উত্তরাপথঃ ভারত সরকার সারা দেশের হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ইনস্টিটিউট এবং ল্যাবরেটরিগুলিতে গবেষণা বাড়ানোর জন্য একটি ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (NRF) গঠন করার পরিকল্পনা করছে ৷ তহবিল প্রতিষ্ঠার জন্য আইন আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে ভারতীয় সংসদে বিল পেশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২৮ জুন, এনআরএফ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি খসড়া বিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে অনুমোদন পেয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
যদি ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (NRF) পার্লামেন্ট দ্বারা অনুমোদিত হয়, মোদি এর সভাপতি হিসাবে কাজ করবেন এবং বিজ্ঞান ও শিক্ষামন্ত্রী এর সহ-সভাপতি হবেন। সংগঠনটি বিভিন্ন শাখার বিজ্ঞানীদের নিয়ে একটি গভর্নিং বোর্ড গঠন করা হবে এবং সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার নেতৃত্বে এই নির্বাহী পরিষদ কাজ করবে।
ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (NRF) পাঁচ বছরে প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট ঘোষণা করেছে। এই তহবিলের প্রায় ৭০% বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আসবে, এবং অবশিষ্ট অংশ সরকার দেবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এনআরএফ-এর লক্ষ্য হল শিক্ষা, শিল্প এবং সরকারের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিকে কৃষি গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা।
ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম গবেষণা দেশ। গবেষণা ডাটাবেস সাইভালের তথ্য অনুসারে, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে, এই খাতে ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংখ্যা বিশ্বব্যাপী গবেষণা বৃদ্ধির দ্বিগুণেরও বেশি। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ গবেষণাপত্র শীর্ষ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির সাবজেক্ট র্যাঙ্কিংয়ে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সবচেয়ে বেশি গবেষণার কাজ হয়েছে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতে। এই সংখ্যাটি মোট গবেষণা কাজের প্রায় ৫২.৬ শতাংশ। ভারত দুই বা ততোধিক দেশের সহযোগিতায় গবেষণার ১৯ শতাংশ কাজ করছে। এই কারণেই সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি QS র্যাঙ্কিংয়ে বেড়েছে। বুধবার লন্ডনে QS ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির সাবজেক্ট র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি সাবজেক্ট র্যাঙ্কিংয়ে ৬৬টি ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। যা ২০২২ সালের তুলনায় ১৮.৭ শতাংশ বেশি। এ বছর ভারতের ৩৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ইন্সটিটিউট অব এমিনেন্সে স্থান পেয়েছে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিষয়ভিত্তিক তালিকায়, ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কম্পিউটার বিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যায় সেরা পারফর্ম করেছে। সারা বিশ্বে গবেষণার ক্ষেত্রে ভারত দ্রুত তার স্থান করে নিচ্ছে। চীন ৪.৫ লাখ গবেষণা পত্র নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে, তারপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪.৪ লাখ এবং যুক্তরাজ্য ১.৪ লাখ।
আরও পড়ুন
সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?
উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার
উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে। কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে। যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে। অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়। এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে। এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন
Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে বিতর্কে এ আর রহমান
উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন