উত্তরাপথ
এখন প্রশ্ন হল ডিএ কী:
ডিএ হল ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স বা মহার্ঘ্য ভাতা। মূল্যস্ফীতির কারণে কর্মচারীদের অর্থনৈতিক অবস্থার ভারসাম্য বজায় রাখতে বা সামঞ্জস্য করতে অতিরিক্ত আর্থিক সাহায্যের আকারে ডিএ দেয় সরকার। এটি কর্মচারীর মূল বেতনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ বেতনের সঙ্গে যোগ করে দেওয়া হয়। সাধারণত, সরকার প্রতি ছয় মাসে (জানুয়ারি ও জুলাই মাসে) কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করে। কোন বছরে মহার্ঘ ভাতা কত শতাংশ বাড়বে তা নির্ধারণ করতে সর্বভারতীয় উপভোক্তা মূল্য সূচকের সাহায্য নেওয়া হয়।
ডিএ গণনা:
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ গণনা করা হয় – {(সর্বভারতীয় গ্রাহক মূল্য সূচকের গড় (বেস ইয়ার -২০০১ = ১০০) গত ১২ মাসের জন্য -১১৫.৭৬)/১১৫.৭৬} x ১০০৷
আবার কেন্দ্রীয় পাবলিক সেক্টরের কর্মচারীদের জন্য, ডিএ গণনা করা হয় – {(সর্বভারতীয় গ্রাহক মূল্য সূচকের গড় (বেস ইয়ার -২০০১ = ১০০) গত ৩ মাসের জন্য -১২৬.৩৩)/১২৬.৩৩} x ১০০৷
এবার আসা যাক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন, DA র হার কত হল ।
ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক এন্টারপ্রাইজেসের একজিকিউটিভ এবং সুপারভাইজারদের জন্য মহার্ঘ্য ভাতার হার(DA) সংশোধন করেছে কেন্দ্র। একটি বিবৃতিতে এই খবর জানানো হয়েছে।
* মাসিক ৩,৫০০ টাকা বেসিক পে-তে ডিএ-র হার হবে ৭০১.৯ শতাংশ, বেতনের সাপেক্ষে সর্বনিম্ন ১৫,৪২৮ টাকা। মাসিক ৩,৫০১ থেকে ৬,৫০০ টাকার বেসিক পে-তে ডিএ-র হার হবে ৫২৬.৪ শতাংশ, বেতনের সাপেক্ষে সর্বনিম্ন ২৩,৫৬৭ টাকা।
*আবার ৬,৫০০-র বেশি এবং ৯,৫০০ পর্যন্ত বেসিক পে-তে ডিএ হার হবে ৪২১.১ শতাংশ, বেতনের সাপেক্ষে সর্বনিম্ন ৩৪,২১৬ টাকা। ১ জুলাই ২০২৩ থেকে এই হার কার্যকর হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, মহার্ঘ্য ভাতার অ্যাকাউন্টে ৫০ পয়সা বা তার বেশি ভগ্নাংশ থাকলে পরেরবার ‘রাউন্ড ফিগারে’ তা জুড়ে দেওয়া হবে। ৫০ পয়সার কম ভগ্নাংশ উপেক্ষা করা যেতে পারে’।
সঙ্গে বলা হয়েছে, ‘১ জুলাই থেকে পুরনো সিস্টেমে ২ টাকা থেকে প্রদেয় আইডিএ-র পরিমাণ ৯৬ পয়েন্ট বৃদ্ধির জন্য প্রতি পয়েন্ট শিফটে ১৯২ টাকা এবং এআইসিপিআই ৮৮১৩-এ প্রদেয় ডিএ হতে পারে ১৬২১৫.৭৫ টাকা।
আরও পড়ুন
মণিপুরের সামগ্রিক উন্নয়ন বর্তমান সমস্যার সমাধান হতে পারে
উত্তরাপথ: মণিপুরের মেইতি সম্প্রদায় তফসিলি উপজাতির তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্তির দাবি অব্যাহত রাখবে এবংআন্দোলন তীব্রতর করবে বলে খবর। অন্যদিকে ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ, কিছু পাহাড়ি উপজাতির একটি তড়িঘড়ি তৈরি করা ছাতা সংগঠন,তারা মেইতি সম্প্রদায়ের দাবির বিরোধিতা করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই পরিস্থিতি আরও অস্থির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।অন্যদিকে আরেকটি সূত্র বলছে মণিপুরের পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। যদিও এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে দীর্ঘ .....বিস্তারিত পড়ুন
পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি'সিনেমাটির ভাগ্য সুপ্রিম কোর্টের হাতে
উত্তরাপথ: 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়ায় সিনেমাটির সিনেমার নির্মাতারা বাংলার নিষেধাজ্ঞাকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাদের দাবী ছিল নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রতিদিন তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে । নির্মাতাদের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আজ 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়ার পিছনে যুক্তি জানতে চেয়েছে । প্রধান বিচারপতির একটি বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে, যখন এটি কোনও সমস্যা ছাড়াই সারা দেশে চলছে।পশ্চিমবঙ্গের সিনেমাটি কেন নিষিদ্ধ করা উচিত? এটি একই রকম জনসংখ্যার সংমিশ্রণ রয়েছে এম .....বিস্তারিত পড়ুন
১ কোটি টাকার মানহানির মামলা প্রাক্তন CJI রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে
উত্তরাপথ: গুয়াহাটির একটি স্থানীয় আদালতে আসাম পাবলিক ওয়ার্কসের (এপিডব্লিউ) সভাপতি অভিজিৎ শর্মার রাজ্যসভার সাংসদ এবং ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ১কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছে। অভিজিৎ শর্মার অভিযোগ রঞ্জন গগৈ তার আত্মজীবনী জাস্টিস ফর এ জাজে তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর এবং মানহানিকর বিবৃতি প্রকাশ করেছে । তাই তিনি প্রকাশক গগৈ এবং রুপা পাবলিকেশন্সের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন এবং কোনও বই প্রকাশ, বিতরণ বা বিক্রি করা থেকে বিরত রাখার জন্য অন্তবর্তী .....বিস্তারিত পড়ুন
কতো অজানা রে
মৈত্রেয়ী চৌধুরী: ইতিহাস বিষয়ে আলোচনা করতে গেলেই আমাদের মনে যে সব সৌধের প্রসঙ্গ মনে আসে তারমধ্যে পার্লামেন্ট ভবন একটা অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান। বহু পর্যটক এই ভবন দেখতে যান. কিন্তু জানেন কি, এই পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন কে বানিয়েছিলেন ? 10 জনকে জিজ্ঞেস করলে 9 জনই বলতে পারবেন না। যাঁরা খুব ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন অথবা গুগুল সার্চ করে থাকেন, তাঁরা হয়তো উত্তরটা দিতে পারবেন। পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন বানিয়েছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি এডুইন লুটিয়েন। তাঁর সহকারী ছিলেন আরেক ব্রিটিশ স্থপতি হার্বার্ট বেকার। 1927 খ্রিস্টাব্দে এই ভবনটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয় এবং ব্রিটিশ .....বিস্তারিত পড়ুন