উত্তরাপথঃ চীনা গুপ্তচর বৃত্তির সন্দেহে মুম্বাইয়ে বন্দি একটি পায়রা অবশেষে মুক্তি পেল। ২০২৩ সালের মে থেকে তাকে মুম্বাইয়ের একটি ভেটেরিনারি হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। বাই সাকারবাই দিনশ পেটিট হাসপাতাল ফর অ্যানিম্যালস কবুতর ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ৩০ জানুয়ারি তাকে খোলা আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এই পায়রাটিকে ২০২৩ সালের মে মাসে মুম্বাইয়ের RCF (ন্যাশনাল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্টিলাইজার) থানা, চেম্বুরের পিয়ার পাউ জেটি থেকে ধরা হয়েছিল। পায়রাটিরর এক পায়ে তামার আংটি এবং অন্যটিতে অ্যালুমিনিয়ামের আংটি ছিল। ডানার নিচে চাইনিজ লিপিতে কিছু লেখা ছিল।আরসিএফ ভেবেছিল এটি চীনের পাঠানো গুপ্তচর পায়রা। এর পরে আরসিএফ একটি মামলা নথিভুক্ত করে এবং পায়রাটির সম্পর্কে তদন্ত শুরু করে। এই সময়ে, পায়রাটিকে মুম্বাইয়ের একটি পশুচিকিৎসা হাসপাতালে রাখা হয়েছিল, যেখানে তার খাবার ও পানীয়ের যত্ন নেওয়া হয়েছিল।
এরপর পুলিশের তদন্তে জানা যায়, পায়রাটি চীনের নয়, তাইওয়ানের। পুলিশ জানিয়েছে, তাইওয়ানে পায়রা দৌড়ের আয়োজন করা হয়। এই পায়রাটিকেও এর মালিক এই দৌড়ে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।পায়রাটি তাইওয়ান থেকে উড়ে ভারতে পৌঁছেছে। এখানে আরসিএফ তাকে দেখে ফেলে। পায়ের মধ্যে আংটি এবং পালকের নীচে চাইনিজ ভাষা দেখে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল যে এটি একটি গুপ্তচর পায়রা।এরপর তদন্ত শুরু হয় পায়রাটিকে নিয়ে, তদন্তে স্পষ্ট হয়েছে যে পায়রার সঙ্গে চীনের কোনো সম্পর্ক নেই।
আরসিএফ থানার মতে, তারা গত ৩০ জানুয়ারি পায়রাটিকে খোলা জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । এর আগে তদন্তে স্পষ্ট হয়েছে যে পায়রার সঙ্গে চীনের কোনো সম্পর্ক নেই। যেটিকে একটি চীনা গুপ্তচর এজেন্ট বলে সন্দেহ করা হয়েছিল সেটি আসলে ভুল । তাই গত ৩০ জানুয়ারি পায়রাটিকে খোলা আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়।পায়রাটির শারীরিক অবস্থা ভাল বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন
Diabetes Treatment: রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে ডালিয়া ফুলের নির্যাস কার্যকর
উত্তরাপথঃ ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।সম্প্রতি গবেষণায় ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Otago)নেতৃত্বে বিজ্ঞানীরা ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মাধ্যমে আবিষ্কার করেছে যে ডালিয়া ফুলের পাপড়ির নির্যাস ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে। সেন্টার ফর নিউরোএন্ডোক্রিনোলজির একজন সহযোগী অধ্যাপক আলেকজান্ডার টুপসের( Alexander Tups) নির্দেশনায়, দলটি খুঁজে পেয়েছে যে, উদ্ভিদের একটি অণু, যা মস্তিষ্কে কাজ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করার জন্য শরীরের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।প্রসঙ্গত ডায়াবেটিস হল একটি দীর্ঘস্থায়ী বিপাকীয় ব্যাধি যা অপর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদনের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যায়। .....বিস্তারিত পড়ুন
লোকসংস্কৃতির আলোকে মালদার শতাব্দী প্রাচীন গম্ভীরা
মৈত্রেয়ী চৌধুরীঃ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের একটি জেলা মালদা। আমের জন্য এই জেলাটি পরিচিতি লাভ করলেও এই জেলা আর ও একটি কারণে বিখ্যাত, তা হল গম্ভীরা । মালদার নিজস্ব লোকসংস্কৃতি।গম্ভীরা শব্দটি প্রকোষ্ট, গৃহ বা মন্দির অর্থের সঙ্গে আভিধানিক মিল থাকলেও এই অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত আকাশের নিচে বা কোথাও চাঁদোয়া বা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলেন স্বয়ং দেবাদিদেব। এই উৎসবের তিনি 'নানা' নামে পরিচিত।একজন শিবের সাজে থাকেন, আর দেবাদিদেবের চেলার মতো কিছু সংখ্যক সেই নানার ভক্ত হয়ে খোল, করতাল হাতে উনার সঙ্গী হন। বাস্তব জগতের এবং পারিপার্শ্বিক যা মা সমস্যা থাকে তা চেলার নানার কাছে অভিযোগ জানান, যেন নানা সেই অভিযোগ শুনে তার সমাধান করেন।শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই ভিড় করে জমায়েত .....বিস্তারিত পড়ুন
মানব-চালিত রোবট ARCHAX এর সাথে দেখা করুন
উত্তরাপথঃসাম্প্রতিক বছরগুলিতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আমাদের এক ধাপে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে এসেছে, আজ রোবটগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বয়ংক্রিয় সহকারী থেকে স্ব-ড্রাইভিং গাড়ি পর্যন্ত,সর্বত্র আজ রোবটের অবাধ উপস্থিতি। ARCHAX মানব-চালিত এই রোবট এমনই এক উদ্ভাবন যা বিজ্ঞানী এবং সাধারণ জনগণ উভয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । অটোনোমাস রোবোটিক কম্প্যানিয়ন উইথ হিউম্যান অ্যাসিসট্যান্সের সংক্ষিপ্ত আর্ক্যাক্স, এর একটি যুগান্তকারী সৃষ্টি যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) বুদ্ধিমত্তাকে একজন মানব অপারেটরের দক্ষতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার সাথে একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে।জাপানের Tsubame Industries ARCHAX তৈরি করেছে।এটি একটি মানুষের আকারের ককপিট সহ একটি বিশাল ট্রান্সফরমার রোবট। .....বিস্তারিত পড়ুন
রাজা মহম্মদ ও সি সেল মিউজিয়াম
প্রিয়াঙ্কা দত্তঃ রাজা মহম্মদ, এমন একজন মানুষের নাম, যার ব্যাক্তিগত ইচ্ছার কাছে হেরে যায় সব বাধা। ইচ্ছার চেয়ে বলা ভালো নেশা। সামুদ্রিক প্রাণীদের খোল সংগ্রহের নেশা। যা তাঁকে ছোটবেলা থেকেই ছুটিয়ে নিয়ে বেরিয়েছে প্রায় তিরিশ বছর ধরে। আর সেই দীর্ঘ পথের শেষে , তিনি সম্পূর্ন ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন এশিয়ার বৃহত্তম ও পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাক্তিগত সংগ্রহশালা। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সি সেল মিউজিয়ামটি বর্তমানে চেন্নাইয়ের মহাবলিপূরম মন্দিরের সন্নিকটে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট। রাজা মহম্মদ ছোট্ট বেলা থেকেই সমুদ্র তট থেকে সংগ্রহ করতেন বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর দেহাংশ। কুড্ডালোর থেকে রামেশ্বরম এর সমুদ্রতট, সেখান থেকে জাপান, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপিন্স প্রভৃতি দেশে গিয়েছেন ব্যাক্তিগত উদ্যোগে। সংগ্রহ করেছেন অসাধারণ সব সামুদ্রিক .....বিস্তারিত পড়ুন