উত্তরাপথ


ছবি সংগৃহীত
গত ৭ জুলাই ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির(Mahendra Singh Dhoni) ৪২তম জন্মদিন । তিনি ২০০৭ সালে ভারতের ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন এবং ভারতকে টি -২০ বিশ্বকাপ এনে দেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনি বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের অধিকারী, তার সংগ্রহ ৬,৬৩৩ রান ।উত্তরাপথের পক্ষ থেকে তার জন্মদিনে তাঁর প্রতি রইল বিনম্র অভিনন্দন ।
মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni) বা”এমএসডি” যিনি “ক্যাপ্টেন কুল” নামেও পরিচিত, খেলার ইতিহাসে সবচেয়ে সম্মানিত এবং খ্যাতিমান ক্রিকেটারদের একজন। তার ব্যতিক্রমী নেতৃত্বের দক্ষতা, শান্ত আচরণ, এবং অসাধারণ ব্যাটিং এবং দক্ষতার সাথে উইকেটকিপিং, ধোনিকে ক্রিকেট বিশ্বে একটি অনন্য স্থান দিয়েছে
মহেন্দ্র সিং ধোনি ৭ জুলাই, ১৯৮১ ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ।এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে তার শক্তিশালী ব্যাটিং পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং নিজেকে ধীরে ধীরে ভারতীয় ক্রিকেটের সুপারস্টার করে তোলেন। ধোনির সাফল্য আসে ২০০৪ সালে যখন তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ওডিআইতে ভারতের হয়ে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক করেন।
এরপর ২০০৭ সালে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিযুক্ত হন। তার নেতৃত্বে, ভারত অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে, বড় টুর্নামেন্ট জিতে এবং নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায়। ধোনির শান্ত এবং মার্জিত আচরণ, এমনকি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও, শান্ত ভাবে যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা তাকে তার ভক্তদের কাছে “ক্যাপ্টেন কুল” করে তুলেছে। তার বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত, কৌশলী বুদ্ধি এবং তার সতীর্থদের অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা তাকে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়ক করে তুলেছে ।
ব্যাটিং এ ধোনি তার শক্তিশালী ব্যাটিং স্টাইলের জন্য পরিচিত, তিনি তার হেলিকপ্টার শট এবং তীব্র চাপের মধ্যে ম্যাচ শেষ করার ক্ষমতা দিয়ে সারা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তদের বিনোদন দিয়েছেন। ধোনির অসাধারণ ব্যাটিং রেকর্ডের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য ম্যাচ জেতানো ইনিংস এবং শ্রেষ্ঠ ফিনিশারের খ্যাতি ,এছাড়াও পরিস্থিতি অনুযায়ী তার ব্যাটিং শৈলীতে পরিবর্তন করার ক্ষমতা তাকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সত্যিকারের সম্পদে পরিণত করেছে ।
তার ব্যাটিং দক্ষতার পাশাপাশি ধোনি একজন ব্যতিক্রমী উইকেটরক্ষক। তার স্টাম্পের পিছনে তৎপরতা এবং দ্রুত স্টাম্পিং করার ক্ষমতা তাকে প্রচুর প্রশংসা এনে দিয়েছে। ধোনির উইকেটকিপিং দক্ষতা, তার সূক্ষ্ম অধিনায়কত্বের সাথে মিলিত হয়ে, তাকে দলের জন্য একটি অমূল্য সম্পদে পরিণত করেছে।
ধোনির বর্ণাঢ্য কেরিয়ার অসংখ্য প্রশংসা এবং কৃতিত্বের সাথে সজ্জিত। তার নেতৃত্বে, ভারত ২০০৭ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে। তিনিই একমাত্র অধিনায়ক যিনি তিনটি বড় আইসিসি ট্রফি জিতেছেন। ভারতের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ডও ধোনির।
মাঠে তার কৃতিত্বের বাইরেও, ধোনির নম্র এবং নমনীয় ব্যক্তিত্ব তাকে ভক্ত এবং সহকর্মী ক্রিকেটারদের সম্মান এবং প্রশংসা এনে দিয়েছে । তিনি তার কাজের নীতি, নিষ্ঠা এবং অনুগ্রহের সাথে চাপ সামলানোর ক্ষমতা দিয়ে ক্রিকেটারদের একটি প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
ক্রিকেট খেলায় মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) প্রভাব অপরিসীম। তার ব্যতিক্রমী নেতৃত্বের দক্ষতা থেকে তার অসাধারণ ব্যাটিং এবং উইকেটকিপিং দক্ষতা, যা দিয়ে তিনি ক্রিকেট খেলায় একটি অমার্জনীয় ছাপ রেখেছেন। ধোনির শান্ত ব্যক্তিত্ব এবং চাপের মধ্যে কাজ করার ক্ষমতা তাকে ক্রিকেট বিশ্বে একটি আইকনিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিসেবে ধোনির স্থান ক্রিকেটপ্রমীদের হৃদয়ে সর্বদা সুরক্ষিত।
আরও পড়ুন
দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?
উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে। বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী? আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত? পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না? এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন
Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে
বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন
Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে বিতর্কে এ আর রহমান
উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন