

প্রতি বছর IPL-এ ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলোর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান বিদেশি প্লেয়াররা। নিলামে ভালো দামে পাওয়ার পরেও নানা কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ান তাঁরা। এতে টিমের পরিকল্পনায় ধাক্কা লাগে। এই কাজ করা প্লেয়ারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে একাধিকবার BCCI-এর কাছে দাবি করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলো। অবশেষে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিল বোর্ড। সরাসরি সাসপেনশনের নিয়ম চালু করা হল। এরসঙ্গে বিদেশি প্লেয়ারদের আকাশছোঁয়া দর নিয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে BCCI
চলতি বছরের জুলাই মাসে IPL-এর গর্ভনিং কাউন্সিলের বৈঠকে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলো প্লেয়ারদের নাম তুলে নেওয়ার বিষয়টি তোলে। বিদেশি প্লেয়াররা নাম তুলে নেওয়ায় টিমগুলোর পরিকল্পনা ধাক্কা খায় প্রতি বছর। এই সমস্যার সমাধানে বোর্ড নতুন নিয়ম এনেছে।
IPL-এর নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, ‘যেকোনও প্লেয়ার যিনি নিলামে দল পাওয়ার পর টুর্নামেন্ট থেকে নাম তুলে নেবেন তাঁকে দুটো মরশুমের জন্য IPL-এ বা নিলামে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। কোনও প্লেয়ার যদি শারীরিক কারণে নাম প্রত্যাহার করেন এবং সেটা যদি সেই প্লেয়ারের বোর্ড অনুমতি দেয় তাহলে তাকে নিয়মের বাইরে রাখা হবে।’
গত বছরের মিনি নিলামে দেখা গিয়েছিল মিচেল স্টার্ক ২৪.৭৫ কোটি ও প্যাট কামিন্ট ২০.৫০ কোটি টাকা পেয়েছেন। এই বিপুল অর্থ পাওয়ার পর একাধিক প্রশ্ন তৈরি হয়। স্যালারি ক্যাপের দাবি করা হয়। এবার মিনি নিলামে বিদেশি প্লেয়ারদের জন্য সর্বোচ্চ ফি ঠিক করে দিল বোর্ড।এই নতুন নিয়মে কোনও প্লেয়ার মেগা নিলামে নাম না লেখালে সেই প্লেয়ার মিনি নিলামে নাম লেখাতে পারবেন না। মিনি নিলামে কোনও বিদেশি প্লেয়ারের বেতন ১৮ কোটির বেশি হবে না। মেগা নিলামে সেটা ১৬ কোটি পর্যন্ত যেতে পারবে।
২০২৫ সালের IPL-এর জন্য প্রস্তুতি চলছে। মেগা নিলামের আগে প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি তাদের হিসেব করতে ব্যস্ত কোন প্লেয়ারকে ধরে রাখা হবে ও কোন প্লেয়ারকে ছাড়া হবে সেই তালিকা তৈরিতে। তবে BCCI-এর পক্ষ থেকে এখনও আসন্ন মেগা নিলাম নিয়ে কোনও চূড়ান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। কতজন প্লেয়ারকে ধরে রাখা হবে সেটা নিয়ে এবার ইঙ্গিত মিলল।
সূত্রের খবর, এবার মেগা নিলামের আগে প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি সর্বোচ্চ ৬ জন প্লেয়ারকে ধরে রাখতে পারে। বোর্ডের পক্ষ থেকে অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি। যদি প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ৬ জন প্লেয়ারকে ধরে রাখতে পারে সেক্ষেত্রে মোট ৬৬ জন প্লেয়ারকে ধরে রাখা হবে। বোর্ড প্লেয়ার ধরে রাখা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
তবে রাইট টু ম্যাচ কার্ড বা RTM কার্ড ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলো ব্যবহার করতে পারবে কি না সেই বিষয়ে এখনও কিছু খোলসা করা হয়নি। বা RTM কার্ড ব্যবহার করা হলেও তাতে কতজন প্লেয়ারকে রাখা যাবে সেটাও প্রশ্ন থাকছে।
এবার প্লেয়ার ধরে রাখার সংখ্যার উপর নির্ভর করবে অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির ভবিষ্যৎ। বিশেষ করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পাঁচ বার IPL জয়ী মুম্বইয়ে একাধিক হেভিওয়েট ভারতীয় প্লেয়ার রয়েছেন। রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, সূর্যকুমার যাদব, জসপ্রীত বুমরাহ, ঈশান কিষানরা রয়েছেন। ভারতের টি২০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য এরা। ২০২২ সালের মেগা নিলামে প্রতিটা দল চারজন প্লেয়ারকে ধরে রাখতে পেরেছিল। যেহেতু গতবার গুজরাট টাইটান্স ও লখনউ সুপার জায়ান্টস নতুন দল হিসেবে এসেছিল তাই প্লেয়ারের সংখ্যা বাড়াতে প্রতিটা দলকে চারজন প্লেয়ার ধরে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন
Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে বিতর্কে এ আর রহমান
উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?
প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন
Side effects of vitamin: ভিটামিনের আধিক্য আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে
উত্তরাপথঃ ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে সুস্থ থাকতে হলে শরীরে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন থাকা খুবই জরুরি। ভিটামিন আমাদের সুস্থ করার পাশাপাশি আমাদের সমগ্র শরীরের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে। আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side effects of vitamin)সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সব ধরনের পুষ্টি থাকা খুবই জরুরি। এ কারণেই বয়স্ক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সবাই আমাদেরকে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। সমস্ত পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে সুস্থ করে তোলে। এর মধ্যে ভিটামিন একটি, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন