

উত্তরাপথঃ এক মাস আগে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শোধিত বর্জ্য জল সাগরে ছেড়ে দেওয়ার জাপান সরকারের সিদ্ধান্তের পরে, সামুদ্রিক জীবনের উপর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল।আশঙ্কা করা হয়েছিল ট্রাইটিয়াম, হাইড্রোজেনের একটি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ, বর্জ্য জলে উপস্থিত উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে। জল ছাড়ার ঠিক ,এক মাস পরে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছাকাছি জল থেকে নেওয়া মাছের নমুনাগুলিতে সনাক্তযোগ্য পরিমাণে ট্রিটিয়াম পাওয়া যায়নি, জাপানের ফিশারিজ এজেন্সি তার ওয়েবসাইটে একথা জানিয়েছে। যা ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে সামুদ্রিক খাবার খাওয়ার নিরাপত্তা সম্পর্কে কিছুটা আশ্বাস দেয়।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকস্তরে চলতে থাকা গুজব দূর করার জন্য সংস্থাটি জল ছাড়ার শুরু থেকে প্রায় প্রতিদিনের আপডেট সরবরাহ করে আসছে।
একটি স্বনামধন্য বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশে থেকে সংগৃহীত মাছের নমুনায় ট্রিটিয়ামের উপস্থিতি মূল্যায়ন করার জন্য একটি ব্যাপক ভাবে গবেষণা করেছেন। গবেষণায় ৮ আগস্ট থেকে সংগ্রহ করা ৬৪ টি মাছের মধ্যে ফ্লাউন্ডার এবং ছয়টি অন্যান্য প্রজাতির মধ্যে কোনো ট্রিটিয়াম পাওয়া যায়নি।ফলাফলগুলি বর্তমানে জাপানি এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় উপলব্ধ।
গবেষণায় বর্জ্য জল ছাড়ার এক মাস পরে সংগৃহীত মাছের নমুনায় ট্রিটিয়ামের কোনও সনাক্তযোগ্য মাত্রা পাওয়া যায়নি।সুতরাং এই গবেষণাগুলি থেকে নিশ্চিত করে বলা যায় যে এই সময়ের মধ্যে মাছের মধ্যে ট্রিটিয়াম উল্লেখযোগ্যভাবে জমেনি। মাছে ট্রিটিয়ামের অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে একটি ভালো খবর যে শোধন করা বর্জ্য জল মুক্তির ফলে সামুদ্রিক জীবন তাৎক্ষণিকভাবে দূষিত হয়নি।
প্রসঙ্গত জাপান সরকার এবং জাপানের ফিশারিজ এজেন্সি সামুদ্রিক জীবনের উপর বর্জ্য জল নির্গমনের প্রভাব নিরীক্ষণ এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য কঠোর নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে । নির্দিষ্ট এলাকায় সামুদ্রিক মাছের নিরাপত্তার প্রতি জনগণের আস্থা বজায় রাখার জন্য ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ এবং কঠোর বিধিনিষেধ প্রয়োগ করছেন যা মানুষের আস্থা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। সেই সাথে এটি গ্রাহকদের মনে উদ্বেগ উপশম করতে এবং সঠিক তথ্য ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে।
ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরিশোধিত বর্জ্য জল ছাড়ার এক মাস পরে পরিচালিত সাম্প্রতিক গবেষণায় মাছের নমুনায় ট্রিটিয়ামের কোনো সনাক্তযোগ্য মাত্রা দেখা যায়নি। যদিও এই ফলাফলগুলি প্রাথমিক ভাবে একটি ভরসা প্রদান করে,তবে বর্জ্য জল মুক্তির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ব্যাপকভাবে মূল্যায়ন করার জন্য অবিরত পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন
বিশ্ব মানবতার আলোয় যৌবনের পূজারী নজরুল
অসীম পাঠকঃ জীবনের প্রয়োজনে যুগের পরিবর্তন যেমন সত্য তেমনি যুগের প্রয়োজনে জীবনের আবির্ভাব অমোঘ। এই বাস্তব সত্যটিকে আরও গভীর ভাবে উপলব্ধি করার কাল এসেছে। তারই অভ্যাস অনুরণিত হচ্ছে দিকে দিকে। সর্বত্র আলোড়ন উঠেছে বিদ্রোহী কবির জীবন দর্শন নিয়ে , তাঁর আগুন ঝরা কবিতা নিয়ে। সর্বহারার কবি নজরুল ইসলাম। যারা বঞ্চিত অবহেলিত , নিপীড়ন আর শোষণের জ্বালা যাদের বুকে ধিকি ধিকি জ্বলে বুকেই জুড়িয়ে যাচ্ছিল দাহ, তাদের মূক বেদনার ভাষা দিয়েছিলেন নজরুল।পদদলিত পরাধীন জাতির বুকে স্বাধীনতার তৃষ্ণা জাগিয়েই তিনি শান্ত থাকেননি , দেশের সমাজের বুক থেকে মানুষে মানুষে বিভেদ ব্যাবধান দূর করবার ব্রত ও গ্রহন করেছিলেন। তিনিই প্রথম কবি যিনি সমাজের সমাজপতি দের ছলনার .....বিস্তারিত পড়ুন
সু-স্বাস্থের জন্য ক্যালোরি গ্রহণ প্রয়োজন,কিন্তু সমস্ত খাবারে ক্যালোরির মাত্রা সমান থাকে না
উত্তরাপথঃসু-স্বাস্থের জন্য ক্যালোরি গ্রহণ প্রয়োজন ,কিন্তু কিভাবে একজন ব্যক্তি তার সঠিক ওজন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যর মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পারে । অনেক লোক বিশ্বাস করে যে ক্যালোরি গণনা সাফল্যের চাবিকাঠি। এক্ষেত্রে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা হল সঠিক মাপে ক্যালোরি গ্রহণ , কিন্তু সমস্ত খাবারে ক্যালোরির মাত্রা সমান থাকে না।আমরা যে খাবার গ্রহণ করি তা আমাদের শরীর প্রক্রিয়া করে সেটিকে ক্যালোরিতে রুপান্তরিত করে । পরে আমরা সেই ক্যালোরিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করে থাকি।এই বিষয়ে কথা বলার জন্য, আমরা একজন নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ানের কাছে প্রশ্ন রাখি আমরা যে ধরনের খাবার খাই তা আমাদের শরীরের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ। .....বিস্তারিত পড়ুন
আমন্ত্রণপত্রে, বর ও কনের নামের সাথে আইআইটি লেখায় বিতর্ক সোশ্যাল মাধ্যমে
উত্তরাপথঃ বিবাহের সময়, অভিনব এবং ডিজাইনার আমন্ত্রণ কার্ডগুলি সর্বদা সকলের আলোচনায় পরিণত হয়। কিছু আমন্ত্রণ পত্র বিলাসবহুল চকোলেটের সাথে কাস্টমাইজ করে বানানো হয়,আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বায়োডিগ্রেডেবল কার্ডের সাথে উপহার হিসাবে গাছ দেওয়া হয়। সম্প্রতি, একটি পুরাতন বিবাহের আমন্ত্রণপত্র ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে যা বর এবং কনের শিক্ষাগত যোগ্যতা গুলিকে হাইলাইট করে বানানো হয়েছে । অর্থাৎ কার্ডে বর ও কনের নামের সাথে তাদের পড়াশোনার ডিগ্রিকেও যুক্ত করা হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
মহারানী পদ্মাবতী এবং জোহরের ঐতিহ্য: সাহস ও আত্মত্যাগের এক গল্প
উত্তরাপথঃ ভারতের ইতিহাসে, এমন অনেক গল্প রয়েছে যা সময়কে অতিক্রম করে আমাদের সম্মিলিত চেতনায় এক অমোঘ চিহ্ন রেখে যায়। তেমনই একটি গল্প মহারানী পদ্মাবতী ও জোহরের ঐতিহ্য। সাহস, সম্মান এবং ত্যাগের এই গল্প প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমাদের কল্পনাকে মুগ্ধ করে চলেছে।ভারতীয় ইতিহাসের পাতায় অত্যন্ত সুন্দরী ও সাহসী মহারানী পদ্মাবতী'র উল্লেখ আছে। রানী পদ্মাবতী রানী পদ্মিনী নামেও পরিচিত। রানী পদ্মাবতীর পিতা ছিলেন সিংহল প্রদেশের (শ্রীলঙ্কা) রাজা গন্ধর্বসেন।ইতিহাসে রানী পদ্মিনী তার ব্যতিক্রমী সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং বীরত্বের জন্য পরিচিত হলেও, তিনি করুণা এবং শক্তির প্রতীক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। দিল্লির শক্তিশালী শাসক আলাউদ্দিন খিলজি তার অতুলনীয় সৌন্দর্যের কথা শুনে তাকে অধিকার করার সংকল্প করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন