১ লা জুন ২০২৩

Manbhum Sanskriti: মানভূমের কৃষিকেন্দ্রিক ব্যঙ্গাত্মক প্রবাদ

ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাতো

প্রবাদে ব্যঙ্গ  আসে মূলত স্বভাব সংশোধনের  প্রয়োজনে। অনেক সময় সমাজ সমালোচনা ব্যঙ্গাত্মক প্রবাদের উদ্দেশ্য হয়। মানভূমের কৃষক সমাজেও এই ধরনের ব্যঙ্গাত্মক প্রবাদ  লক্ষ্য করা যায়। যেমন – 

 বাপের কালে নাইকো চাষ,

              ধানকে বলে দুর্বা ঘাস।

এখানে কৃষিকাজ সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের চরম ব্যঙ্গ করে বলা হয়েছে যে, তারা কৃষিজ ফসলের  অন্যতম প্রধান  ধান গাছকেও দুর্বা ঘাস বলে মনে করে। প্রবাদটিতে ঘুরিয়ে বলা হয়েছে যে, কৃষকেরাই কৃষিসংক্রান্ত বিষয়গুলি  ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং কৃষিকাজ দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারে।

প্রবাদটির বাস্তব সমাজজীবনে প্রাসঙ্গিকতা 

বাস্তব সমাজজীবনে দেখা যায়, অনেক ব্যক্তি আছেন যাঁরা যে বিষয়ে অনভিজ্ঞ সেই বিষয়ে এমন কিছু বলেন বা ধারণা পোষণ করেন যা মূল বিষয় থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মন্তব্য করতে যাওয়া বা মতামত দেওয়ার প্রবণতাকে আলোচ্য প্রবাদটিতে তীব্র ব্যঙ্গ করা হয়েছে।

       শ্রাবণে জ্বরে অঘ্রানে ঘরে, 

      সে পুত হয়ে কেনে না মরে। 

শব্দার্থ : ঘরে – এখানে ‘ঘরে’ বলতে নিষ্কর্মা হয়ে বাড়িতে বসে থাকাকে বোঝানো হয়েছে।

পুত – পুত্র । এখানে ‘পুত’ বলতে মূলত চাষিকে বোঝানো হয়েছে। 

ব্যাখ্যা : কৃষকদের জীবন জীবিকায় শ্রাবণ ও অগ্রহায়ণ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে ধান চাষ হিসাবে মূলত আমন ধানের চাষই করা হয়। এই আমন ধান রোপণের উৎকৃষ্ট সময় হলো শ্রাবণ মাস। তাই, শ্রাবণ মাসে কোন চাষি যদি শারীরিক অসুস্থতার কারণে বা কোন অজুহাতে ঘরে বসে অলস নিষ্কর্মার জীবন যাপন করে তাহলে তার চাষের কাজে বিঘ্ন ঘটে এবং আগামী দিনগুলি ফসল প্রাপ্তির অভাবে হেতু কষ্টকর হয়ে ওঠে।

অনুরূপভাবে,  অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান কাটার সময় কোন চাষি যদি ফসল কাটার কাজে নিযুক্ত না থেকে বাড়িতে অলসভাবে জীবন কাটায়,  তাহলে সেই চাষির জীবনও অভাব ও দারিদ্র্যের আঘাতে জর্জরিত হয়। তখন যেন তার বেঁচে থাকাই নিরর্থক হয়ে যায়। সেই পরিস্থিতিতে, এরকম অলস চাষির বেঁচে থাকার নৈতিক অধিকারও যেন থাকে না।

আলোচ্য প্রবাদটির প্রাসঙ্গিকতা কৃষক সমাজের মধ্যেই গভীরভাবে দেখা যায়। কঠিন কৃষকজীবনে অবসর খুব কম। তাই, নির্দয় হলেও এই সত্য মেনে নেওয়া দরকার যে কাজের সময় ঘরে বসে থাকার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয়।

        শুবার সময় রুবার কথা ,

            কোন ক্ষেতটা হবেক কাদা ?

 শব্দার্থ : শুবার সময় – ‘শুবার সময়’ বলতে এখানে রাত্রিতে ঘুমোবার সময়কে বোঝানো হয়েছে।  রুবার – রোপণ করার।

ব্যাখ্যা : কৃষিকাজে সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা ও ভাবনা-চিন্তার বিশেষ প্রয়োজন হয়। কৃষকেরা অনুকূল সময়ে এই ভাবনাচিন্তা বা পরিকল্পনা করেন। কৃষিকাজ দিনের বেলা হয়। চাষিরা সারাদিন পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই, রাত্রিতে ঘুমোবার সময় তারা দ্রুত ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সুতরাং, ঘুমোবার সময় পরবর্তী দিনের চাষের কাজের পরিকল্পনা করা চাষির কাছে কখনোই অনুকূল সময় নয়। বরং এই আলোচনা তার কাছে সেই সময় নিরর্থক।

সুতরাং আলোচ্য প্রবাদটিতে পরোক্ষভাবে বলা হয়েছে চাষের কাজে সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। কৃষকের বাস্তব জীবনে সময় পরিকল্পনাকে আলোচ্য প্রবাদে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী কৃষকেরা শ্রমের ক্লান্তি মেটানোর সময় বা ঘুমের সময় ব্যাঘাত ঘটবে না। এতে পরবর্তী দিনের জন্য কৃষক শারীরিক ক্ষমতাকে সম্পূর্ণভাবে অর্জন করতে পারে। 

বাপের কালে  চাষ নাই, বেনামুড়ে জিহুড় ।

শব্দার্থ : জিহুড় – মূলত পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের কৃষক সমাজে আশ্বিন মাসের সংক্রান্তির দিনটিকে ‘ জিহুড় ‘ বলা হয়। ধান গাছকে আসন্ন প্রসবা লক্ষ্মী মনে করে কৃষকেরা ওই দিন ‘স্বাদ অন্ন’ অনুষ্ঠান করে থাকে। 

ব্যাখ্যা : কৃষক সমাজে ধান গাছকে লক্ষ্মী স্বরূপা বলে গণ্য করা হয় । আশ্বিন মাসের শেষ দিকে ধান গাছে ( আমন ধান ) থোড় (ধানের শীষ ) আসতে শুরু করে। মূলত পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের কৃষক সমাজে আশ্বিন মাসের সংক্রান্তির দিনটিকে জিহুড় বলা হয়। ওই দিন এই অঞ্চলের কৃষকেরা ধান গাছকে আসন্ন প্রসবা লক্ষ্মী মনে করে বিশেষ আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাদ-ভক্ষণ করায়। জিহুড় হলো এখানকার কৃষক সমাজে প্রচলিত একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষিকেন্দ্রিক আচার অনুষ্ঠান।

কিন্তু যাদের চাষবাস নেই তাদের কাছে জিহুড়ের আচার-অনুষ্ঠান গুরুত্বহীন। আলোচ্য প্রবাদটিতে কিছুটা ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতেই বলা হয়েছে যাদের চাষবাস নেই তারা যেন ধান গাছের পরিবর্তে বেনা ঘাসের উপরেই জিহুড়ের অনুষ্ঠান করেন অর্থাৎ তাদের কাছে জিহুড়ের অনুষ্ঠান যে নিরর্থক- সে কথায় এখানে বলা হয়েছে।   

সমাজে ব্রাহ্মণ শ্রেণীকে তার কৃষিকাজে অনভিজ্ঞতা ও কুড়েমির জন্য প্রবাদে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। যেমন – 

 ক ) বামুন চাষা, বতর নাশা।

   ( শব্দার্থ :  বতর – অনুকূল অবস্থা, সুযোগ )

 খ ) বামুন ঘরের আঁইড়া গরু ।

এই প্রবাদ গুলিতে যেমন একদিকে বামুন চাষার অলস ও শ্রমবিমুখ জীবনযাপনকে ব্যঙ্গবিদ্ধ করা হয়েছে, অন্যদিকে তেমনি বামুন চাষার আঁইড়া গরুর নিষ্কর্মা জীবনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। এইভাবে সমাজের কোন বিশেষ শ্রেণী সম্পর্কে একটি বিশেষ ধারণা কৃষক সমাজের মধ্যে গড়ে ওঠে।  

এই ধরনের ব্যঙ্গাত্মক প্রবাদগুলি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণের জন্য রচিত হয়নি। এগুলি প্রচলিত হয়েছে মূলত সমাজ সংশোধনের জন্য এবং ব্যক্তি চরিত্রের স্বভাব সংশোধনের জন্য। এখানেই এগুলির গুরুত্ব।

এই লেখকের অন্যান্য প্রবন্ধ: লিরন মাসে (বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাস) মানভূমের লোক- পার্বণ, মানভূমে প্রচলিত কৃষিপদ্ধতি সংক্রান্ত প্রবাদ, মানভূমে প্রচলিত রাত কহনি

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক

উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক  সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক।  প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন।  ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?

উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।    বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

ওজন হ্রাস (weight loss) মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে

উত্তরাপথঃ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ একটি ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য খাওয়া - এমনকি শুধুমাত্র খাদ্যের নির্দেশিকা অনুসরণ করে   ওজন হ্রাস (weight loss)মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে বলে মনে করা হয়।সাম্প্রতি ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত, একটি  গবেষণায় দেখা গেছে যে ওজন হ্রাস মস্তিষ্কে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ৯ মাস পর্যন্ত ধীর করে (aging process) দিতে পারে। গবেষণায় ৬০ থেকে ৭৮ বছর বয়সের মধ্যে ৪৭ জন অংশগ্রহণকারীকে জড়িত করা হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকেরই ওজন বেশি বা স্থূল ছিল এবং তাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণ  ছিল। তাদের এলোমেলোভাবে একটি ক্যালোরি-সীমাবদ্ধ গ্রুপ বা একটি নিয়ন্ত্রণ গ্রুপে বরাদ্দ করা হয়েছিল।ক্যালোরি-সীমাবদ্ধতা গোষ্ঠীর সদস্যদের একটি খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণ করে, যার লক্ষ্য ছিল তাদের আনুমানিক প্রয়োজনের চেয়ে ১০ – ১৫% কম ক্যালোরি গ্রহণ করা। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ তাদের খাদ্য পরিবর্তন করেনি .....বিস্তারিত পড়ুন

World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?

প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে  পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি  তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন