হজযাত্রীরা নগদ ছাড়াই মক্কা-মদিনায় যেতে পারবেন

উত্তরাপথ

এবার কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন উদ্যোগ ‘ক্যাশলেস হজ’। এর জন্য কেন্দ্র সরকার এসবিআই-এর সাথে যৌথ ভাবে এই ব্যবস্থা করেছে।  এখনও পর্যন্ত যা নিয়ম ছিল তাতে হজযাত্রীদের আগে ২১০০ সউদী রিয়াল ভারতীয় হজ কমিটির কাছে জমা করতে হত। এই রাশি তারা সৌদি আরবে মক্কা- মদীনা পৌঁছনোর পর খরচ এর জন্য পেতেন।  এবার হজ যাত্রায় যাওয়া লোকেদের বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা মেটাতে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) একটি ‘ফরেক্স কার্ড প্রদান করবে। এই কার্ড ব্যাবহার করে সউদী আরবে হজযাত্রীরা নিজেদের  প্রয়োজনগুলি পূরণ করতে পারবে সেই সাথে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রাও পাবে। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে মন্ত্রক ২০২৩ এর হজকে ভারতীয় মুসলমানদের জন্য আরও আরামদায়ক, সুবিধাজনক এবং সাশ্রয়ী করতে চায়।  একজন আধিকারিক বলেন, যে যাত্রার সময় যদি কোনো হজযাত্রী তার কার্ড হারিয়ে ফেলেন, তাহলে তিনি ব্যাংক থেকে তার টাকা ফেরত পেতে পারেন।  এই ক্ষেত্রে এসবিআই দ্বারা একটি হেল্পলাইন পরিচালিত হবে এবং একাধিক নোডাল অফিসার থাকবেন তাদের সাথে যোগাযোগের বিবরণ শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। ভারতের হজযাত্রীদের জন্য এই বছর ১,৭৫,০২৫ টি  কোটা বরাদ্দ। ভারত থেকে তীর্থযাত্রার জন্য প্রথম ফ্লাইটটি ২১ মে যাত্রা করবে। এর আগে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত সকল হাজীকে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএমএসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি জানানো হয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


আগামী ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে কি সলমন খানকেও দেখা যাবে কলকাতায় ?

উত্তরাপথ: একেই বলে রথ দেখা কলা বেচা। এলেন ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে,আর বাড়তি পাওনা হিসেবে পেয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে একান্ত সাক্ষাতের সুযোগ।  কালো টয়োটা এসইউভি ডব্লিউবি০২এএন৬৬৪৯ গাড়িতে করে বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে পৌঁছেযান মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। অবশ্য রাস্তায় উপচে পড়া ভিড়ের জন্য দু'বার দাঁড়াতে হয়েছিল গাড়িতে থাকা সুপারস্টারকে। পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকে সলমন খান। আগেই নিজের টালির চালার বাড়ির সামনে আটপৌড়ে শাড়িতে অপেক্ষায় .....বিস্তারিত পড়ুন

মতুয়া আন্দোলনের এক মনোগ্রাহী ভাষ্য

অরবিন্দ পুরকাইত: আপাত বা গভীর কোনও স্তরেই তেমন কিছু তফাৎ পরিলক্ষিত না হলেও, বর্ণবাদী সমাজে একই পাড়ায় একেবারে প্রায় পাশাপাশি কেবল বিশেষ বিশেষ ঘরে জন্মানোর নিমিত্ত - শিক্ষাদীক্ষা পরের কথা – ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকেই আজীবন একজন শ্রদ্ধা-ভক্তি-প্রণাম পাওয়ার অদৃশ্য শংসাপত্রের অধিকারী আর অন্যজনের সেবা-শ্রদ্ধা-ভক্তির অদৃশ্য দাসখতের দায়বদ্ধতা! কেন-না সৃষ্টিলগ্নেই একজন প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখনিসৃত আর অন্যজন পদজ যে! সুতরাং মুখ থাকবে সবার উপরে, সবার নিচে পা – এতে অস্বাভাবিকতা বা আশ্চর্যের তো কিছু নেই! কিন্তু কেবল সেবা-শ্রদ্ধাতেই সব মিটে .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top