জলের বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে তার প্রথম কাজ – সভাধিপতি পুরুলিয়া জেলা পরিষদ

খরা প্রবণ পুরুলিয়াতে জলসেচেই চাষের জলের ভরসা। উত্তরাপথ

উত্তরাপথঃ বৃষ্টি শূন্য অবস্থা পুরুলিয়ার জঙ্গল মহলের। তাই দায়িত্ব পেয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রীমতী নিবেদিতা মাহাতো, বলেন তার প্রথম কাজ হবে এই খরা প্রবণ পুরুলিয়াতে চাষের জলের বিকল্প ব্যবস্থা করা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এ বছর সারা দেশে ৩৬ শতাংশ বৃষ্টি প্রতিবারের তুলনায় কম হয়েছে। শ্রাবন মাসেও বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জঙ্গলমহলে এখন খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে সেচ একমাত্র ভরসা। জলের অভাবে শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে সবজির গাছ মাটিতেই। উত্তরবঙ্গে কিছু কিছু জেলাতে সামান্য বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই এই বছর। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তায় মাথায় হাত চাষীদের। সাধারণত জমিতে এই সময় ফুলকপি, বাঁধাকপি, লঙ্কা, করলা এবং বেগুন চাষের সময়। কিন্তু বৃষ্টি শূন্যতায় গাছের চরম ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা। আবার কৃষকেরা যে ধার-দেনা এবং বিভিন্ন সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে সবজির যে চাষ-আবাদ করছে তার নায্য দামও তারা পাচ্ছে না,কারণ বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জমিতে জলের অভাবে চাষ ভাল হচ্ছে না। তারফলে তারা ফসলের দাম পাচ্ছে না। তাই কি করে তারা সেই ঋণ শোধ করবে সেই চিন্তায় মাথায় হাত কৃষকদের।

পুরুলিয়াতে ধান চাষ সাধারণত একবারই হয় তাহল আমন ধানের যা সাধারনত বর্ষার উপরই পুরোপুরি ভাবে নির্ভর করে। কিন্তু শ্রাবনের অর্ধেক পেরিয়ে গেল তবু বৃষ্টির দেখা নেই। তাই বৃষ্টির অভাবে এখনো চাষিরা চাষের কাজ শুরুই করতে পারেনি। কৃষকরা মনে করছে যে চাষ করতে প্রায় তিন মাস লেগে যায়। সেখানে গোটা আষাঢ় চলে গেল শ্রাবনেও অর্ধেক পেরিয়ে গেল এই পরিস্থিতিতে কি করে এইসময়ে ঘাটতিটা পূরণ করে, চাষ হবে এই চিন্তায় কৃষকেরা। তাদের আশঙ্কা এইভাবে বৃষ্টি না হলে মাটির নীচে জলের লেয়ার আরো ৩০ ফুট নিচে চলে যাবে এবং জঙ্গলমহলে খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তখন মানুষ টাকা নিয়ে বসে থাকবে অথচ খাবার পাবে না।  শ্রাবণও যখন বৃষ্টি নেই তখন চাষিরা ধরেই নিয়েছে যে আর চাষবাস হবে নাই তাই তারা পেটের টানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে কাজের জন্য। ফলে জঙ্গল মহলের কৃষকেরা পরিণত হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকে। জঙ্গল মহলের খেঁটে খাওয়া মানুষেরা সরকারের কাছে চাইছে সরকার যেন তাদের এই সমস্যা নিয়ে কিছু ভাবেন, যাতে ফি বছর আর তাদের একই সমস্যা না হয়।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Vitamin-D: ভিটামিন ডি’র সেবন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়

উত্তরাপথ: হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ কার্ডিওভাসকুলার রোগগুলি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।সম্প্রতি একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গেছে যে ভিটামিন ডি সম্পূরকগুলি ৬০ বছরের বেশি বয়সী লোকেদের হার্ট অ্যাটাক সহ যে কোনও বড় ধরনের কার্ডিওভাসকুলার অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে পারে৷ গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন ডি প্রায়ই "সানশাইন ভিটামিন" হিসাবে পরিচিত। এটি গ্রহণকারীদের মধ্যে স্ট্রোক সহ কার্ডিওভাসকুলার রোগ ৯% হ্রাস পেয়েছে । যা ২৮ জুন দ্য বিএমজে দ্বারা প্রকাশিত একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top