

উত্তরাপথঃ মিলিয়ানো মার্টিনেজ (Martinez) প্যারিসে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে মর্যাদাপূর্ণ ইয়াশিন ট্রফি জিতেছেন, অ্যাস্টন ভিলা। মার্টিনেজকে তার বাবা আলবার্তো পুরস্কার দেন। কাতার বিশ্বকাপে করেছিলেন অনবদ্য পারফরম্যান্স। প্রতিটি ম্যাচেই আর্জেন্টিনার হয়ে গোলপোস্টে যিনি তার দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তিনি হলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। আর ফাইনালেও তিনি তার অবিশ্বাস্য নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন । সেকারণে বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন মার্তিনেস।কাতার বিশ্বকাপেও সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।বেশ কিছু আগে থেকেই আগেই ধারণা করা হয়েছিল, বর্ষসেরা গোলরক্ষক হতে চলেছেন তিনি।অবশেষে সেই ধারনাকে সত্য করে প্যারিসে ট্রফি নিলেন মার্তিনেস।
প্রসঙ্গত গত মাসে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এবং গোল্ডেন গ্লাভ গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ভারত সফর করেছেন।সেই সময় কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মার্টিনেজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য, আর্জেন্টিনা ২০২২ সালে কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছিল।
মার্টিনেজ(Martinez), যিনি কাতার ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ এ গোল্ডেন গ্লাভ জিতেছেন, বর্তমানে তিনি ইংলিশ ফুটবল ক্লাব অ্যাস্টন ভিলার হয়ে খেলেন। তিনি ব্যক্তিগত সফরে কলকাতা পৌঁছেছিলেন,এবং সেখানে তিনি আরও অনেক কর্মসূচিতে অংশ নেন।প্রসঙ্গত কাতারের সাথে, মার্টিনেজ ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টেও গোল্ডেন গ্লাভ পুরস্কার জিতেছে। কোপা আমেরিকা ২০২১-এও আর্জেন্টিনা দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কলকাতায় আর্জেন্টিনা ও লিওনেল মেসির প্রচুর ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে। সেই সময় দুই দিন কলকাতায় ছিলেন মার্টিনেজ।
এর আগে দুর্দান্ত ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার পেলে এবং গ্রেট আর্জেন্টিনার ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনাও পৌঁছেছেন কলকাতায়। তাদের দুজনকে ভারতে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সাতরাদু দত্ত। পেলে ১৯৭০ সালে এবং ম্যারাডোনা ২০০৮ সালে কলকাতা সফর করেছিলেন।এ ছাড়া দুঙ্গা, কাফু এবং লোথার ম্যাথাউসও এসেছেন কলকাতায়। তবে অবসরের বহু বছর পর তাঁরা সবাই কলকাতায় গিয়েছিলেন। একই সময়ে, মার্টিনেজ হলেন প্রথম বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার যিনি বর্তমানে খেলার সময় কলকাতা সফর করেছেন।
প্রসঙ্গত ২০১০ সালে মার্টিনেজ (Martinez) তার পেশাগত জীবন শুরু করেন। এরপর যোগ দেন ইংলিশ ফুটবল ক্লাব আর্সেনালে। তবে এই দলে তিনি সবসময়ই রিজার্ভ গোলরক্ষক হিসেবেই থেকেছেন। তাকে ১০ বছরের জন্য বেঞ্চে বসানো হয়েছিল। ২০২০ সালে তিনি প্রথমবারের মতো আর্সেনালের হয়ে খেলার সুযোগ পান। ম্যাচটি ছিল এফএ কাপ ফাইনাল, আর্সেনাল এবং চেলসির মধ্যে খেলা। নিয়মিত গোলরক্ষক বার্ন্ড লেনোর আঘাতের কারণে মার্টিনেজ খেলার সুযোগ পান এবং আর্সেনালকে এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেন। এই ম্যাচে আর্সেনাল জিতেছে ২-১ গোলে।
আরও পড়ুন
আর্চারি এশিয়াতে ভারতের সর্বোচ্চ পদক অর্জন
উত্তরাপথ: যাকে বলে ক্লিন সুইপ! আর্চারির এশিয়া কাপ স্টেজ ২ ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে ভারত। ফাইনালে ভারতের পুরুষ-মহিলা কম্পাউন্ড আর্চারি দলের সামনে দাঁড়াতে পারেনি কোনও প্রতিপক্ষ। পদকতালিকায় আসরে অংশগ্রহণ করা দেশগুলোকে পিছিয়ে সর্বোচ্চ পদক অর্জন করেছে ভারতের নারী ও পুরুষ আর্চারি দল। ৯টি সোনাসহ সবমিলিয়ে জিতেছে ১৪টি পদক। এছাড়াও ৫টি রৌপ্য ও ২টি ব্রোঞ্জ .....বিস্তারিত পড়ুন
মানুষে মানুষে ঐক্য কীভাবে সম্ভব
দিলীপ গায়েন: হিন্দু,মুসলমান,ব্রাহ্মণ,তফসিলি।সকলেই মানুষ।কিন্তু এদের মধ্যে যে ব্যবধান তা হলো ধর্ম ও সাংস্কৃতিক। এই ব্যবধান মুছতে পারলে একাকার হওয়া সম্ভব। যারা বলছে আর্থিক সমতা প্রতিষ্ঠা হলে ব্যবধান মুছে যাবে, তাদের কথাটি বোধ হয় সঠিক নয়।তার প্রমাণ গরিব ও শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে আর্থিক ব্যবধান নেই। অথচ জাতিভেদ রয়ে গেছে। তেমনি কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা ব্যতীত ধনী ও শিক্ষিত সমাজে আর্থিক সচ্ছলতা থাকলেও জাতিভেদ রয়ে গেছে। একমাত্র হাসপাতালে বা চিকিৎসা ব্যবস্থায় জাতিভেদ নেই।কারণ সেখানে তো প্রচলিত ধর্মজাত প্রভেদ বা পরিচয় নেই। আছে মেডিসিন, যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞান। কারোর ধর্ম বা জাত দেখে প্রেসক্রিপশন হয় কি? এখানে মানুষের একমাত্র এবং শেষ পরিচয় সে মানুষ। .....বিস্তারিত পড়ুন
ChatGPT শিক্ষার্থীদের জন্য আশীর্বাদ না অভিশাপ ?
উত্তরাপথ: ChatGPT বর্তমানে একটি বহুল প্রচলিত শব্দ বিশেষকরে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। এবার আসা যাক ChatGPT নিয়ে ছাত্র সমাজের কেন এত আগ্রহ? ChatGPT হল একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial intelligence)। OpenAI এটিকে ২০২২ নভেম্বরে বাজারে আনে। এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী তার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মুহূর্তে পেতে পারে এছাড়াও এই অ্যাপ ইমেল, প্রবন্ধ সেই সাথে কোড রচনার কাজেও সাহায্য করে। এবার আসাযাক ChatGPT র কাজ প্রসঙ্গে ধরুন আপনি রবীন্দ্রনাথের মত কবিতা লিখতে আগ্রহী অথচ আপনি কবি .....বিস্তারিত পড়ুন
বঞ্চনার আর এক নাম শবর
বলরাম মাহাতো: শবর কথাটির উৎপত্তি হয়েছে ‘সগর’ থেকে। ‘সগর’ শব্দের অর্থ হলো কুঠার। বোঝাই যাচ্ছে, শবররা কুঠার হাতে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতেন। সেখান থেকেই শবর নামটির প্রচলন হয়। শবররা বাস করেন পশ্চিম বাংলা, চেন্নাই, মধ্যপ্রদেশ, ছোটনাগপুর আর উড়িষ্যায়। আমাদের দেশে বর্তমানে শবরদের সংখ্যা ২,০০০ এর কিছু বেশি। শবর কোনো একজনের নাম নয়, এটি একটি জনগোষ্ঠীর নাম। বর্তমানে ভারতে এই শবর জনগোষ্ঠী একটি .....বিস্তারিত পড়ুন