উত্তরাপথ
এই প্রথম বার এককভাবে ওডিআই বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। বিশ্বকাপ আয়োজনে কোনওরকম ফাঁক রাখতে চাইছে না বিসিসিআই। দেশজুড়ে তাই সাজ সাজ রব। আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করে দিয়েছে । হাতে আর মাত্র তিনমাস বাকি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। যে ১০টি স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলা হবে সেগুলি সংস্কারের কাজ চলছে জোর কদমে। প্রতিটি স্টেডিয়ামকে সংস্কারের জন্য টাকা দিয়েছে বোর্ড। জানা গেছে বিশ্বকাপের আগে স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য প্রতিটি স্টেডিয়ামকে ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। যে স্টেডিয়ামের যা প্রয়োজন সেই হিসেবে কাজ চলছে। যেমন মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নতুন ফ্লাডলাইট কর্পোরেট বক্সের প্রয়োজন, লখনউ স্টেডিয়ামে পিচ, ইডেন গার্ডেন্সে ড্রেসিংরুম আপগ্রেড, ধরমশালায় বিদেশ থেকে আমদানি করা ঘাসের আউটফিল্ড, পুনে স্টেডিয়ামে অস্থায়ী ঘর এবং অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের টিকিটিং সিস্টেম এবং শৌচাগারের সংস্কার।
বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি খেলা হবে আমেদাবাদ, চেন্নাই, মুম্বই, ধরমশালা, দিল্লি, পুনে, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, লখনউ এবং কলকাতায়। গুয়াহাটি ও তিরুবনন্তপুরমে খেলা হবে ওয়ার্ম আপ ম্যাচগুলি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম আয়োজন করবে লিগ পর্বের চারটি ম্যাচ এবং সেমিফাইনাল। স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট ছাড়া কর্পোরেট বক্স ও শৌচাগার সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। চেন্নাইয়ে দুটি লাল মাটির পিচ এবং নতুন এলইডি লাইট বসানো হবে। ধরমশালা স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ শেষ না হওয়ায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া বর্ডার গাভাসকর ট্রফির ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্বকাপে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ-সহ পাঁচটি ম্যাচ আয়োজন করবে ধরমশালা স্টেডিয়াম। ৬০০০ মিটারের নতুন ড্রেনেজ সিস্টেম বিশেষ করে পাইপ বসানো হয়েছে। যাতে বৃষ্টি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ম্যাচ শুরু করার জন্য মাঠ প্রস্তুত করা যায়
আরও পড়ুন
সম্পাদকীয়
বিশ্ব উস্নায়ন এবং তাকে কেন্দ্র করে জলবায়ু পরিবর্তন একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এটি ধীরে ধীরে একাধিক উপায়ে মানব সমাজকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এটি প্রায় অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে এটি আমাদের পরিবেশ, অর্থনীতি এবং আমাদের জীবন যাত্রার উপর ব্যাপক ভাবে প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে ।সদ্য হয়ে যাওয়া হিমাচল প্রদেশের বন্যা আমাদের সামনে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিল । এবছর হিমাচল প্রদেশে বর্ষাকালে রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে ,যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বহু গুণ বেশী। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশে ১ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৪৯.৬ মিমি যা স্বাভাবিক গড় ৭৬.৬ মিমি থেকে প্রায় ৭০% বেশী .....বিস্তারিত পড়ুন
চম্পারন মাটন রাজনীতি কি কোনও নতুন সমীকরণ তৈরি করবে
উত্তরাপথঃ সামনে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন ,আর সেই নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে INDIAজোট। মুম্বাইতে বিরোধী INDIA জোটের (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স) তৃতীয় বৈঠকের একদিন পরে, কংগ্রেস শনিবার রাহুল গান্ধীর লালু প্রসাদ যাদব এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দিল্লিতে দেখা করার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে তাদের চম্পারন মাটন দিয়ে রান্না এবং রাজনীতি নিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে।ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর জন্যও মাটন চাইছেন যা প্রিয়াঙ্কা বাড়িতে উপভোগ করেন এবং সন্দেহ করেছিলেন যে রাহুল সত্যিই মাটন রান্না করেছেন কিনা। "সবাই করেছে। আমি রান্না করেছি, লালুজি রান্না করেছে, মিসা রান্না করেছে," রাহুল বলল। .....বিস্তারিত পড়ুন
গ্লোবাল ওয়ার্মিং রিপোর্ট: ২০২৩ বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে উদ্বেগজনক প্রতিবেদন
উত্তরাপথঃ সারা বিশ্ব যখন বিশ্ব উষ্ণায়নের কেন্দ্র করে শুরু হওয়া জলবায়ু সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেই সময়, ২০২৩ বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে একটি উদ্বেগজনক প্রতিবেদন আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ৮ আগস্ট যে পরিসংখ্যান আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন,তাতে আগামী দিনের ভয়াবহ পরিণতির জন্য বিশ্ববাসীকে সতর্কবাণী শুনিয়েছেন।এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে তাপ তরঙ্গ এবং দাবানলের জন্য ২০১৯ সালের জুলাই মাসটিকে চিহ্নিত করা হত । কিন্তু এবছর জুলাই মাসের তাপমাত্রা গত ২০১৯ সালের থেকেও ০.৩৩ সেন্টিগ্রেড বেশি ছিল EU-এর কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর সামান্থা বার্গেস বলেছেন, "গত ১২০,০০০ বছর ধরে পর্যবেক্ষণমূলক রেকর্ড এবং প্যালিওক্লাইমেট রেকর্ড এক সাথে সমন্বয় করে বিশ্লেষণ করলেও এত গরম ছিল না।" .....বিস্তারিত পড়ুন
বিশ্ব মানবতার আলোয় যৌবনের পূজারী নজরুল
অসীম পাঠকঃ জীবনের প্রয়োজনে যুগের পরিবর্তন যেমন সত্য তেমনি যুগের প্রয়োজনে জীবনের আবির্ভাব অমোঘ। এই বাস্তব সত্যটিকে আরও গভীর ভাবে উপলব্ধি করার কাল এসেছে। তারই অভ্যাস অনুরণিত হচ্ছে দিকে দিকে। সর্বত্র আলোড়ন উঠেছে বিদ্রোহী কবির জীবন দর্শন নিয়ে , তাঁর আগুন ঝরা কবিতা নিয়ে। সর্বহারার কবি নজরুল ইসলাম। যারা বঞ্চিত অবহেলিত , নিপীড়ন আর শোষণের জ্বালা যাদের বুকে ধিকি ধিকি জ্বলে বুকেই জুড়িয়ে যাচ্ছিল দাহ, তাদের মূক বেদনার ভাষা দিয়েছিলেন নজরুল।পদদলিত পরাধীন জাতির বুকে স্বাধীনতার তৃষ্ণা জাগিয়েই তিনি শান্ত থাকেননি , দেশের সমাজের বুক থেকে মানুষে মানুষে বিভেদ ব্যাবধান দূর করবার ব্রত ও গ্রহন করেছিলেন। তিনিই প্রথম কবি যিনি সমাজের সমাজপতি দের ছলনার .....বিস্তারিত পড়ুন