অভিষেকের কনভয়ে হামলা,অভিযোগের তীর কুড়মিদের দিকে

উত্তরাপথ

তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরে ছিলেন অভিষেক। সন্ধ্যায় রোড-শো শেষে তাঁর কনভয় ঝাড়গ্রামে লোধাশুলি থেকে শালবনি  যাওয়ার পথে রাস্তার দু’পাশে কুড়মিরা স্লোগান তোলেন সেই সাথে কনভয়ের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়েন বলে অভিযোগ।অভিষেকের কনভয়ের শেষ গাড়িতে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। হামলায় তিনিও আহত হন নিজেই  জানিয়েছেন মন্ত্রী। অভিষেকের অভিযোগ, তিনি ওই বিক্ষোভকারীদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান শুনেছেন। আবার তৃণমূলের অভিযোগ, অভিষেকের উদ্দেশে ‘চোর চোর’স্লোগান দেওয়া হয় বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুড়মি নেতাদের এ নিয়ে বিবৃতির দাবি করেন। তিনি বলেন, যদি তা না হয় তাহলে ধরে নেওয়া হবে তাঁরাই এই হামলার সঙ্গে যুক্ত।

এর পরেই বিক্ষোভকারীদের কয়েক জনকে আটক করল পুলিশ। তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ। তবে একটি অসমর্থত সূত্রে খবর মোট চার জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তার মধ্যে জামিন অযোগ্য মামলাও আছে। কনভয়ে হামলার ঘটনার পরেই এদিন গোপিবল্লভপুরে একটি অধিবেশন সভা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “আজ দেখেছেন কীভাবে কুড়মি আন্দোলনের নামে গুন্ডামি, রাহাজানি করেছে। মন্ত্রীর গাড়ি ভেঙে দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ভেঙে দিয়েছে। আন্দোলন সবসময় শান্তিপূর্ণ হয়। এভাবে গুন্ডামি, রাহাজানি দিয়ে হয় না। আমি কথা বলতে নেমেছিলাম, পালিয়ে গেল। আজ ভাঙছে, আমাদের কর্মীদের মেরেছে, সংবাদমাধ্যমকে মেরেছে ৷ এটা কেমন আন্দোলন? আন্দোলন তো গান্ধীজির থেকে শিখেছি।”সেই সাথে অভিষেকের কটাক্ষ, “পাথর মেরে স্মারকলিপি দিতে যান আপনারা। তিনি আরও বলেন, “বিজেপির উদ্দেশ্য বলছি, আদিবাসীদের পতাকা নিয়ে যাঁরা ভাবছেন ভয় দেখাব। খেলা তুমি শুরু করেছ। খেলা আমি শেষ করব।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


বিশ্ব মানবতার আলোয় যৌবনের পূজারী নজরুল

অসীম পাঠকঃ জীবনের প্রয়োজনে যুগের পরিবর্তন যেমন সত্য তেমনি যুগের প্রয়োজনে জীবনের আবির্ভাব অমোঘ। এই বাস্তব সত্যটিকে আরও গভীর ভাবে উপলব্ধি করার কাল এসেছে। তারই অভ্যাস অনুরণিত হচ্ছে দিকে দিকে। সর্বত্র আলোড়ন উঠেছে বিদ্রোহী কবির জীবন দর্শন নিয়ে , তাঁর আগুন ঝরা কবিতা নিয়ে। সর্বহারার কবি নজরুল ইসলাম। যারা বঞ্চিত অবহেলিত , নিপীড়ন আর শোষণের জ্বালা যাদের বুকে ধিকি ধিকি জ্বলে বুকেই জুড়িয়ে যাচ্ছিল দাহ, তাদের মূক বেদনার ভাষা দিয়েছিলেন নজরুল।পদদলিত পরাধীন জাতির বুকে স্বাধীনতার তৃষ্ণা জাগিয়েই তিনি শান্ত থাকেননি , দেশের সমাজের বুক থেকে মানুষে মানুষে বিভেদ ব্যাবধান দূর করবার ব্রত ও গ্রহন করেছিলেন। তিনিই প্রথম কবি যিনি সমাজের সমাজপতি দের ছলনার .....বিস্তারিত পড়ুন

চম্পারন মাটন রাজনীতি কি কোনও নতুন সমীকরণ তৈরি করবে

উত্তরাপথঃ সামনে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন ,আর সেই নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে INDIAজোট। মুম্বাইতে বিরোধী INDIA জোটের (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স) তৃতীয় বৈঠকের একদিন পরে, কংগ্রেস শনিবার রাহুল গান্ধীর লালু প্রসাদ যাদব এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দিল্লিতে দেখা করার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে তাদের চম্পারন মাটন দিয়ে রান্না এবং রাজনীতি নিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে।ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর জন্যও মাটন চাইছেন যা প্রিয়াঙ্কা বাড়িতে উপভোগ করেন এবং সন্দেহ করেছিলেন যে রাহুল সত্যিই মাটন রান্না করেছেন কিনা। "সবাই করেছে। আমি রান্না করেছি, লালুজি রান্না করেছে, মিসা রান্না করেছে," রাহুল বলল। .....বিস্তারিত পড়ুন

রেলওয়ে ইউনিয়নের নতুন সূচনা, গান গেয়ে মানসিক চাপ দূর করছেন রেলের কর্মচারীরা

উত্তরাপথঃ আপনি যদি সরকারি বা বেসরকারি চাকরি করেন, তাহলে এই খবর আপনাকে স্বস্তি দেবে।কারণ ভারতীয় রেলওয়ের বৃহত্তম শ্রমিক সংগঠন অল ইন্ডিয়া রেলওয়েম্যানস ফেডারেশন (এআইআরএফ) এবং নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের উপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমাতে এক অনন্য উদ্যোগ শুরু করেছে।তারা তাদের কর্মীদের গান গেয়ে তাদের মানসিক চাপ দূর করতে পরামর্শ দিচ্ছে।    এআইআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক শিব গোপাল মিশ্র এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুকেশ মাথুরের নির্দেশে, জয়পুর এবং অন্যান্য শহরের কর্মচারীরা একটি মাঠে জড়ো হয় এবং সেখানে তারা গান গায় এবং আন্তাক্ষিরি খেলে। .....বিস্তারিত পড়ুন

ধানের সাধ ভক্ষণ : জিহুড়

ড.  নিমাইকৃষ্ণ মাহাত: আশ্বিন সংক্রান্তিতে কৃষক সমাজের মধ্যে জিহুড় পার্বণ পালিত হয়। কৃষক সাধারণের মধ্যে জিহুড় পার্বণের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। জিহুড় অর্থাৎ আশ্বিন সংক্রান্তির সময় বহাল জমিতে লাগানো ধান বা বড়ান ধানে থোড় আসতে শুরু করে। সুতরাং ধান গাছ গর্ভাবস্থায় থাকে। মানুষের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় নানা ধরনের আচার-সংস্কার পালন করা হয়। এই সংস্কারগুলির অন্যতম হলো " ন' মাসি " অর্থাৎ গর্ভাবস্থার নবম মাসে যে আচার -অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এর কিছুদিন পরেই সন্তানজন্মগ্রহণ করে। মানব- সমাজের গর্ভাবস্থাজনিত এই ধরনের আচার সংস্কারের সঙ্গে ধান গাছের গর্ভাবস্থার কারণে পালনীয় অনুষ্ঠান জিহুড়ের সাদৃশ্য থাকে দেখা যায়। সেই জন্য অনেকে জিহুড় অনুষ্ঠানকে ধান গাছের 'সাধভক্ষণ'  বলে থাকেন। জিহুড়-এ ধান গাছ .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top