আর আগের বারের মত অমিষা পটেলের সজল চোখের অভিনয় দেখে দর্শকের মনে হতেই পারে যে আগের সিনেমাটাই দেখছেন, শুধু গল্পটা গেছে বদলে। তা-ও খুব বেশি নয়।

গল্পে সানি দেওলের মতোই পাকিস্তানে গিয়ে প্রেমে পড়লেন তাঁর ছেলে। এদিকে পুরনো শত্রুতা মেটাতে তাঁকে জেলে পুরে দিলেন ভিলেন পাকিস্তানি মেজর জেনারেল। আগের বারের অমরিশ পুরিকে এখানে অবশ্যই মিস করবে দর্শক। তারপর ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে তারা সিং-এর ছেলেকে ফিরিয়ে আনা। আর সেই সুযোগে বেশ কিছু অসম্ভব অ্যাকশন, দেশভক্তি আর পারিবারিক বন্ধনের ইমোশনাল আবহ তৈরি করে দর্শককে আবেগতাড়িত হতে বাধ্য করা। যেটা ‘গদর- এক প্রেম কথার ইউ সে পি ছিল।

ছবিতে জায়গায় জায়গায় সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের গোঁড়ামির বদলে ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার করে তোলার বিরোধিতা করা হলেও মোটের উপর সেই দু’দশকের পুরনো খোপ থেকে যেন বের হতে পারল না এই ছবি। গদর-এর প্রথম পর্বের ছায়া হিসেবে অবশ্য ফুল মার্কস পাবে এই সিকুয়েল।

এক‍ট‍িং এর কথা বলতে হলে তারা স‍িংহের চরিত্রে সানি দেবল আবার ছেয়ে গেছেন।  ‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍অমিষা পটেল এবারও তার দর্শকদের হতাশ করেননি। সিনেমায় এবার উৎকর্ষ শর্মাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।পুরো সিনেমায় অমরীশ পুরীর অভাব দর্শক অনুভব করবে। এবার অমরীশ পুরীর অভাব পূরন করার কাজটি মনীষ বাধবাকে দেওয়া হয়েছে ।

সিনেমার ফর্স‍ট হাফ যথেষ্ট লাইট এবং গল্পকে বাড়িয়ে দেয়।  শুরুতে চরিত্রদের ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে বলতে নানা পাটেকরের আওয়াজ শোনা যায়। Gadar 2 দেখলে যদি দর্শক আগের মুভি না ও দেখেন তাহলেও বুঝতে আসুবিধা হবে না। আগের অংশের সংক্ষিপ্ত বিবরণ এখানে দেওয়া হয়েছে। তবে মাঝে মাঝে গানের ব্যবহার সিনেমার গল্পকে অনেকটা হাল্কা করে দিয়েছে।    ‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?

উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।    বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক

উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক  সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক।  প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন।  ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে

উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন

রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন  

উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর  অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top