Race for Resources: চাঁদ এবং বিভিন্ন গ্রহাণুকে নিয়ে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা

সৌম্য সেনগুপ্তঃ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, চাঁদ এবং গ্রহাণুর মতো মহাকাশীয় বস্তু থেকে খনিজ আমদানি (Race for Resources) নিয়ে আবার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে।মহাকাশ থেকে খনিজ আমদানির ধারণাটি এক সময় কল্পকাহিনী মনে হলেও আজ সেটি বাস্তবতায় স্থানান্তরিত হয়েছে। ২০১৫ সালে, নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে চাঁদে “শত বিলিয়ন ডলার” অব্যবহৃত সম্পদ রয়েছে।আজ মূলত এই সম্পদগুলির জন্য প্রতিযোগিতা তীব্র হয়েছে, যা বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে একটি নতুন মহাকাশ প্রতিযোগিতার জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ইতিমধ্যেই আর্টেমিস ১ মিশন সম্পন্ন করেছে । নাসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে  চাঁদে কলোনি তৈরি করার। চাঁদ জয়ের এই প্রতিযোগিতায় রাশিয়া সম্প্রতি একটি অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। একই সময়ে সবচেয়ে কম খরচে চাঁদের বুকে অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। জাপানও সাম্প্রতিক এক অভিযানে চাঁদের বুকে নিরাপদে অবতরণ করিয়েছে তাদের মুন স্নাইপার নভোযান।

চাঁদ জয়ের এই প্রতিযোগিতা এক কথায় Race for Resources যা এক সময় শুরু হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার হাত ধরে ১৯৬৯ সালে মার্কিন নভোচারী নীল আর্মস্ট্রংয়ের চাঁদে পা রাখার মাধ্যমে।এতবছর পর চাঁদ জয়ের সেই প্রতিযোগিতা আবার নতুন করে ফিরে এসেছে। এবারে আরও বড় পরিসরে, আরও বিপুলভাবে শুরু হয়েছে এই প্রচেষ্টা। এই প্রতিযোগিতায় শুধু চাঁদ নয়, বিভিন্ন গ্রহাণুতেও অভিযান চালাচ্ছে এখন দেশগুলো। সাইকি নামের একটি গ্রহাণুর উদ্দেশ্যে নভোযান পাঠিয়েছে সম্প্রতি নাসা। ওদিকে হায়াবুসা ২ গ্রহাণুতে অভিযান চালিয়েছে জাপান। লক্ষ্য একটিই স্পেস মাইনিং,আর তানিয়ে এই প্রতিযোগিতা। পৃথিবীতে সম্পদের অবক্ষয় হওয়ার সাথে সাথে, এবার দেশগুলির লক্ষ্য এবার মহাকাশের দিকে কারণ অনুমান করা হচ্ছে বিভিন্ন গ্রহাণুর খনিজ সম্পদের মূল্য ট্রিলিয়ন ডলার হতে পারে ৷

এখন প্রশ্ন হতেই পারে মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহাণুতে ছড়িয়ে থাকা সম্পদের মালিকানা কার? ১৯৬৭ সালে ‘আউটার স্পেস ট্রিটি’ নামে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়।এটি হল আনুষ্ঠানিকভাবে “চাঁদ এবং অন্যান্য মহাকাশীয় বস্তু সহ মহাকাশের অন্বেষণ এবং ব্যবহারে রাষ্ট্রগুলির কার্যক্রম পরিচালনার নীতির উপর আন্তর্জাতিক চুক্তি” যা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়েছিল।এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল দেশগুলির মধ্যে Race for Resources কম করা।

এই মহাকাশ চুক্তির মূল বিধানগুলির মধ্যে রয়েছে:

১। মহাকাশে বিনামূল্যে যেকোনো দেশ অনুসন্ধান করতে পারবে কোনও জাতি মহাকাশ বা কোনও মহাকাশের উপর সার্বভৌমত্ব দাবি করতে পারবে না।

২। পৃথিবীর চারপাশে কক্ষপথে পারমাণবিক অস্ত্র বা গণবিধ্বংসী অন্যান্য অস্ত্র স্থাপন নিষিদ্ধ। কোনো রাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্র বা অন্যান্য গণবিধ্বংসী অস্ত্র মহাকাশে স্থাপন করতে পারবে না।

৩। রাষ্ট্রগুলি তাদের দেশের যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার দ্বারা মহাকাশ ক্রিয়াকলাপের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে এবং মহাকাশে দূষণ প্রতিরোধে সব রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে।

৪। চাঁদ এবং অন্যান্য মহাকাশীয় বস্তু শুধু শান্তির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে।

৫। কোনো দেশের স্যাটেলাইটের কারণে মহাকাশে কোনো ক্ষতি হলে সেই দেশ দায়বদ্ধ থাকবে।

‘আউটার স্পেস চুক্তিটি’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার সদস্যদের মতো প্রধান মহাকাশযান দেশগুলি সহ ১০০ টিরও বেশি দেশ দ্বারা স্বাক্ষরিত এবং অনুমোদিত হয়েছে।এ চুক্তি অনুযায়ী, কোনো দেশ চাঁদ বা মহাশূন্যের কোনো বস্তুর মালিকানা দাবি করতে পারবে না। পৃথিবীর বাইরের সব সম্পত্তির মালিক গোটা মানবজাতি।২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৩২ টি দেশ এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।মহাকাশ আইন বিশেজ্ঞদের প্রশ্ন, কোনো জাতি বা রাষ্ট্র যদি মহাকাশের মালিকানা দাবি করতে না পারে, তাহলে কোনো রাষ্ট্রের মানুষও মালিকানা দাবি করতে পারে না। কিন্তু তার পরও চলছে Race for Resources । আউটার স্পেস চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালে ইউএস সিনেটে পাশ করেছে ‘স্পেস অ্যাক্ট’। এই আইনে বলা আছে, মার্কিন নাগরিকরা মহাকাশের বিভিন্ন সম্পদের মালিকানা দাবি করতে পারবেন। ওদিকে লুক্সেমবার্গ সরকার ২০১৭ সালে একটা আইন পাশ করেছে, যাতে তারা নিজ দেশের নাগরিকদের মহাজাগতিক বস্তু থেকে সম্পদ সংগ্রহ ও মালিকানাধীন রাখার অধিকার দিয়েছে। জাপান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এর বিরুদ্ধে আপিল করলেও খুব একটা লাভ হয়নি তাতে। তবে বর্তমানে দেশগুলো চেষ্টা করছে মিলেমিশে একটা নীতিতে আসার।

NASA জল চাঁদে ছাড়াও হিলিয়াম -৩ অস্তিত্বের কথা বলেছে, যা পারমাণবিক সংমিশ্রণে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও ল্যান্থানাইড, স্ক্যান্ডিয়াম এবং ইট্রিয়ামের মতো বিরল আর্থ ধাতুগুলিও উল্লেখ করেছে, যা ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত হয় এবং বেশিরভাগই চীনে উৎপাদিত হয়।চাঁদে যদি জল পাওয়া যায়, তবে চাঁদে কলোনি করা হয়ে যাবে অতি সহজ। অনেক সমস্যার সমাধান যেমন হবে, তেমনি এ থেকে রকেটের ফুয়েল (হাইড্রোজেননির্ভর জ্বালানি) বানানোও যাবে সহজে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হিলিয়াম-৩। এটি নিত্যদিনের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় যেমন এমআরআই (MRI) মেশিনে। এই যন্ত্রের ভেতরে আছে শক্তিশালী চুম্বক। এই চুম্বককে প্রচণ্ড ঠান্ডা করতে—মাইনাস ২৬৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হয়,যার জন্য দরকার হয় হিলিয়ামের। তবে এর আরও বড় ব্যবহার হবে আগামী দিনগুলোতে। অনেক বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগামী দিনে আমরা কোয়ান্টাম কম্পিউটারের দিকে এগোচ্ছি। আগামী ৫০ বছরে এই কম্পিউটার এসে যাবে সবার কাছে। এই কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মূল চালিকা শক্তি যে কোয়ান্টাম প্রসেসর, তা কাজ করে কিউবিট দিয়ে। এই কিউবিটের কার্যক্রম বজায় রাখতে ও কোয়ান্টাম প্রসেসরকে সক্রিয় রাখতে হলে প্রচণ্ড ঠান্ডা রাখতে হয়। এ জন্য, বলা বাহুল্য, হিলিয়াম লাগবে। পাশাপাশি শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে, যেমন নিউক্লিয়ার ফিউশনে লাগবে হিলিয়াম। আর বর্তমানে পৃথিবীতে হিলিয়ামের মজুদ খুব কম, ফুরিয়ে আসছে দিন দিন। এই সমস্যার সমাধান হতে পারে চাঁদ।

 অন্যদিকে  ল্যান্থানাইড সিরিজের মৌলগুলো এবং স্ক্যান্ডিয়াম, ইট্রিয়ামের মতো পদার্থ রয়েছে চাঁদে। এগুলোর ব্যবহার রয়েছে আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতে। বিশেষ করে বর্তমানে চীন যেসব প্রযুক্তি নির্মাণ করছে, সেগুলোতে এ ধরনের ধাতুর ব্যবহার ব্যাপক। এ ছাড়াও মোবাইল ফোন, কম্পিউটারের মতো নিত্যব্যবহার্য ইলেকট্রনিক পণ্যের জন্য দরকার পড়ে তামা, অ্যালুমিনিয়াম, লোহার মতো ধাতু। এগুলোও পাওয়া যেতে পারে চাঁদে। তার মানে, চাঁদ থেকে এসব মূল্যবান খনিজ সংগ্রহ করতে পারলে মিটে যাবে অনেক সমস্যা। উদাহরণ হিসেবে গত বছর ডেইলি মেইলে উদ্ধৃত অনুমানে চাঁদের জলের মূল্য $২০০ বিলিয়ন, এর হিলিয়াম $১.৫ কোয়াড্রিলিয়ন এবং এর ধাতুর মূল্য $২.৫ ট্রিলিয়ন।এই গুলি ছাড়াও, অন্যান্য খনিজগুলির মধ্যে রয়েছে বেসাল্ট, লোহা, কোয়ার্টজ, সিলিকন, প্ল্যাটিনাম, প্যালাডিয়াম, রোডিয়াম এবং টাইটানিয়াম।

চাঁদই লাভজনক উপাদানে ভরপুর একমাত্র স্বর্গীয় বস্তু নয়। ১৬ সাইকি নামে পরিচিত একটি ১৭৩ মাইল-প্রশস্ত গ্রহাণু সোনা, লোহা এবং নিকেল দিয়ে তৈরি বলে মনে করা হয়। গ্রহাণুটির আকরিকের মূল্য প্রায় ১০ কুইন্টিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারনা সাইকিতে, ১.৭×১০১৯ কেজি নিকেল-লোহা আছে যা পৃথিবীর আগামী কয়েক মিলিয়ন বছরের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম। আরেকটি গ্রহাণু, ডেভিডা, এর মূল্য $২৭ কুইন্টিলিয়ন বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার গ্রহ-পদার্থবিদ ফিলিপ মেৎজগার এক পত্রিকায় বলেছেন প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতিই আসলে পরীক্ষাগারে রয়েছে। তবে বাস্তবে প্রয়োগ করার জন্য এগুলো এখনো সেই অর্থে প্রস্তুত না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্কুল অব মাইনস স্পেস রিসোর্স প্রোগ্রামের ভূতত্ত্ব ও ভূপ্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কেভিন ক্যানন বলছেন, এ জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেই এগিয়ে আসতে হবে।

চাঁদের জন্যও বিষয়টি মোটামুটি একই রকম। তবে বাড়তি একটা বিষয় হলো, এ জন্য আগে কলোনি বা কিছু অবকাঠামো অন্তত লাগবে। কারণ, হিলিয়াম-৩ যেমন, সংগ্রহ করে সরাসরি পৃথিবীতে নিয়ে আসা যাবে না। একে গ্যাসে রূপান্তর করে, কন্টেইনারে করে পৃথিবীতে নিয়ে আসতে হবে। এ জন্য নাসা ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকনকে (ICON) নাসা ইতিমধ্যেই চাঁদে নিয়মিত অবতরণের জন্য ল্যান্ডিং প্যাড ও সড়ক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি নির্মাণের জন্য ফান্ড বা অর্থায়ন করেছে।

চাঁদ এবং গ্রহাণুতে খনিজগুলির জন্য প্রতিযোগিতা Race for Resources মহাকাশ সম্পদের অন্বেষণের এক নতুন দিক। এই বিষয়গুলোর গুরুত্ব ইতিমধ্যেই বুঝে ফেলেছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ পর্যায়ে তাই সংশ্লিষ্ট আইনগুলো নিয়ে বারবার কথা আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিসিসিপি স্কুল অব ল’র মহাকাশ আইনের অধ্যাপক মাইকেন হ্যানন বলছেন, ‘আউটার স্পেস ট্রিটি এখন সময়ের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে।’যদিও বর্তমানে বিভিন্ন দেশগুলি চেষ্টা করছে মিলেমিশে সমঝোতায় আসতে। তবে যেখানে নগদ নারায়ণ উপস্থিত, সেখানে সমঝোতায় যাওয়া একটু কঠিনই বটে ।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে

বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন

NASA Carbon Emission: পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে

উত্তরাপথঃ কার্বন নির্গমন (NASA Carbon Emission) সম্পর্কে নাসার সর্বশেষ আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য এক সতর্কতা সংকেত। মহাকাশ সংস্থার মতে, পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে, যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। NASA এর এই আবিষ্কারটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে দেখা যেতে পারে, সেইসাথে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেছে।নাসার সর্বশেষ গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে পৃথিবীর মহাসাগর এবং ভূমি-ভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র আগের চেয়ে কম কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গত এক দশকে ভূমি এবং মহাসাগর দ্বারা শোষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৫% হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ

উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Roop Kishor Soni: একটি আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য তুলে ধরেছেন

উত্তরাপথঃ রাজস্থান মানেই ওজনদার রূপার গহনা ,আর তার উপর কারুকাজ। প্রচলিত এই ধারনা ভেঙ্গে আজ রূপোর গহনাকে আধুনিকতার সাথে শিল্পের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন যে ব্যক্তি তিনি হলেন রূপ কিশোরী সোনী(Roop Kishor Soni)।তিনি ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে তার অসাধারণ শিল্প কর্মের জন্য জাতীয় পুরুস্কার পান। রাজস্থানের জয়সলমেরের শহরের এই শিল্পী ৩.৮ গ্রাম ওজনের ০.৯ সেমি চওড়া রৌপ্য আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য খোদাই করেছেন।এই ছোট রূপার আংটিতে শিল্পী তাজমহল, সিডনি অপেরা হাউস, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, চীনের গ্রেট ওয়াল, আইফেল টাওয়ার, বিগ বেন, পিসার হেলানো টাওয়ার এবং মিশরীয় পিরামিডের চিত্র এক সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।এছাড়াও তিনি আরও দুটি পৃথক ডিজাইনের অত্যাশ্চর্য আংটি  তৈরি করেছেন।৮.৬ গ্রাম ওজনের একটি রিংয়ে তিনি সূর্যাস্তের সময় ভারতীয় উট সাফারি সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ভারতীয় বিশেষত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন,এবং অন্যটিতে বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবী ছবি এবং মন্দির খোদাই করেছিলেন। শিল্পী বলেছেন যে তিনি তার বাবার কাছ থেকে তার শৈল্পিক দক্ষতা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। সেই সাথে তিনি বলেন "আমার বাবাও একজন জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ছিলেন। তিনি আমাকে শিল্পের এই দক্ষতা শিখিয়েছিলেন কারণ তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে শিল্পের ফর্মটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।" .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top