‘GI’ এর আবেদন এবার পেয়ারা ও লিচুর জন্য । ছবি – উত্তরাপথ
উত্তরাপথঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকার পেয়ারা ও লিচুর জন্য ‘জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন’ বা ‘GI’ ট্যাগ পেতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে বলে খবর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পেয়ারার জন্য বিখ্যাত।এবার বারুইপুরের পেয়ারা ও লিচুকে স্বীকৃতি দিতে রাজ্য সরকার ‘জিআই’ ট্যাগের জন্য আবেদন করেছে বিধানসভায় এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। বারুইপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সরদারের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা তিনি জানান। একই সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম কুটিরশিল্প পরিবেশবান্ধব সবুজ আতশবাজিতেও ‘GI’ ট্যাগ পেতে আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে মালদার লক্ষ্মণভোগ, ফজলি ও হিমসাগর ‘GI’ ট্যাগ পায়। ভৌগোলিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে জিআই ট্যাগের নিয়ম মেনে আবেদন করেছিল মালদহ জেলা উদ্যান পালন দফতর। গত বছরই সেই আবেদন গৃহীত হয়।মালদায় প্রায় ৫০টি প্রজাতির আম পাওয়া যায়। তার মধ্যে জিআই ট্যাগ জুটেছে তিন আমের কপালে। জানা গিয়েছে, হিমসাগরের জি আই নম্বর ১১২, ফজলি ১১৩ এবং লক্ষ্মণভোগ পেয়েছে জিআই নম্বর ১১১।
প্রসঙ্গত এর আগে বিহারের শাহী লিচু জিআই হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছে। মুজাফফরপুর, বৈশালী, সমস্তিপুর, চম্পারন, বেগুসরাই জেলা এবং বিহারের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এই ফলের জন্য অনুকূল জলবায়ু রয়েছে, সেই কারণে এখানকার লিচুর আকর্ষণীয় চেহারা এবং সুস্বাদু প্রকৃতির।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘GI’ এই পদক্ষেপটি একটি নির্দিষ্ট জাতের ফলের সত্যতা সনাক্ত করতে সহায়তা করবে কারণ ‘GI’ একটি নির্দিষ্ট ভৌগলিক উৎস রয়েছে এমন পণ্যগুলিতে ব্যবহৃত একটি চিহ্ন। শাহী লিচু হল বিহার রাজ্যের নতুন ফলের জাত । দেশে উৎপাদিত লিচুর ৪০% বিহারে উৎপাদিত হয় । বিহার কৃষি বিভাগের একজন কর্মকর্তার মতে, ২০১৭ – ১৮ অর্থবছরে রাজ্যে যে তিন লাখ মেট্রিক টন বিভিন্ন জাতের লিচু উৎপাদিত হয়েছিল, তার মধ্যে ৬০% ছিল শাহী লিচু।
এর আগে বিহার কাতারনি চাল, জর্দালু আম এবং মাগাহি পান ( সুপারি লতা) এর পরে জিআই ট্যাগ পেয়েছে । পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িষ্যা মিষ্টিতে তাদের ‘GI’ নিথিভুক্ত করেছে। ‘GI’ ট্যাগ শুধুমাত্র একটি ট্যাগ নয়, এটি একটি স্বীকৃতি যা উৎপাদককে আরও বেশী উৎপাদন করতে উৎসাহিত করে এরফলে তারা তাদের পণ্যের “ভাল দাম” পায়।
আরও পড়ুন
মতুয়া আন্দোলনের এক মনোগ্রাহী ভাষ্য
অরবিন্দ পুরকাইত: আপাত বা গভীর কোনও স্তরেই তেমন কিছু তফাৎ পরিলক্ষিত না হলেও, বর্ণবাদী সমাজে একই পাড়ায় একেবারে প্রায় পাশাপাশি কেবল বিশেষ বিশেষ ঘরে জন্মানোর নিমিত্ত - শিক্ষাদীক্ষা পরের কথা – ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকেই আজীবন একজন শ্রদ্ধা-ভক্তি-প্রণাম পাওয়ার অদৃশ্য শংসাপত্রের অধিকারী আর অন্যজনের সেবা-শ্রদ্ধা-ভক্তির অদৃশ্য দাসখতের দায়বদ্ধতা! কেন-না সৃষ্টিলগ্নেই একজন প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখনিসৃত আর অন্যজন পদজ যে! সুতরাং মুখ থাকবে সবার উপরে, সবার নিচে পা – এতে অস্বাভাবিকতা বা আশ্চর্যের তো কিছু নেই! কিন্তু কেবল সেবা-শ্রদ্ধাতেই সব মিটে .....বিস্তারিত পড়ুন
সীমানা
অসীম পাঠক: কল্লোলিনী তিলোত্তমার অভিজাত বেলভিউ নার্সিং হোমের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে শোরগোল পড়ে গেলো, ডাক্তার নার্স সবার ছুটোছুটি। সিনিয়র ডক্টর মিঃ লাহিড়ী সব শুনে চমকে গেলেন, অস্ফুটে গলা থেকে বেরোলো তাঁর "ইটস এ রেয়ার কেস অফ মেডিক্যাল সায়েন্স "। তারপর স্টেথো টা ঝুলিয়ে রিভলভিং ছেড়ে উঠতে উঠতে বললেন , " ইমিডিয়েট বাড়ির লোকেদের খবর দিন " …..বিশ্বজিৎ মজুমদার কুড়ি বছর কোমাতে। আজ ই রেসপন্স করছেন ।সবাই যখন হাল ছেড়ে দিয়েছে ,জন্ম মৃত্যুর সীমানা থেকে তিনি তখন জেগে উঠেছেন, অবচেতনের সব জাগতিক অনুভূতি থেকে .....বিস্তারিত পড়ুন
কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"
ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন
মানুষে মানুষে ঐক্য কীভাবে সম্ভব
দিলীপ গায়েন: হিন্দু,মুসলমান,ব্রাহ্মণ,তফসিলি।সকলেই মানুষ।কিন্তু এদের মধ্যে যে ব্যবধান তা হলো ধর্ম ও সাংস্কৃতিক। এই ব্যবধান মুছতে পারলে একাকার হওয়া সম্ভব। যারা বলছে আর্থিক সমতা প্রতিষ্ঠা হলে ব্যবধান মুছে যাবে, তাদের কথাটি বোধ হয় সঠিক নয়।তার প্রমাণ গরিব ও শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে আর্থিক ব্যবধান নেই। অথচ জাতিভেদ রয়ে গেছে। তেমনি কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা ব্যতীত ধনী ও শিক্ষিত সমাজে আর্থিক সচ্ছলতা থাকলেও জাতিভেদ রয়ে গেছে। একমাত্র হাসপাতালে বা চিকিৎসা ব্যবস্থায় জাতিভেদ নেই।কারণ সেখানে তো প্রচলিত ধর্মজাত প্রভেদ বা পরিচয় নেই। আছে মেডিসিন, যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞান। কারোর ধর্ম বা জাত দেখে প্রেসক্রিপশন হয় কি? এখানে মানুষের একমাত্র এবং শেষ পরিচয় সে মানুষ। .....বিস্তারিত পড়ুন