

উত্তরাপথঃ দুটো টেস্ট ম্যাচ জয় যেন Indian women’s cricket দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে একটা বাড়তি আত্মতুষ্টির জন্ম দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। বোর্ডে ২৮০-র ওপর রান নিয়েও ডিফেন্ড করতে পারেনি ভারত। একঝাঁক ক্যাচ মিসে অজিদের জুটি মজবুত হয়েছে। ম্যাচ জিতেছে তারাই। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ২৫৯ রান। সাতটি ক্যাচ মিস করেছে ভারত।
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল (Indian women’s cricket)। তার অন্যতম কারণ ফিল্ডিং। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট দুটি জিতে সেই ধারনা বদলে ফেলার চেষ্টা একটা হয়েছিল। কিন্তু টেস্ট ম্যাচ দুটো জয়ের ইতিহাসে যেন টিমের মধ্যে আত্মতুষ্টিও বাড়িয়ে দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। বোর্ডে ২৮০-র ওপর রান নিয়েও ডিফেন্ড করতে পারেনি ভারত। একঝাঁক ক্যাচ মিসে অজিদের জুটি মজবুত হয়েছে। ম্যাচ জিতেছে তারাই। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ২৫৯ রান। তাতেও অবশ্য জিততে পারেনি। এই লক্ষ্যটা আরও অনেক অনেক কম হতে পা্রেছীই ম্যাচে সাতটি ক্যাচ মিস করেছে ভারত। কোন ওভার, কত নম্বর ডেলিভারিতে, কে ক্যাচ মিস করেছেন তার বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
দেখে নিন ভারতের মহিলা ক্রিকেট (Indian women’s cricket) দলের সাত’ক্যাচ মিস
১। ০.২ ওভার: রেনুকা সিংয়ের বোলিংয়ে শর্ট এক্সট্রা কভারে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়েছিলেন অমনজ্যোত কৌর। তালুতে বল লেগে তা মিড অফের দিকে চলে যায়। রানের খাতা খোলেন শূন্যতে জীবন পাওয়া ফোয়েবে লিচফিল্ড।
২। ৪.৬ ওভার: মিড অফে ক্যাচ ফসকান ভাইস ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানা। ব্যাটারের নাম এ বারও ফোয়েবে লিচফিল্ড। প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছিল, আগেই ড্রপ হয়েছে। স্মৃতি ফরোয়ার্ড ড্রাইভেও নাগাল পাননি! যদিও স্মৃতির হাতেই বল পড়েছিল। কিন্ত বল আটকায়নি।
৩। ৭.৩ ওভার: এ বারও ব্যাটারের নাম লিচফিল্ড। তৃতীয় বার জীবন পান স্লিপে। পূজা বস্ত্রকারের ওভারে স্লিপে ছিলেন যস্তিকা ভাটিয়া। কিপার ছিলেন রিচা ঘোষ। প্রায় ষষ্ঠ স্টাম্পের বল তাড়া করেন লিচফিল্ড। প্রথম স্লিপে ক্যাচ উঠলেও মিস যস্তিকা ভাটিয়ার।
৪। ১৬.৫ ওভার: নিজের বোলিংয়ে অজি অলরাউন্ডার এলিস পেরিকে ফেরানোর সুযোগ ছিল স্নেহ রানার। যদিও কঠিন ক্যাচ ছিল। অনেকটা ওপরে কট অ্যান্ড বোল্ডের সুযোগ, ডান হাত ওপরে তুলে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা, বল আঙুলে লেগে লং অফে চলে যায়। পেরির অনেকটাই জোরালো শট ছিল।
৫। ৪৩.২ ওভার: দীপ্তি শর্মার বোলিংয়ে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের ক্যাচের সুযোগ। মিড উইকেটে হাতের ক্যাচ মিস সহ অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানার।
৬। ৪৭.২ ওভার: পূজা বস্ত্রকারের বোলিংয়ে অ্যালানা কিংয়ের ক্যাচ মিস খোদ অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের। মিড উইকেটে হাঁটু মুড়ে বসেও দু-হাতে ক্যাচের মরিয়া চেষ্টাও ব্যর্থ।
৭। ৪৮.১ ওভার: ইনিংসের সপ্তম ক্যাচ মিস ভারতের পাঁচ উইকেট নেওয়া দীপ্তি শর্মার। ডিপ মিড উইকেট থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে বল অবধি পৌঁছলেও জমাতে পারেননি।
আরও পড়ুন
ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার
উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে। কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে। যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে। অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়। এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে। এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন
Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে
বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন
দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?
উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে। বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী? আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত? পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না? এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়- রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র
সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন। আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়। আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল। আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন