ডাইরী

অনসূয়া পাঠকঃ

স্টেশনের ভিড় পেরিয়ে আবীর ট্রেনের ভেতরে নিজের সিটে গিয়ে বসে। সিটের নীচে নিজের ব্যাগটা রাখতে গিয়ে সে একটা গোলাপি রঙের ডাইরী দেখতে পায়। ডাইরীটা তুলে সে একমনে তাকিয়ে থাকে। হাল্কা গোলাপি তার ফ্রন্ট কভারে একগুচ্ছ রঙ বেরঙের ফুল ও একটি নীল প্রজাপতির ছবি। এটা দেখেই তার মনে হয় যে ডাইরীর অধিকারিণী কোন একজন মেয়ে। অজানা কারো এই ডাইরীটা তার খোলা ঠিক হবে কি না এটা ভাবতেই ভাবতেই সে খুলে ফেলে। ট্রেন তখন চলতে শুরু করেছে। ডাইরীর প্রথম পাতায় একটা ময়ুর পালক ও কালী পূজোয় হাজার টাকা চা়দা দেওয়া একটা রসিদ। এটা দেখে আবীরের মনে হয় মেয়েটি অত্যন্ত ভক্তিমতি। পরের পাতা ওল্টালে সে দেখে লাল কালিতে স্পষ্ট লেখা “অরুনিমা”। পরের পাতায় ওপরে একটা হেডিং জ্বল জ্বল করছে , প্রথম প্রেম । আবীরের ডাইরী পড়ার আকর্ষণ বেড়ে যায়।
” ডিয়ার ডাইরী
আজকে একটা টপ সিক্রেট তোমার সাথে শেয়ার করতে চলেছি, দশ বছর আগের কথা- আমার বাবা স্টেট ব্যাংকে চাকরী করেন এবং একবার তাঁর বদলি হয় মল্লরাজবংশের স্মৃতি বিজড়িত মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে। আমরা সবাই তখন ওখানে শিফট করে যাই। কারন বাবাকে ছাড়া থাকার কথা ভাবতেই পারি না। ওখানকার একটা স্কুলে আমি ভর্তি হই। স্কুলের প্রথম দিন আমার দেখা হয় একটি ছেলের সাথে। কে জানে কেনো নব্বই জনের ক্লাশের মধ্যে ওকে এমন লাগছিলো যেনো রাতের আকাশের চাঁদ। ইচ্ছে করছিলো যে ওর কাছে গিয়ে ওর নাম জানতে চাই। কিন্তু পারিনি। পরে ওর নাম জানতে পেরেছিলাম, যখন বিনয় বাবু ওকে ডাস্টার আনতে স্টাফরুমে পাঠিয়েছিলেন। পড়াশোনায় ভালো নম্র মেধাবী , দেখতেও সুন্দর , মনে হতো ওর সাথে বন্ধুত্ব করতে পারলে বেশ হয়। কিন্তু ভাবাটা যতো সহজ কাজে পরিনত করাটা ততটাই কঠিন। ক্লাশে নানান জিনিস নিয়ে দু একটা কথা হতো। তারপর এলো সেই কাঙ্ক্ষিত মাহেন্দ্রক্ষণ, বিশ্বকবির জন্মদিবস উদযাপন। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রতি ক্লাসের গান আবৃত্তি জানা ছেলে মেয়েদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকের জন্য ও কিছু ছাত্র ছাত্রী স্যাররা নিচ্ছিলেন। আমাদের ক্লাস থেকে আমি আর ও দুজনেই সুযোগ পেয়েছিলাম। কে কে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে সেই লিস্ট ঠিক করার সময় গানে ওর নাম দেখে আমি বলেছিলাম , বারে তুই গান ও জানিস ? ও বলেছিলো তুই যদি বক্তব্য রাখতে পারিস তাহলে আমি কেনো পারবো না গান গাইতে । আমি বলেছিলাম , নারে এমনই জিজ্ঞেস করছিলাম। তারপর ও বললো , আচ্ছা তোর পছন্দের রবীন্দ্র সংগীত কোনটা ? একটু অবাক হয়ে বলেছিলাম, ওগো বিদেশিনী। কো ইনসিডেন্ট কিনা জানি না , তবে রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন ও স্টেজে বলেছিলো , যে রবীন্দ্রনাথের সব গান ই তার প্রিয় তবে যে গানটি তার মনকে বারেবারে নাড়া দেয় তা হল , ওগো বিদেশিনী। ওর গলায় গানটা অপুর্ব সুন্দর লাগছিলো। তারপর ক্লাশে মাঝে মাঝে নানান বিষয় নিয়ে কথা হতো। এরপর বার্ষিক পরীক্ষায় আমি টপার হয়েছিলাম আর ও হয়েছিল সেকেন্ড। রেজাল্ট আউটের দিন আমার সাথে হ্যান্ডশেক করে ও বলেছিল, কনগ্রাচুলেশন টপার , নেক্সট টাইম আরও ভালো করতে হবে। কিছুদিন পর আমি শম্ভু স্যারের কাছে বাংলা টিউশনিতে ভর্তি হলাম। স্যার বিকেল প়াচটায় আমাদের ব্যাচটা শুরু করতেন। আর ওই বিল্ডিংয়ের অপোজিটে ও রমেশ বাবুর কাছে কেমিস্ট্রি পড়তে আসতো। আমি যে কলোনীতে থাকতাম সেখান থেকে আর কেও শম্ভু স্যারের কাছে পড়তে যেতো না। আর শীতের সন্ধ্যা মানে টিউশনি শেষ হতে না হতেই অন্ধকার নেমে আসতো। যদিও ওর টিউশনি সাড়ে প়াচটায় শেষ হয়ে যেতো কিন্তু প্রতিদিন আমার জন্য ও ছটা অবধি দা়ড়িয়ে থাকতো। আমার বাড়ির কাছাকাছি যে ওর বাড়ি তাও কিন্তু ছিলো না। তবুও ও কিছু না কিছু বাহানায় আমাকে টিউশনির সপ্তাহে তিনটা দিন বাড়ির গেট অবধি পৌঁছে দিতো। বর্ষায় আবহাওয়া খারাপ হলে বা ঝমঝম বৃষ্টি পড়লে আমার বারন করা সত্ত্বেও ও আমাকে বাড়ি অবধি পৌঁছে দিতো। একবার আমি ও মা মামাবাড়ি যাবো বলে বাস স্ট্যান্ড এ দাঁড়িয়ে আছি এমন সময় দেখি আমার পাশে ও দাঁড়িয়ে। ওকে দেখে আমি জিজ্ঞেস করলাম , তুই এখানে ? ও বললো ওর এক বন্ধুর দাদার বিয়ে , সেখানে যাবে বলে বাস ধরতে এসেছে। আমাকে ওর সাথে কথা বলতে দেখে মা বলে একে চিনিস নাকি তুই ? আমি বলি হ্যাঁ , আমরা এক ক্লাশে পড়ি। ও মাকে প্রনাম করে। ও প্রনাম করতেই মা খুশিতে গদগদ হয়ে আমার দিকে তাকায় । ভাবখানা এরকম যেনো , দেখে শিখ, কেননা প্রনামটা আমার হয়ে ওঠৈ না। মা ওকে জিজ্ঞেস করে তোমার বন্ধুর দাদার বিয়ে কোথায় হচ্ছে ? ও থতমত খেয়ে বলে এতো তো জানিনা কাকীমা, বাস স্ট্যান্ডে বন্ধুর নিতে আসার কথা , তারপর দেখি কোথায় নিয়ে যায়। বাস এলে আমরা সবাই তাতে উঠে পড়ি। বাসে একটা সিট ফাঁকা ও মাকে সেটাতেই বসতে বলে । আমরা দাঁড়িয়ে থাকি । পরের স্টপেজে দুটো সিট ফাঁকা হলে আমরা সেখানে বসে পড়ি। এমনিতে আমার বাসের জার্নি একদম পছন্দ নয়। কিন্তু সেদিন কেনো জানিনা মনে হয়েছিলো , এই পথ যদি না শেষ হয় । তারপর পথ একসময় শেষ হতেই আমরা নেমে পড়ি। বাসস্ট্যান্ড এ কাওকে দেখতে না পেয়ে আমার মা বলে তোমার বন্ধু কোথায় ? ও বলে সেটাই তো কাকীমা দেখছি না , তবে ঠিক চলে আসবে একটু দেরী হচ্ছে হয়তো । তারপর লালমাটির মেঠো রাস্তা ধরে আমি আর মা মামাবাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করি। ওখানে পৌঁছনোর পর হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হতেই আধঘণ্টা পেরিয়ে যায় । তারপর আমার ভাই আমাকে বলে চল তোকে আমাদের সব্জী বাড়িটা দেখিয়ে আসি, দেখবি কতরকম সব্জী হয়েছে। সব্জী বাড়ি থেকে বাস স্ট্যান্ড পরিষ্কার দেখা যায়। ওখান থেকে দেখি ও এখনও সেই বাস স্ট্যান্ড এ দাঁড়িয়ে। তারপর বিষ্ণুপুর যাবার একটা বাস আসতেই ও উঠে পড়ে। আমার তখন বুঝতে বাকি থাকে না যে ও আমার জন্য ই এসেছিলো। আমি শুধু একটু মুচকি হাসি। প্রায় ই ফ্রি পিরিয়ড থাকলে ও আমাদের সবাইকে গান শোনাতো। খুব ভালো গিটার ও বাজাতে পারতো। আমার জন্মদিনে ও আমাকে একটা কালো রঙের ফাউন্টেন পেন গিফট করেছিলো যার উপর সাদা কালিতে একটা ইংরেজি এ অক্ষর ছিলো। কেননা ও জানতো পেন কালেকশনে আমার দুর্দান্ত নেশা। আর ওর জন্মদিনে আমি গিফট করেছিলাম একটা নীল রঙের মাউথ অর্গান। বলেছিলাম তোর মাউথ অর্গান বাজানোর ইচ্ছা পূর্ণ হোক। শুরু কর এটা দিয়ে। কিছুদিন পর বাবার বদলি হয়ে যায় অন্য জায়গায়।
যেদিন আমরা চেনা বিষ্ণুপুর ছেড়ে চলে যাচ্ছিলাম সেদিন স্টেশনে দাঁড়িয়ে ওকে বলেছিলাম , ভুলে যাসনা যেনো। ও চোখে চোখ রেখে বলেছিল না । কিন্তু তুই মনে রাখবি তো ? আমি বলেছিলাম সারাজীবন।
একবুক ভালো লাগার স্মৃতি নিয়ে আমরা বিষ্ণুপুর ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম। তারপর নাম্বার চেঞ্জ মোবাইল হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি সব কারনে আর যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। ওকে একটা চিঠিও লিখেছিলাম যার উত্তর আজো আসে নি। তবে উত্তর আসুক বা না আসুক আমি জানি , রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে। কে জানে ও এখন কোথায় কেমন আছে আমাকে মনে রেখেছে কি না “….
আবীর এতক্ষণ ভাবতন্ময় হয়ে পড়ে চলেছিলো মিষ্টি প্রেমের একটা অসমাপ্ত গল্প। এরপর দেখে ডাইরীর বাকি পাতাগুলো ফাঁকা। শুধু শেষ পতায় মেয়েটির ঠিকানা লেখা আছে।
আবীর পরের স্টেশনেই নেমে পড়ে। এবং ডাইরী টা ফিরিয়ে দেবার জন্য অরুনিমার ঠিকানায় পা বাড়ায় ।
ডাইরীর সেই ঠিকানা তাকে একটি সাদা রঙের দোতলা বাড়ির সামনে দাঁড় করায় । গেট খুলে ভেতরে ঢোকে। গোটা বাড়িটা সুন্দর ফুলে সাজানো। একটা মিষ্টি গন্ধ যেনো ভাসছে বাতাসে। একজন মধ্য চল্লিশের মহিলা তাকে জিজ্ঞেস করে , আপনি কে , এখানে কি দরকারে ? আবীর তাকে বলে যে অরুনিমাকে ডেকে দিতে , একটা জিনিস দেওয়ার ছিলো। মহিলা সেখান থেকেই হাঁক দেয়, অরুনিমা কোথায় গেলি দেখ কে একজন খু়জছে তোকে। দূর থেকে অরুনিমা বলে কে গো ? মহিলা বলে আজকের বিয়ে বাড়িতেও তোদের অনলাইনে অর্ডার আসছে, দেখ ডেলিভারি বয় হবে হয়তো। আবীর একটু মুচকি হাসে, দেখে চারদিকে উৎসব মুখর খুশির পরিবেশ। এরপর ভেতর থেকে হলুদ রঙের শাড়ি পরে অরুনিমা আসে। অরুনিমা আবীরের সামনে দাঁড়িয়ে বলে , বলুন কিছু বলছেন ? আবীর অরুনিমার দিকে ডাইরীটা এগিয়ে দিয়ে বলে , এটা আপনার ? অরুনিমা ডাইরীটা হাতে নিয়ে অবাক হয়ে বলে , হ্যাঁ এটা আমার ই । আপনি কোথায় পেলেন ? এটা তো হারিয়ে গিয়েছিলো , আপনাকে যে কি বলে ধন্যবাদ দেবো … আবীর বলে ধন্যবাদটা এখন তোলা থাক, তবে নিজের জিনিস সাবধানে রাখবেন এটুকুই। অরুনিমা বলে আসুন বসুন ভেতরে , চা বা কফি কি পছন্দ বলুন। আবীর বলে আজ থাক হবে কোনোদিন। এবার আবীর গেটের দিকে পা বাড়ায়। অরুনিমা সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় ওঠার পথে ডাইরীর পাতাগুলো দেখতে থাকে , দেখে ও যেখানে লিখেছিলো , আমাকে মনে রেখেছে কিনা … তার নীচে লাল কালিতে লেখা , হ্যাঁ সব মনে আছে। অরুনিমা অবাক হয়ে গেটের দিকে তাকায়, দেখে আবীর মোরাম বিছানো পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পকেট থেকে একটা নীল রঙের মাউথ অর্গান বের করে বাজাতে বাজাতে যাচ্ছে। আবীরের দৃষ্টি সামনের দিকে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে

উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন

দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?

উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন  দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI  এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে।   বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না।  নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা  ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী?  আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত?  পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না?  এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন

Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ

উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Roop Kishor Soni: একটি আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য তুলে ধরেছেন

উত্তরাপথঃ রাজস্থান মানেই ওজনদার রূপার গহনা ,আর তার উপর কারুকাজ। প্রচলিত এই ধারনা ভেঙ্গে আজ রূপোর গহনাকে আধুনিকতার সাথে শিল্পের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন যে ব্যক্তি তিনি হলেন রূপ কিশোরী সোনী(Roop Kishor Soni)।তিনি ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে তার অসাধারণ শিল্প কর্মের জন্য জাতীয় পুরুস্কার পান। রাজস্থানের জয়সলমেরের শহরের এই শিল্পী ৩.৮ গ্রাম ওজনের ০.৯ সেমি চওড়া রৌপ্য আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য খোদাই করেছেন।এই ছোট রূপার আংটিতে শিল্পী তাজমহল, সিডনি অপেরা হাউস, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, চীনের গ্রেট ওয়াল, আইফেল টাওয়ার, বিগ বেন, পিসার হেলানো টাওয়ার এবং মিশরীয় পিরামিডের চিত্র এক সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।এছাড়াও তিনি আরও দুটি পৃথক ডিজাইনের অত্যাশ্চর্য আংটি  তৈরি করেছেন।৮.৬ গ্রাম ওজনের একটি রিংয়ে তিনি সূর্যাস্তের সময় ভারতীয় উট সাফারি সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ভারতীয় বিশেষত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন,এবং অন্যটিতে বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবী ছবি এবং মন্দির খোদাই করেছিলেন। শিল্পী বলেছেন যে তিনি তার বাবার কাছ থেকে তার শৈল্পিক দক্ষতা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। সেই সাথে তিনি বলেন "আমার বাবাও একজন জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ছিলেন। তিনি আমাকে শিল্পের এই দক্ষতা শিখিয়েছিলেন কারণ তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে শিল্পের ফর্মটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।" .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top