Manipur Violence: মণিপুরে গুলিবর্ষণ, কেন্দ্রের শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে কুকি সম্প্রদায় ক্ষুব্ধ, মেইটি স্বাগত জানিয়েছে

উত্তরাপথ

মণিপুরে আবার অশান্তির সূত্রপাত। সোমবার গভীর রাতে গ্রামের স্বেচ্ছাসেবকরা কিছু অস্থায়ী বাঙ্কার এবং জঙ্গিদের স্থাপিত একটি ‘ওয়াচ-টাওয়ার’ জ্বালিয়ে দেয় এরপর একালায় অশান্তির সূত্রপাত হয় বলে খবর।  পুলিশ জানিয়েছে, হিংসা কবলিত মণিপুরের ইম্ফল পূর্ব জেলার খামেনলোক এলাকায় জঙ্গি ও গ্রামীণ স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে মোট বারোজন আহত হয়েছেন বলে খবর। তবে উভয় পক্ষের গোলাগুলি অব্যাহত থাকায় আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অশান্তি প্রতিরোধে এলাকায় বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এখন উভয় পক্ষই পিছু হটেছে। এলাকাটি মেইতি-অধ্যুষিত ইম্ফল পূর্ব জেলা এবং উপজাতি-অধ্যুষিত কাংপোকপি জেলার সাথে সীমানা । 

অন্যদিকে, কুকি সম্প্রদায়ের সদস্যরা, যারা হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুরে বেশ কয়েকটি জাতিগত সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য কেন্দ্র দ্বারা গঠিত কমিটির অংশ, তারা তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।তাঁর দাবি করেছেন, কমিটিতে তাদের নাম আসার আগে তাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি।  বেশ কয়েকটি কুকি সংস্থা সিএম এন.কে.  বীরেন সিং-এর অন্তর্ভুক্তিতে আপত্তি জানিয়েছে। অন্যদিকে মেইতি সম্প্রদায়ের সদস্যরা শান্তি কমিটি গঠনকে স্বাগত জানিয়েছেন।

এদিকে কংগ্রেস মঙ্গলবার প্রশ্ন করেছে যে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সহ বিজেপি নেতারা মণিপুর নির্বাচনের সময় ‘কুকি চরমপন্থীদের’ সাহায্য চেয়েছিলেন কিনা? একটি টুইট বার্তায়, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুরজেওয়ালা প্রশ্ন করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘কুকি চরমপন্থীদের’ কাছ থেকে যে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল তা জানেন কি?  যদি হ্যাঁ, তারা কিভাবে এটি অনুমোদন করতে পারে?  তা না হলে তারা কেন বেখবর ছিল?  এটা কি নির্লজ্জভাবে আমাদের জাতীয় স্বার্থের সাথে আপস করে না?  প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে, কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, “বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং রাম মাধবের বিষয়ে প্রকাশ তথ্য সত্যিই বিরক্তিকর এবং দাবিগুলি প্রমাণিত হলে জাতীয় সুরক্ষার সাথে একটি ক্ষমার অযোগ্য আপরাধ।” জয়রাম রমেশ বলেন, আজ আরএসএস/বিজেপি রাজনীতির কারণে আজ মণিপুর জ্বলছে।’

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


মতুয়া আন্দোলনের এক মনোগ্রাহী ভাষ্য

অরবিন্দ পুরকাইত: আপাত বা গভীর কোনও স্তরেই তেমন কিছু তফাৎ পরিলক্ষিত না হলেও, বর্ণবাদী সমাজে একই পাড়ায় একেবারে প্রায় পাশাপাশি কেবল বিশেষ বিশেষ ঘরে জন্মানোর নিমিত্ত - শিক্ষাদীক্ষা পরের কথা – ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকেই আজীবন একজন শ্রদ্ধা-ভক্তি-প্রণাম পাওয়ার অদৃশ্য শংসাপত্রের অধিকারী আর অন্যজনের সেবা-শ্রদ্ধা-ভক্তির অদৃশ্য দাসখতের দায়বদ্ধতা! কেন-না সৃষ্টিলগ্নেই একজন প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখনিসৃত আর অন্যজন পদজ যে! সুতরাং মুখ থাকবে সবার উপরে, সবার নিচে পা – এতে অস্বাভাবিকতা বা আশ্চর্যের তো কিছু নেই! কিন্তু কেবল সেবা-শ্রদ্ধাতেই সব মিটে .....বিস্তারিত পড়ুন

যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষও আমি

ড. জীবনকুমার সরকার: ৭ এপ্রিল ২০২৩ প্রয়াত হলেন যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষ। তাঁর প্রয়াণে দেশ ভারাক্রান্ত। যুক্তিবাদীরা চরম মর্মাহত। আমিও। তাঁর সঙ্গে কীভাবে জড়িয়েছিলাম সে এক ইতিহাস। ১৯৯৪ সালে মাধ্যমিক পাস করে গাজোল হাইস্কুলে সবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। নতুন বইয়ের মধ্যে ডুবে আছি। আর নিয়মিত ক্লাস করছি। এইভাবে পুজোর ছুটি এসে যায়। পুজোর ছুটির আগের দিন অর্থাৎ যেদিন স্কুল হয়ে এক মাসের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল, সেইদিন আমি আর রাজেন লাইব্রেরীতে যাই। রাজেন আমার ছাত্রজীবনের সেরা বন্ধু। দুজনে কী বই নেবো, কী ধরনের বই নিয়ে .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top