হিউম্যানয়েড রোবট ARTEMIS রেডি পরবর্তী RoboCup-এর জন্য

অনয় কিরণ মাহাতো

ছবি: Prof. Dennis Hong এর টুইটার থেকে

কেমন যেন লাগে রোবট এর কথা শুনলে। তারপরে আবার হিউম্যানয়েড, ভাবা যায়। হিউম্যানয়েড রোবট এক জটিল anthropomorphic কৃত্রিম মেশিন যা রোবোটিক্স, লোকোমোশন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এই হিউম্যানয়েড রোবর্ট এর বিকাশকে ত্বরান্বিত করেছে। ১৮১০ সালে জার্মানির ফ্রেডলিচ কাউফম্যানন প্রথম তৈরি করেছিলেন এক ট্রাম্পেট সৈনিক রোবর্ট। যদিও ১২০৬ সালে প্রথম প্রোগ্রামেবল হিউম্যানয়েড রোবট তৈরি করেন আরবের একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আল-যাজরি। এরপর লিওনার্দো দা ভিঞ্ছির আদলে জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটির প্রোফেসর ঈশিগুর পরীক্ষাগারে তৈরি হয় এক অভিনব মানাবিক রোবট। যেখানে একজন জীবন্ত মানুষের মত লিওনার্দো দা ভিঞ্ছির আদলে তৈরি হওয়া রোবটটিকে  নড়াচড়া করতে দেখা যাচ্ছে। এরপরও অনেক জনপ্রিয় হিউম্যানয়েড রোবটের কথা আমরা শুনেছি যেমন Ocean One (underwater), Atlas (rescue task), ROBEAR (support for old age people), Pepper (funny), Sophia (News anchor) আরোও কত কিছু।

ছবি: লিওনার্দো দা ভিঞ্ছির হিউম্যানয়েড রোবট ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম থেকে তোলা।

সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেস এঁর (UCLA) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা তৈরি করেছেন এক আভিনব হিউম্যানয়েড রোবট “ARTEMIS” যা লম্বায় ১৪২ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৩৮ কিলোগ্রাম। এই রোবটটি সাবলীল ভাবে ১২৬ মিটার প্রতি মিনিটে ছুটতে পার, আর ভারী লাথি (কিক) ও ঝাকুনির বিরুদ্ধে তার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। এই রোবটের আর এক বিশেষত্ব হল এ নিখুত ভাবে বল কিক সহ, ডিফেন্স করতে  খুবই উপযোগী। তবে এই জাতীয় রোবট ভবিষৎতে বিপর্যয় মোকাবিলা সহ, মহাকাশ ও গাভীর সমুদ্র গবেষনায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

“ARTEMIS” এর জন্মদাতা প্রফেসর ডেনিস হং ও তার সহযোগীদের কাছে আমারা কৃতজ্ঞ এত সুন্দর এক হিউম্যানয়েড খেলয়ার রোবট আবিস্কারের জন্য। আশাকরি ভবিষ্যতে আমরা আরও বেশি করে হুমানইড রোবট  উপহার পাব যা মানব সভ্যতার বিকাশে প্রত্যক্ষ ভাবে সাহায্য করবে। “ARTEMIS”  যদিও পরবর্তী ফিফা বিশ্বকাপে আম্বাপে, মেসি বা সি আর৭ এর মুখমুখি না হতে পারেন কিন্তু হং এর দল এই সামনের জুলাই মাসে ফ্রান্স এ অনুষ্ঠিত RoboCup এ অবশ্যই তার ভেল্কি দেখাবে।

সূত্র: UCLA Newsroom

কৃতজ্ঞতা স্বীকার: ড. সঞ্জিত কুমার মাহাতো

খবরটি শেয়ার করুণ

1 thought on “হিউম্যানয়েড রোবট ARTEMIS রেডি পরবর্তী RoboCup-এর জন্য”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


জানুন ২০২৩ সালের জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ডঃ শীলা অসোপা'র কথা

ত্তরাপথঃ ডঃ শীলা অসোপা, সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্যাম সদন, যোধপুরের অধ্যক্ষা, তিনি ১৭ বছর ধরে স্কুলের বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন।তাঁকে শিশুদের শেখানোর নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন, স্কুলের অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং উদ্ভাবনের জন্য ২০২৩ সালের জাতীয় শিক্ষক পুরস্কারে পুরুস্কৃত করা হয়।  ডঃ অসোপাকে, যোধপুরে শ্যাম সদন, সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, ১০ মাস আগে বদলি করা হয় । সেই সময় দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয়ে মাত্র দুটি কক্ষ ছিল।মেয়েরা টিনের চালা দিয়ে তৈরি ঘরে পড়াশোনা করত।  ঘর কম থাকায় গাছের নিচেও ক্লাস হত । তার কথায় ,সেই সময়টা বাচ্চাদের পড়াশুনা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় কেটেছে । এরপর টিনের চালা দিয়ে তৈরি কক্ষে কাঠের পার্টিশন দিয়ে ৬টি কক্ষ তৈরি করা হয়। .....বিস্তারিত পড়ুন

সুপার পটেটোর অনুসন্ধান - বিজ্ঞানীরা আলু সুপার প্যানজেনোম তৈরি করেছেন

উত্তরাপথঃ আলু বহু শতাব্দী ধরে রান্নার বহুমুখীতা এবং উচ্চ পুষ্টির মানের জন্য খাদ্যের একটি প্রধান উৎস। আলু আজ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোণে উৎপাদিত হয়, যা আলুকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ফসলগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে । বছরের পর বছর ধরে, বিজ্ঞানীরা আলুর ফলন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পুষ্টি উপাদান উন্নত করার জন্য এবং আরও ভাল আলুর জাত প্রজননের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। আলুর জিন সম্পাদনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষকরা আলু সুপার প্যানজেনোম তৈরি করেছেন যা আলু গবেষণা এবং প্রজননে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক চিহ্নিত হবে বলে বিজ্ঞানীদের আশা । .....বিস্তারিত পড়ুন

আবার জেগে উঠবে চন্দ্রযান-৩-এর বিক্রম ল্যান্ডার,আশাবাদী ISRO

উত্তরাপথঃ চন্দ্রযান-৩-এর বিক্রম ল্যান্ডার বর্তমানে চাঁদে ঘুমিয়ে পড়েছে। অন্ধকার চাঁদে বিক্রম ল্যান্ডার দেখতে কেমন?  এটি জানতে চন্দ্রযান-২ অরবিটার পাঠানো হয়েছিল।চন্দ্রযান-২ অরবিটার বিক্রম ল্যান্ডারের একটি ছবি তোলেন।ISRO সেই ছবিটি প্রকাশ করেছে, যা রাতে চন্দ্রযান-3 ল্যান্ডার দেখায়।ISRO টুইট করে জানায় রোভার প্রজ্ঞানের পরে, এখন ল্যান্ডার বিক্রমও ঘুমিয়ে পড়েছে। ISRO প্রধান এস সোমনাথ এর আগে বলেছিলেন যে চন্দ্র মিশনের রোভার এবং ল্যান্ডার চান্দ্র রাতে নিষ্ক্রিয় করা হবে।  তারা ১৪ দিন পরে আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে যখন সেখানে ভোর হবে। 23 আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠে অবতরণের পরে, ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান উভয় ডিভাইস তাদের কাজ খুব ভাল .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top