

Loneliness বর্তমান যুগে সারা বিশ্বের একটি গুরুতর সমস্যা।ছবি – উত্তরাপথ
উত্তরাপথঃ একাকীত্ব(Loneliness)বর্তমান যুগে সারা বিশ্বের একটি গুরুতর সমস্যা। যা অনেক ক্ষেত্রে মানসিক এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে । একাকীত্ব বিষন্নতা, উদ্বেগ এবং আত্মহত্যার মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডিমেনশিয়া এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকির মতো শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যার সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার বর্ধিত ঝুঁকির সাথে যুক্ত।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সম্প্রতি একাকীত্বকে একটি বিশ্বব্যাপী গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ডব্লিউএইচওর একটি সমীক্ষা অনুসারে, একাকীত্ব এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা দিনে ১৫টি সিগারেট খাওয়ার মতো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
স্বাস্থ্যের উপর একাকীত্বের (Loneliness) প্রভাব উল্লেখযোগ্য। গবেষণায় দেখা গেছে যে COVID-19 মহামারী একাকীত্বের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, সামাজিক দূরত্বের ব্যবস্থা এবং লকডাউনের কারণে বিচ্ছিন্নতা বেড়েছে। এটি বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিদের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।এখন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) একাকীত্বকে একটি গুরুতর বৈশ্বিক স্বাস্থ্য হুমকি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে, এবং এটি সমস্যা সমাধানের জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ চালু করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একাকীত্ব মোকাবেলায় জাতীয় কৌশল বিকাশ ও বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন দেশগুলির সাথে কাজ করছে।
ডব্লিউএইচও “আওয়ার এপিডেমিক অফ লোনলিনেস অ্যান্ড আইসোলেশন” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে এটি বলেছে যে একাকীত্ব (Loneliness )একটি ভয়ঙ্কর অনুভূতির চেয়ে অনেক বেশি – এটি ব্যক্তি এবং সামাজ উভয় স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি করে। এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ডিমেনশিয়া, স্ট্রোক, বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং অকালমৃত্যুর বৃহত্তর ঝুঁকির সাথে যুক্ত।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সমস্যাটির সমাধানের জন্য পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। একাকীত্ব এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এই সমস্যা দুটির মোকাবেলায় সরকার, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং সম্প্রদায়গুলিকে একসাথে কাজ করতে হবে। কমিউনিটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে সামাজিক সংযোগের প্রচার, মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান কেন্দ্রগুলির সাথে যোগাযোগ উন্নত করা এবং মানসিক নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তি পেতে ব্যক্তিদের সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে সাহায্যের জন্য পৌঁছানোর উৎসাহিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
বর্তমান কর্ম ব্যস্ততার যুগে একাকীত্বের(Loneliness) সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য একটি বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন যাতে বিভিন্ন গোষ্ঠী জড়িত থাকে,এমনকি ব্যক্তি নিজেও অন্তর্ভুক্ত থাকে। দৃঢ় সামাজিক নেটওয়ার্ক তৈরি করা, অর্থপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা, এবং একাকীত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি আত্মীয়তার বোধ গড়ে তোলা অপরিহার্য।
আরও পড়ুন
ChatGPT শিক্ষার্থীদের জন্য আশীর্বাদ না অভিশাপ ?
উত্তরাপথ: ChatGPT বর্তমানে একটি বহুল প্রচলিত শব্দ বিশেষকরে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। এবার আসা যাক ChatGPT নিয়ে ছাত্র সমাজের কেন এত আগ্রহ? ChatGPT হল একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial intelligence)। OpenAI এটিকে ২০২২ নভেম্বরে বাজারে আনে। এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী তার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মুহূর্তে পেতে পারে এছাড়াও এই অ্যাপ ইমেল, প্রবন্ধ সেই সাথে কোড রচনার কাজেও সাহায্য করে। এবার আসাযাক ChatGPT র কাজ প্রসঙ্গে ধরুন আপনি রবীন্দ্রনাথের মত কবিতা লিখতে আগ্রহী অথচ আপনি কবি .....বিস্তারিত পড়ুন
৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল: হাইকোর্ট ও পর্ষদের টানাপড়েন অব্যাহত
উত্তরাপথ: সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে আর তাই নিয়ে শুরু হয়েছে যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির খেলা। বিচারপতির বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের সময় এই শিক্ষকেরা অপ্রশিক্ষিত ছিলেন আর এই 'অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের' নিয়োগ করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা এবং সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে। এই পদ্ধতির ত্রুটির কারণে এই শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করা হল। .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়
এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন। কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে। ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
প্রয়াত "কালবেলা"-র স্রষ্টা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার
উত্তরাপথ: সাহিত্য একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রামণের কারনে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ১৯৪২ সালে উত্তরবঙ্গের গয়েরকাটায় জন্ম এই বিখ্যাত লেখকের।ষাটের দশকের গোড়ায় তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের বাংলা (সাম্মানিক) স্নাতক বিভাগে৷ এর পর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য .....বিস্তারিত পড়ুন