



উত্তরাপথ: কঙ্গনার Y-প্লাস নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন গেরুয়া শিবিরের দাপুটে নেতা। বিতর্কের সূত্রপাত বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামীর একটি টুইট কে কেন্দ্র করে, যেখানে তিনি কঙ্গনার নাম না করেই টুইট করেন,“এসপিজি (সোশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ) জানে এবং তাঁর গতিবিধির ওপর হিসেব রেখেছে। আমি ভাবছি, বলিউড তারকাদের ট্র্যাক করা এসপিজির ব্যবসা নয় কেন। ওঁর ক্ষেত্রে, একটি বিশেষ ব্যবস্থায় উচ্চস্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে ওঁকে।
এরপরই সুব্রমনিয়ানের উদ্দেশে কঙ্গনার Y-প্লাস নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করায় ঝাঁজালো টুইট করেন কঙ্গনা। কঙ্গনার পাল্টা মন্তব্য, “আমি শুধু একজন বলিউড তারকা নই স্যার, আমি একজন খুব সোচ্চার এবং উদ্বিগ্ন নাগরিকও। আমি মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিদ্বেষের লক্ষ্য ছিলাম, আমার জোরেই জাতীয়তাবাদীরা এখানে সরকার তৈরি করতে পারে। আমি টুকড়ে গ্যাং সম্পর্কেও প্রতিবাদ করেছি এবং খালিস্তানি গোষ্ঠীগুলির তীব্র নিন্দা করেছি। আমি একজন পরিচালক, লেখক এবং প্রযোজক এবং আমার পরবর্তী প্রযোজনা জরুরি অপারেশন ব্লুস্টারের সাথে জড়িত… আমার প্রাণসংশয়ের যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে, তাই আমি নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ করেছিলাম… স্যার এর মধ্যে কিছু ভুল আছে কি?
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিশেষ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান অভিনেত্রী। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে তখন তোলপাড় গোটা বলিউড। মহারাষ্ট্র সরকার নড়েচড়ে বসেছে। কটুক্তি করে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান কঙ্গনা। এরপর তাঁর অফিস, বাংলো বেআইনি বলে গুঁড়িয়ে দেয় বিএমসি।
দিন কয়েক আগে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন এক বিজেপি নেতা।তার দাবী ‘তেজস’, ‘ধাকড়’, ‘এমার্জেন্সি’- কঙ্গনার একাধিক ছবির জন্য নাকি তিনিই ছাড়পত্র জোগাড় করে দিয়েছিলেন। বদলে ‘তেজস’-এ একটি ছোট্ট চরিত্রে বিজেপি নেতাকে কাস্ট করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু কাজ হওয়ার পর আর কথা রাখেননি কঙ্গনা। অতঃপর নায়িকাকে প্রতারক বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি গেরুয়া শিবিরের দাপুটে নেতা। সম্প্রতি ‘রকি অউর রানি কি প্রেমকাহানি’ সিনেমার জন্য করণ জোহরকে তুলোধনা করার পাশাপাশি রণবীর সিংয়ের পৌরষত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করেছেন।এর আগেও অভিনেত্রী বহুবার বলিউডের বিভিন্ন নায়ক ,নায়িকা সহ পরিচালকদের নিয়ে বহু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
তিনি মূলত বলিউডে স্বজনপ্রীতি এবং বিভাজনমূলক ব্যবহার বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য পরিচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, তিনি অনুরাগ কাশ্যপ, তাপসী পান্নু, স্বরা ভাস্কর এবং অন্যান্যদের সাথে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিবাদ করেছেন আবার অস্কার ২০২৩-এ দীপিকাকে তার উৎকৃষ্ট চেহারার জন্য প্রশংসা করেছেন দর্শকদের কাছে ।
আরও পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়- রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র
সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন। আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়। আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল। আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন
PAN-Aadhar link: কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে নিষ্ক্রিয় করেছে
উত্তরাপথ : আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link)করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় করেছে৷ আপনি যদি এখনও প্যান কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক না করে থাকেন, তাহলে আপনি সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের আওতায় এসেছেন। আপনি যদি আপনার আধার কার্ডকে প্যানের সাথে লিঙ্ক করতে চান তবে আপনি জরিমানা দিয়ে এটি সক্রিয় করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক না করার কারণে নিষ্ক্রিয় করেছে। একটি আরটিআই-এর জবাবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে যে আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link) করার সময়সীমা ৩০ জুন শেষ হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করেননি তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে ৭০ কোটি প্যান কার্ড বর্তমানে ভারতে প্যান কার্ডের সংখ্যা ৭০.২ কোটিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৭.২৫ কোটি মানুষ আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার
উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে। কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে। যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে। অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়। এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে। এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন