Nyay Yatra: রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা কি INDIA জোটকে ন্যায় দিতে পারবে?

উত্তরাপথঃ কড়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও শুরু হল রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা(Nyay Yatra)।  মণিপুর সরকার প্রথমে স্থান এবং পরে সংখ্যার বিষয়ে অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।  মণিপুরে বিজেপির সরকার আছে।কংগ্রেসের লক্ষ্য রাহুল গান্ধীর আগের ভারত জোড় সফরের মতো এটিকে একটি “রূপান্তরমূলক” সফর করা।যাত্রাটি ১৫টি রাজ্যের ১০০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে বাসে এবং পায়ে হেঁটে ৬,৭১৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে।ন্যায় যাত্রা ৬৭ দিনে ১১০টি জেলা অতিক্রম করবে এবং ২০ বা ২১ মার্চ মুম্বাইয়ে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে, কংগ্রেস তার বড় মিশনের পদক্ষেপ হিসাবে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড় ন্যায়  যাত্রার (Nyay Yatra )সূচনা করল।  এর আগে কংগ্রেস ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে দক্ষিণ থেকে উত্তরে অনেক রাজ্য সফর করেছিল এবং বেশ কিছু রাজ্যে সাফল্যের মুখ দেখে কংগ্রেস। এবার সেই একই পথে দলকে আরও জনপ্রিয় করার জন্য  ভারত জোড় ন্যায় যাত্রা শুরু করল কংগ্রেস।

রবিবার মণিপুরের থাউবাল জেলার খংজোম থেকে কংগ্রেসের এই যাত্রা শুরু হয় ।এখানে একটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে খংজোম একটি যুদ্ধ স্মারক এবং এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।খাংজোম মেমোরিয়ালটি ২০১৬ সালে দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখার্জির দ্বারা উদ্বোধন করা হয়েছিল।

এখন লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কংগ্রেসের এই ভারত ন্যায় যাত্রা (Nyay Yatra )তাৎপর্যপূর্ণ।  প্রকৃতপক্ষে, এই যাত্রা যে ১১০টি জেলার মধ্য দিয়ে যেতে চলেছে, তাই কংগ্রেসের আশা সরাসরি ১০০ টি লোকসভা আসন এবং ৩৩৭ টি বিধানসভা আসনে আগামী দিনে তারা জয়ী হতে চলেছে।  দেশের প্রাচীনতম দলটি এই যাত্রার মধ্য দিয়ে মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসাম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটের মতো বহু রাজ্য কভার করতে চলেছে।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বলা হয় ,তারা  বিশ্বাস করে যে রাহুল গান্ধী গত বছর ‘ভারত জোর’ যাত্রার মাধ্যমে ভারতকে একত্রিত করার কাজ করেছিলেন, কিন্তু এখনও সমাজের অনেক অংশ ন্যায়বিচার পাননি।  সরকারের ভুল নীতির কারণে গরিব থেকে বেকার সবাই নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।  এমতাবস্থায় তাদের সাহায্যার্থে এই যাত্রা করা হচ্ছে।তবে কংগ্রেস মুখে একথা বললেও রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এই ন্যায় যাত্রার মাধ্যমে কংগ্রেস ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারকে বিপাকে ফেলার  জন্য তাদের বড় পরিকল্পনা পুনরায় চালু করছে।এখন দেখার রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা  INDIA জোটকে ন্যায় দিতে পারে কিনা।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি

উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

NASA Carbon Emission: পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে

উত্তরাপথঃ কার্বন নির্গমন (NASA Carbon Emission) সম্পর্কে নাসার সর্বশেষ আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য এক সতর্কতা সংকেত। মহাকাশ সংস্থার মতে, পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে, যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। NASA এর এই আবিষ্কারটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে দেখা যেতে পারে, সেইসাথে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেছে।নাসার সর্বশেষ গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে পৃথিবীর মহাসাগর এবং ভূমি-ভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র আগের চেয়ে কম কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গত এক দশকে ভূমি এবং মহাসাগর দ্বারা শোষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৫% হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার

উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে।  কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে।  যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে।  অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়।  এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি  যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে।  পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে।  এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন

সহযাত্রী

দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top