এর নামই রাজনীতি….

উত্তরাপথ

২০২৩ সালে কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, রাজস্থান সহ তেলেঙ্গানা রাজ‍্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। শুরু হয়েছে প্রচার। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আগামীতে জনগনকে কিছু পাইয়ে দিতে মরিয়া। আর জনগণ নতুন প্রাপ্তির নেশায় মত্ত। বিগত ৫ বছরে কে কি পেল না পেল সেই প্রশ্ন অবান্তর,আর এর নামই রাজনীতি। তাই কোনো রাজনৈতিক দল জনগণের প্রকৃত সমস‍্যাগুলির আন্তরিক সমাধানে আগ্রহী হয় না বরং সমস্যাগুলোকে জিইয়ে রেখে নিজেদের ভোটের রাজনীতি করাই লক্ষ্য।
আমাদের স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৭৫ বর্ষ উত্তীর্ণ। এই ৭৫ বছরে কম – বেশী সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেশ শাসন করেছে। কিন্তু দেশ থেকে এখনো দারিদ্র্য দূর হয়নি। ১৯৭১ সাল থেকে রাজনৈতিক দলগুলো গরিবী হঠাও এর স্লোগান দিয়ে আসছে। সেই সাথে দারিদ্র দূরীকরনের জন‍্য একাধিক পদক্ষেপ বিভিন্ন সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। জাতীয় খাদ‍্য কর্মসূচি,গ্রাম স্ব-রোজগার যোজনা, গ্রামীণ আবাসন যোজনা, গ্রামোদয় যোজনা সহ একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।এই সব প্রকল্পের উপকারিতা যে নেই তা নয়, কিন্তু এই প্রকল্পগুলি নেওয়ার পরও দরিদ্রের সংখ্যা কম হওয়ার জায়গাই বেড়ছে।২০০৯ সালে তালুকদার কমিটির রিপোর্টে প্রকাশ ২১.৯% মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে রয়েছে।২০১৪ সালে রঙ্গরাজন কমিটির রিপোর্টে ২৯.৫% মানুষ দরিদ্রসীমার নীচে বাস করার কথা বলা হয়েছে।
আমাদের দেশে যেখানে রাজনীতি শেষ কথা বলে সেখানে শাসক দল মানুষের দীর্ঘমেয়াদী উপকারে লাগবে,মানুষের স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে এমন নীতি কেন গ্রহণ করেন না? এর কোনো সদুত্তর নেই, বরং রাজনৈতিক দলগুলোর বিশ্বাস ভোটের আগে ৫০০/ ১০০০ টাকা , সস্তা গ‍্যাস, বিনা পযসায় বিদ‍্যুৎ সহ একাধিক সুযোগ সুবিধা প্রদানের নীতি শাসকদলকে ক্ষমতাই টিকে থাকতে সাহায্য করবে। তাই সেই নীতিই তারা গ্রহণ করে । রাজনৈতিক দলগুলো এমন কোনো নীতি গ্রহণ বা কার্যকর করবে না যা তাদের ভোট পেতে অসুবিধার  সৃষ্টি  করবে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার

উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে।  কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে।  যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে।  অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়।  এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি  যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে।  পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে।  এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন

প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে

উত্তরাপথঃ হঠাৎ করেই একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে।২০২৩ এর ৩০ অক্টোবর  প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি মৃত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত একটি নতুন দ্বীপের জন্ম দিয়েছে। বিস্ফোরণের পর জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপ চেইনের কাছে বিশাল বিশাল পাথরের টুকরো দেখা গেছে। এ বিষয়ে জাপানি গবেষক বলেন, গত মাসে প্রশান্ত মহাসাগর জলের নিচে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের পর টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ইওটো দ্বীপের কাছে একটি ছোট নতুন দ্বীপের উদ্ভব হয়েছে।টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ফুকাশি মায়েনো জানিয়েছেন যে নতুন দ্বীপ, এখনও যার নাম নেই প্রশান্ত মহাসাগরের ইওটো দ্বীপ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ১০০ মিটার ব্যাসের একটি পাথুরে দ্বীপে একটি phreatomagmatic বিস্ফোরণ ঘটেছে। টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিস্ফোরণটি দেখা গেছে। ভূপৃষ্ঠের নীচে জলের সাথে লাল গরম ম্যাগমা সংঘর্ষের কারণে প্রতি কয়েক মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটে।গত ২১ অক্টোবর, ২০২৩-এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল, যা আগে ইও জিমা নামে পরিচিত ছিল এবং এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের স্থান ছিল। প্রায় ১০ দিন ধরে অগ্ন্যুৎপাত চলার পর, আগ্নেয়গিরির উপাদান অগভীর সমুদ্রতলের উপর জমা হয় এবং প্রায় ১৬০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় বড় বড় পাথরের আকারে সমুদ্র পৃষ্ঠের উপরে উঠে আসে। .....বিস্তারিত পড়ুন

NASA Carbon Emission: পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে

উত্তরাপথঃ কার্বন নির্গমন (NASA Carbon Emission) সম্পর্কে নাসার সর্বশেষ আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য এক সতর্কতা সংকেত। মহাকাশ সংস্থার মতে, পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে, যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। NASA এর এই আবিষ্কারটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে দেখা যেতে পারে, সেইসাথে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেছে।নাসার সর্বশেষ গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে পৃথিবীর মহাসাগর এবং ভূমি-ভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র আগের চেয়ে কম কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গত এক দশকে ভূমি এবং মহাসাগর দ্বারা শোষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৫% হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?

উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।    বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top