নিয়োগ দুর্নীতির মুল অভিযুক্তের খোঁজে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে তলব সিবিআই-এর।

উত্তরাপথ

প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যের ভিত্তিতে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ফের রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে তলব করল। বৃহস্পতিবার তাঁকে কলকাতার সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে হাজির হতে বলা হয়েছে। এর আগেও একবার শিক্ষাসচিবকে তলব করে জেরা করেছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, গত কয়েক মাসের তদন্তে মণীশের সম্পর্কে নতুন কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি নিয়েই জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেরায় এবং আদালতে বেশ কয়েকবার দাবি করেছেন তিনি শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী ছিলেন মাত্র। কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নিতেন না। সিবিআই সূত্রের খবর, জেরার মুখে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, তৎকালীন শিক্ষাসচিব তাঁর কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত যে ফাইল পাঠাতেন, তাতে তিনি সই করে দিতেন।কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, প্রাক্তন মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, সচিব যদি নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠিয়ে থাকেন তবে কার নির্দেশে তা পাঠাতেন তা জানতে চায় সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রশাসনিক মহলের কর্তা জড়িয়ে আছেন বলে মনে করছে সিবিআই। তাঁদের নির্দেশে পার্থর কাছে ফাইল সই করতে পাঠানো হত কি না তা খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


বেতন, মাসে ৩০,০০০ আর সম্পত্তির মালিকানা ৭ কোটির বেশী

উত্তরাপথ: এ এক দুর্নীতির অনন্য নজির যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি কে লজ্জায় ফেলবে । দুর্নীতির এই অভিযোগটি উঠেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ হেমা মীনার বিরুদ্ধে।মধ্যপ্রদেশের সরকারি কর্মকর্তা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর হেমা মীনা প্রচার মাধ্যমের নজরে আসে । এখন প্রশ্ন কে এই হেমা মীনা ? মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ যিনি মাসে ৩০,০০০ টাকা আয় করেন । দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২০,০০০ বর্গফুট .....বিস্তারিত পড়ুন

কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"

ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন

মতুয়া আন্দোলনের এক মনোগ্রাহী ভাষ্য

অরবিন্দ পুরকাইত: আপাত বা গভীর কোনও স্তরেই তেমন কিছু তফাৎ পরিলক্ষিত না হলেও, বর্ণবাদী সমাজে একই পাড়ায় একেবারে প্রায় পাশাপাশি কেবল বিশেষ বিশেষ ঘরে জন্মানোর নিমিত্ত - শিক্ষাদীক্ষা পরের কথা – ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকেই আজীবন একজন শ্রদ্ধা-ভক্তি-প্রণাম পাওয়ার অদৃশ্য শংসাপত্রের অধিকারী আর অন্যজনের সেবা-শ্রদ্ধা-ভক্তির অদৃশ্য দাসখতের দায়বদ্ধতা! কেন-না সৃষ্টিলগ্নেই একজন প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখনিসৃত আর অন্যজন পদজ যে! সুতরাং মুখ থাকবে সবার উপরে, সবার নিচে পা – এতে অস্বাভাবিকতা বা আশ্চর্যের তো কিছু নেই! কিন্তু কেবল সেবা-শ্রদ্ধাতেই সব মিটে .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top