তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিন কলকাতাতেই হবে ISL ডার্বি মুখোমুখি মোহন-ইস্ট

উত্তরাপথঃ আগামী ১০ মার্চ রবিবার আইএসএলের ফিরতি ডার্বিতে মুখোমুখি হচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং ইস্টবেঙ্গল। বড় ম্যাচকে ঘিরে যে উন্মাদনা তু্ঙ্গে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফুটবলপ্রেমী মানুষরা এই দিনটিতে দুই ভাবে বিভক্ত হয়ে যান। এক দল মোহনবাগানকে সমর্থন করেন। আবার কেউ ইস্টবেঙ্গলকে। ফলে ISL ডার্বি ম্যাচকে ঘিরে উন্মাদনা থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার ওইদিনই ব্রিগেড সমাবেশ ডেকেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই সমাবেশে লক্ষ লক্ষ জনসমাগম হওয়ার দাবি করছে শাসকদল।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে, একই দিনে শহরের বুকে এত বড় সমাবেশ এবং ডার্বির মতো মেগা ম্যাচের আয়োজন আদৌ সম্ভব তো?

 অবশেষে বিভ্রান্তি দূর হল। সূত্রের খবর, ডার্বির সূচিতে কোনও পরিবর্তন হবে না। ১০ মার্চ নির্ধারিত সময়েই বড় ম্যাচ হবে। বদলাবে না ভেন্যুও। তৃণমূলের কর্মসূচি ঘোষিত হওয়ার পরই ডার্বির ভাগ্যাকেশে হঠাৎ যেন কালো মেঘ এসে দানা বাঁধে। ফুটবলপ্রেমীদের একাংশের মধ্যে বিভ্রান্তিও তৈরি হয়। অনেকের প্রশ্ন, আদৌ ১০ মার্চ ডার্বি হবে তো? পুলিশ এতবড় জনসভার পর আদৌ ডার্বির জন্য নিরাপত্তা দিতে পারবে তো? প্রশ্ন ওঠাটাও স্বাভাবিক।

এমনকী সমর্থকরাও বুঝতে পারছেন না আদৌ নির্ধারিত দিনে বড় ম্যাচ হবে কিনা। যেহেতু স্থান পরিবর্তন করার সুযোগ নেই, ফলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ছাড়া এই ম্যাচ আয়োজন অসম্ভব। তবে সে যাই হোক না কেন, অবশেষে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলল ফুটবল প্রেমীদের। সূত্রের খবর, আগামী ১০ মার্চ রবিবার অর্থাৎ নির্ধারিত দিনেই এই বড় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এমনটাই জানা গিয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত আইএসএল কতৃপক্ষ কিছু জানায়নি। এমনকী এবারের ডার্বির দায়িত্বে থাকা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবও কিছু জানায়নি। তবে ১০ মার্চের কথা মাথায় রেখেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ডার্বির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

  ক্রীড়া দপ্তর সূত্রের খবর, ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ হলেও ডার্বি (ISL derby) আয়োজনে বিশেষ সমস্যা হবে না। তাছাড়া ব্রিগেডের সমাবেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে মূলত কলকাতা পুলিশ। আর ডার্বির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বিধাননগর সিটি পুলিশ। সুতরাং ডার্বি আয়োজনে বিশেষ অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আর শাসকদলও ডার্বি পিছিয়ে দিতে চাইছে না বলে সূত্রের দাবি। বড় ম্যাচ পিছিয়ে দিলে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে তাঁর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে, সেই আশঙ্কা রয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। সুতরাং, সব ঠিক থাকলে ১০ মার্চ সন্ধে সাড়ে সাতটায় যুবভারতীতেই ডার্বি হচ্ছে। দুই দলই ছন্দে থাকায় ফিরতি ডার্বি ঘিরে সমর্থকদের উৎসাহ তুঙ্গে। সেদিন যে যুবভারতীতে সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়বে, তা আন্দাজ করাই যায়।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ

উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন

রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন  

উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর  অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

ওজন হ্রাস (weight loss) মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে

উত্তরাপথঃ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ একটি ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য খাওয়া - এমনকি শুধুমাত্র খাদ্যের নির্দেশিকা অনুসরণ করে   ওজন হ্রাস (weight loss)মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে বলে মনে করা হয়।সাম্প্রতি ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত, একটি  গবেষণায় দেখা গেছে যে ওজন হ্রাস মস্তিষ্কে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ৯ মাস পর্যন্ত ধীর করে (aging process) দিতে পারে। গবেষণায় ৬০ থেকে ৭৮ বছর বয়সের মধ্যে ৪৭ জন অংশগ্রহণকারীকে জড়িত করা হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকেরই ওজন বেশি বা স্থূল ছিল এবং তাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণ  ছিল। তাদের এলোমেলোভাবে একটি ক্যালোরি-সীমাবদ্ধ গ্রুপ বা একটি নিয়ন্ত্রণ গ্রুপে বরাদ্দ করা হয়েছিল।ক্যালোরি-সীমাবদ্ধতা গোষ্ঠীর সদস্যদের একটি খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণ করে, যার লক্ষ্য ছিল তাদের আনুমানিক প্রয়োজনের চেয়ে ১০ – ১৫% কম ক্যালোরি গ্রহণ করা। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ তাদের খাদ্য পরিবর্তন করেনি .....বিস্তারিত পড়ুন

Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক

উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক  সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক।  প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন।  ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top