উত্তরাপথ


ছবি সংগৃহীত
উত্তর প্রদেশ ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটার রিঙ্কু সিংকে (Rinku Singh)নিয়ে জল্পনা, খুব শীঘ্র তাকে দেশের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যাবে। তার মাঝেই বৃন্দাবনে গেলেন রিঙ্কু। সেখানে বাঁকেবিহারীর মন্দিরে পুজোও দেন তিনি। সেখানে রিঙ্কুর সঙ্গে তাঁর কয়েক জন বন্ধুও ছিলেন।
এবারের আইপিএলে কেকেআরের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন রিঙ্কু। তাঁর খেলা নজর কেড়েছিল বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেটারদের।তিনি তার ব্যতিক্রমী প্রতিভা এবং কঠোর ব্যাটিং দক্ষতার সাথে ক্রিকেট বিশ্বে এক উদীয়মান তারকা হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরী করে চলেছেন।উত্তর প্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ভারতের প্রধান ঘরোয়া টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফিতে আত্মপ্রকাশ করেন। ব্যাট হাতে সিংয়ের চিত্তাকর্ষক পারফরম্যান্স নির্বাচকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল এরপর শীঘ্রই তিনি দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন। দ্রুত রান করার এবং আক্রমনাত্মক স্ট্রোক খেলার ক্ষমতা তাকে হার্ড-হিটিং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে খ্যাতি এনে দেয়।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সিংয়ের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স তাকে ভারতের জাতীয় দলে সুযোগ করে দিয়েছে । আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজ়ে ভারতীয় দলে রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)খেলার জল্পনা শুরু হয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৮, ২০ এবং ২৩ অগস্ট তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত। সেখানে তরুণ দল খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। সেই দলেই রিঙ্কুকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে খবর।
বোর্ডের এক সূত্র এক ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, “রিঙ্কু ছাড়াও আইপিএলে যারা ভাল খেলেছে তাদের আয়ারল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। নির্বাচকেরা একসঙ্গে সবাইকে সুযোগ দিতে চান না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে এক দিনের দলে থাকা সাত জন ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টি দলে নেই। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে এই ক্রিকেটারেরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এবং সেই কারণে আগামী দিনে দুর্বল দলগুলোর বিরুদ্ধে সিরিজে তরুণরাই সুযোগ পাবে।” রিঙ্কু ছাড়াও রুতুরাজ গায়কোয়াড়, জীতেশ শর্মাদের আয়ারল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। পাশাপাশি এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় সারির দল নামাবে ভারত। সেখানেও রিঙ্কুদের মতো ক্রিকেটারেরা সুযোগ পেতে পারেন।
আরও পড়ুন
Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে
উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন
রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন
উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Side effects of vitamin: ভিটামিনের আধিক্য আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে
উত্তরাপথঃ ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে সুস্থ থাকতে হলে শরীরে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন থাকা খুবই জরুরি। ভিটামিন আমাদের সুস্থ করার পাশাপাশি আমাদের সমগ্র শরীরের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে। আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side effects of vitamin)সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সব ধরনের পুষ্টি থাকা খুবই জরুরি। এ কারণেই বয়স্ক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সবাই আমাদেরকে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। সমস্ত পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে সুস্থ করে তোলে। এর মধ্যে ভিটামিন একটি, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়- রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র
সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন। আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়। আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল। আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন