

উত্তরাপথঃ এটা কি শ্রমের প্রাচুর্য না কি ভক্তির মহিমা। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন।আগামী ২২ জানুয়ারী ২০২৪ উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দির(Ram Mandir)। নির্মাণকাজ প্রায় শেষের মুখে,চলছে শেষ পর্বের প্রস্তুতি পর্ব, এরই অঙ্গ হিসাবে শুরু হয়েছে পুরোহিত নির্বাচন পর্ব। ইতিমধ্যেই তিন হাজারেরও বেশি মানুষ রাম মন্দিরের(Ram Mandir) পুরোহিত হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে আবেদন করেছেন। যদিও পুরোহিতের পদ রয়েছে মাত্র ২০টি। আর সেখানেই বিড়ম্বনায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।৩০০০ আবেদন প্ত্রের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে রাম মন্দিরের পুরোহিতের পদের জন্য শর্ট লিস্ট করা হয়েছে। মেধার উপর ভিত্তি করেই এই শর্ট লিস্টের প্রক্রিয়া চলেছে বলে জানিয়েছে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ।
অযোধ্যায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদর দফতর কারসেবক পুরমে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।একটি তিন সদস্যের প্যানেল, এই পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করবে বলে জানা গেছে। প্যানেলে বৃন্দাবনের হিন্দু ধর্ম প্রচারক, জয়কান্ত মিশ্র এবং অযোধ্যার দুই মহন্ত – মিথিলেশ নন্দিনী শরণ এবং সত্যনারায়ণ দাস রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, রাম মন্দিরের(Ram Mandir) পুরোহিত হিসেবে মোট ২০ জনকে বেছে নেওয়া হবে। রাম জন্মভূমি কমপ্লেক্সে পুরোহিতের নানা কাজের জন্য তাঁদের বেছে নেবে ইন্টারভিউ প্যানেল। তবে শর্ট লিস্ট হওয়া সমস্ত প্রার্থীই সুযোগ পাবেন ট্রেনিংয়ের জন্য। আগামী ছয় মাস অযোধ্যায় রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ে চলবে এই পুরোহিতদের ট্রেনিং পর্ব।নির্বাচিত না হলেও শর্ট লিস্ট হওয়া সমস্ত পুরোহিত পদের প্রার্থীদের ট্রেনিং শেষে দেওয়া হবে একটি শংসাপত্র । ভবিষ্যতে মন্দিরের পুরোহিতের কোনও পদ ফাঁকা থাকলে তাদের ডাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন রাম মন্দির ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ দেব গিরি।
জানা গিয়েছে, রাম মন্দিরের(Ram Mandir)পুরোহিত নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই পর্বে একাধিক কঠিন কঠিন প্রশ্ন করা হয়েছে। বিভিন্ন পুজোপার্বনের রীতিনীতির বিষয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করা হয় প্রার্থীদের। যেমন ভগবান রামের সন্ধ্যা বন্ধনের পুজো পদ্ধতি, মন্ত্র, কর্মকাণ্ড।সূত্রের খবর, করসেবকপুরমে ছয় মাসের লম্বা ট্রেনিং পর্ব চলবে নির্বাচিত ২০ পুরোহিতের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ একাধিক হিন্দু সংগঠনের অফিসও রয়েছে এই এলাকায়।
বর্তমানে রাম মন্দিরের(Ram Mandir)মুখ্য পুরোহিত পান ২০ হাজার টাকা বেতন। সহায়ক চার পুরোহিত পান ২০ হাজার টাকা। কোঠারি কিংবা ভাণ্ডারিরা পান ১৫ হাজার টাকা। ভৃত্যরাও পান ১৫ হাজার টাকা। রামলালার পুজোর জন্য পান সরবরাহকারী পান ২১০০ টাকা। মালিরাও পান ২১০০ টাকা।
আরও পড়ুন
Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে
বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন
রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন
উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন