উত্তরাপথ
সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সাথে নবায়নযোগ্য শক্তিতে (Renewable Energy) দেশের উন্নত প্রযুক্তি ভাগ করার প্রস্তাব করেছেন। মূলত জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমিত করার এবং জীবাশ্ম জ্বালানীর উপর নির্ভরতা হ্রাস করার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে ।
সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত দীর্ঘদিন ধরে তাদের তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুদের জন্য পরিচিত, যা তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে উভয় দেশ তাদের কার্বন পদচিহ্ন (Carbon Emission) কমাতে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের শক্তির উৎসগুলির পরিবর্তনে আগ্রহী হয়েছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির (Renewable Energy) উৎসগুলিকে গ্রহণ করে তারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তাদের সদিচ্ছা প্রদর্শন করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গ্রিন এনার্জি টেকনোলজির উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে জাপান বিশ্বের এক অগ্রনী দেশ। তারা সৌর এবং বায়ু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে শক্তির অবকাঠামো নির্মাণ থেকে স্টোরেজ পর্যন্ত উদ্ভাবন এবং গবেষণার প্রতি জাপানের দক্ষতা জাপানকে এটিকে টেকসই শক্তির (Sustainable Energy) সমাধানের অগ্রভাগে রেখেছে ।
আশা করা যাচ্ছে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত জাপানের সবুজ শক্তির প্রযুক্তি গ্রহণ করে উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হবে। জাপানের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে, এই দেশগুলি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসগুলির দিকে তাদের স্থানান্তরকে ত্বরান্বিত করতে পারে, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর তাদের নির্ভরতা হ্রাস করতে পারে এবং তাদের শক্তির ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনতে পারে। এই পরিবর্তন শুধুমাত্র তাদের পরিবেশগত ক্ষেত্রকে উন্নত করবেনা সেই সাথে এটি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে।
সবুজ শক্তি প্রযুক্তিতে সহযোগিতা জাপান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের পথও খুলে দিতে পারে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে বিশেষজ্ঞ জাপানী কোম্পানিগুলি প্রকল্প এবং অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ সেই সাথে প্রযুক্তি এবং দক্ষতার স্থানান্তর স্থানীয় শিল্পের বৃদ্ধিকে সহজতর করতে পারে এবং একটি দক্ষ কর্মী বাহিনী তৈরি করতে পারে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে সবুজ শক্তি প্রযুক্তি ভাগ করার জাপানের প্রস্তাব দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের বাইরেও বিস্তৃত প্রভাব ফেলে। এটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং একটি সুরক্ষিত ভবিষ্যতের দিকে রূপান্তরের বিশ্ব প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করে। ঐতিহ্যগতভাবে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীল দেশগুলিতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সমাধানের কার্যকারিতা প্রদর্শন করে, এই সহযোগিতা অন্যান্য দেশগুলিকে তাদের নিজস্ব পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির পরিবর্তন ত্বরান্বিত করতে অনুপ্রাণিত এবং উৎসাহিত করতে পারে।
আরও পড়ুন
মতুয়া আন্দোলনের এক মনোগ্রাহী ভাষ্য
অরবিন্দ পুরকাইত: আপাত বা গভীর কোনও স্তরেই তেমন কিছু তফাৎ পরিলক্ষিত না হলেও, বর্ণবাদী সমাজে একই পাড়ায় একেবারে প্রায় পাশাপাশি কেবল বিশেষ বিশেষ ঘরে জন্মানোর নিমিত্ত - শিক্ষাদীক্ষা পরের কথা – ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকেই আজীবন একজন শ্রদ্ধা-ভক্তি-প্রণাম পাওয়ার অদৃশ্য শংসাপত্রের অধিকারী আর অন্যজনের সেবা-শ্রদ্ধা-ভক্তির অদৃশ্য দাসখতের দায়বদ্ধতা! কেন-না সৃষ্টিলগ্নেই একজন প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখনিসৃত আর অন্যজন পদজ যে! সুতরাং মুখ থাকবে সবার উপরে, সবার নিচে পা – এতে অস্বাভাবিকতা বা আশ্চর্যের তো কিছু নেই! কিন্তু কেবল সেবা-শ্রদ্ধাতেই সব মিটে .....বিস্তারিত পড়ুন
বঞ্চনার আর এক নাম শবর
বলরাম মাহাতো: শবর কথাটির উৎপত্তি হয়েছে ‘সগর’ থেকে। ‘সগর’ শব্দের অর্থ হলো কুঠার। বোঝাই যাচ্ছে, শবররা কুঠার হাতে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতেন। সেখান থেকেই শবর নামটির প্রচলন হয়। শবররা বাস করেন পশ্চিম বাংলা, চেন্নাই, মধ্যপ্রদেশ, ছোটনাগপুর আর উড়িষ্যায়। আমাদের দেশে বর্তমানে শবরদের সংখ্যা ২,০০০ এর কিছু বেশি। শবর কোনো একজনের নাম নয়, এটি একটি জনগোষ্ঠীর নাম। বর্তমানে ভারতে এই শবর জনগোষ্ঠী একটি .....বিস্তারিত পড়ুন
সময়
অনসূয়া পাঠক: একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার সবুজ বোস। রাজারহাট নিউটাউনের একটি বহুতল আবাসনে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সুখী জীবন তার। কাজের বাইরে উনার নেশা বলতে নামীদামী পুরানো মডেলের হাত ঘড়ি কালেকশন। এই বিষয়ে তাঁর সংগ্রহশালাটি রীতিমতো চমকে দেবার মতো। তিনি যে বিদেশী মডেলের রিস্ট ওয়াচটি সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করেন সেটা হঠাৎই একদিন খারাপ হয়ে যাওয়াতে পার্শ্ববর্তী করিম চাচার ঘড়ির দোকানে তিনি যান। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে দোকানের শো কেসে তাঁর নজর আটকে যায় জার্মানি মডেলের একটি পুরানো ঘড়ির দিকে। এই .....বিস্তারিত পড়ুন
কতো অজানা রে
মৈত্রেয়ী চৌধুরী: ইতিহাস বিষয়ে আলোচনা করতে গেলেই আমাদের মনে যে সব সৌধের প্রসঙ্গ মনে আসে তারমধ্যে পার্লামেন্ট ভবন একটা অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান। বহু পর্যটক এই ভবন দেখতে যান. কিন্তু জানেন কি, এই পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন কে বানিয়েছিলেন ? 10 জনকে জিজ্ঞেস করলে 9 জনই বলতে পারবেন না। যাঁরা খুব ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন অথবা গুগুল সার্চ করে থাকেন, তাঁরা হয়তো উত্তরটা দিতে পারবেন। পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন বানিয়েছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি এডুইন লুটিয়েন। তাঁর সহকারী ছিলেন আরেক ব্রিটিশ স্থপতি হার্বার্ট বেকার। 1927 খ্রিস্টাব্দে এই ভবনটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয় এবং ব্রিটিশ .....বিস্তারিত পড়ুন