‘চেঞ্জেজ‘ বাংলা ফ্লিম ইন্ডাস্ট্রির এক নতূন সূচনা

উত্তরাপথ

এবার কি বাংলা ফ্লিম ইন্ডাস্ট্রির সুদিন আসতে চলেছে? দক্ষিণ ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরে কি বাংলা ফ্লিম ইন্ডাস্ট্রি প্যান ইন্ডিয়ার সিনেমা প্রেমীদের মনে জায়গা নিতে চলেছে। বাংলা সিনেমা ‘চেঞ্জেজে’র হাত ধরে নতূন অধ্যায়ের সূচনা করতে চলেছে ।  চেঞ্জেজে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছে বাঙালি সুপারস্টার জিৎ।  তিনি তাঁর এই নতূন ছবি সম্পর্কে  টুইটারে লিখেছেন, “আমরা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে  #CHENGIZ হবে প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র যেটি একই সাথে হিন্দিতে  মুক্তি পাবে।”

 এর আগেও বহু বাংলা ছবি একসাথে গোটা দেশে মুক্তি পেয়েছে। এমনকী কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া দেব- মিঠুনের ‘প্রজাপতি’ কিংবা প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের ‘দোস্তজী’ ভাল ব্যবসা করেছে বাংলার বাইরেও। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে জিৎ-এর ছবির বিশেষত্ব কি?এই ছবির মূল বিষয় হল একইদিনে  দুই ভাষাতেই মুক্তি পাবে ‘চেঙ্গিজ’। যা এর আগে কোনও বাংলা ছবির ক্ষেত্রে হয়নি।

১৯৭০ থেকে ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত কলকাতায় যে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দাপট দেখা যেত সে গল্পই এখানে উঠে উঠবে ‘চেঙ্গিজ’-র পর্দায়।কলকাতা শহরের চারপাশকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে  এই পিরিয়ড ফিল্ম। ছবির সেট তৈরি হয়েছিল নয়ের দশককে কেন্দ্র করে। এই ছবিতে প্রথমবার জুটিতে অভিনয় করছেন জিৎ ও সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও অন্যতম প্রধান কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন শতাফ ফিগার ও রোহিত বোস রায়। এই ছবির সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্ব সামলেছেন মানস গঙ্গোপাধ্যায় এবং শিল্প নির্দেশনা আনন্দ আঢ্যর।  জিতের ছবি মানেই একরাশ আশা থাকে দর্শকদের। তবে এই ছবি সকলের মনে কতটা জায়গা করে নিতে পারবে  এবং সেই সাথে বক্স অফিসে কেমন সাফল্য পাবে  ,তা সময়ই বলবে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


শূন্য বর্জ্য নীতি গ্রহনে জাপান আজ বিশ্বগুরু

উত্তরাপথঃ পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ শহর জাপান । সম্প্রতি তার শূন্য বর্জ্য নীতি-এর কারণে খবরের শিরোনামে । Zero Waste বা শূন্য বর্জ্য হল- অযথা খরচকে ন্যূনতম রেখে উৎপাদিত আবর্জনা কমানোর প্রচেষ্টা। ১৯৯৬ সালে , অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী শহর ক্যানবেরা বিশ্বের প্রথম শূন্য-বর্জ্য শহরের শিরোপা অর্জন করে।এরপর Zero Waste ধারণাটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, উদাহরণস্বরূপ কানাডার টরন্টো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো নিজেদের শূন্য-বর্জ্য শহর হিসাবে ঘোষণা করে । পরিবেশ সচেতনতার ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের প্রায় ৭০% পৌরসভা নিজেদের শূন্য-বর্জ্য পৌরসভা হিসাবে ঘোষণা করেছে।এদিকে ২০২২ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত, জাপানের পাঁচটি শহর নিজেদের শূন্য বর্জ্য শহর হিসেবে ঘোষণা করেছে।জাপানের তোকুশিমা প্রিফেকচারের কামিকাতসু টাউন প্রথম নিজেদের শূন্য বর্জ্য  শহর হিসেবে ঘোষণা করার পর, ধারণাটি পুরো জাপানে ছড়িয়ে পড়ে। .....বিস্তারিত পড়ুন

সুপার পটেটোর অনুসন্ধান - বিজ্ঞানীরা আলু সুপার প্যানজেনোম তৈরি করেছেন

উত্তরাপথঃ আলু বহু শতাব্দী ধরে রান্নার বহুমুখীতা এবং উচ্চ পুষ্টির মানের জন্য খাদ্যের একটি প্রধান উৎস। আলু আজ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোণে উৎপাদিত হয়, যা আলুকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ফসলগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে । বছরের পর বছর ধরে, বিজ্ঞানীরা আলুর ফলন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পুষ্টি উপাদান উন্নত করার জন্য এবং আরও ভাল আলুর জাত প্রজননের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। আলুর জিন সম্পাদনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষকরা আলু সুপার প্যানজেনোম তৈরি করেছেন যা আলু গবেষণা এবং প্রজননে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক চিহ্নিত হবে বলে বিজ্ঞানীদের আশা । .....বিস্তারিত পড়ুন

এবার চাঁদের পথে জাপান, অবতরণে সময় লাগতে পারে ছয় মাস

উত্তরাপথঃ এ যেন হঠাৎ করে শুরু হওয়া বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে চাঁদে যাওয়ার প্রতিযোগিতা।ভারতের পর এবার চাঁদের পথে পারি দিল জাপান । চাঁদের জন্য SLIM নামে  তাদের নিজস্ব মুন ল্যান্ডার উৎক্ষেপণ করেছে জাপান।  মহাকাশযানটি ৭ সেপ্টেম্বর জাপানের স্থানীয় সময় সকাল ৮.৪২মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয়।  এটিতে জাপানের নিজস্ব  H2A রকেট ব্যবহার করা হয়েছে। এই মহাকাশ যানটি  তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।প্রসঙ্গত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জাপান এটিকে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ১০ দিন দেরিতে উৎক্ষেপণ করল।মহাকাশযান SLIM ছাড়াও একটি মহাকাশ টেলিস্কোপও পাঠিয়েছে জাপান।উভয় মহাকাশযান এক ঘন্টার মধ্যে তাদের নির্দিষ্ট পথে পৌঁছেছে।  সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে 'স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন' (SLIM) প্রায় চার মাস পর চাঁদে অবতরণ করবে। .....বিস্তারিত পড়ুন

আমন্ত্রণপত্রে, বর ও কনের নামের সাথে আইআইটি লেখায় বিতর্ক সোশ্যাল মাধ্যমে  

উত্তরাপথঃ বিবাহের সময়, অভিনব এবং ডিজাইনার আমন্ত্রণ কার্ডগুলি সর্বদা সকলের আলোচনায় পরিণত হয়। কিছু আমন্ত্রণ পত্র বিলাসবহুল চকোলেটের সাথে কাস্টমাইজ করে বানানো হয়,আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বায়োডিগ্রেডেবল কার্ডের সাথে  উপহার হিসাবে গাছ দেওয়া হয়।  সম্প্রতি, একটি পুরাতন বিবাহের আমন্ত্রণপত্র ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে যা বর এবং কনের শিক্ষাগত যোগ্যতা গুলিকে হাইলাইট করে বানানো হয়েছে । অর্থাৎ কার্ডে বর ও কনের নামের সাথে তাদের পড়াশোনার ডিগ্রিকেও যুক্ত করা হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top