সাহিত্য ও শিল্প
চাকমা উপজাতি বাংলাদেশের বৃহত্তম আদিবাসী হওয়া সত্বেও দীর্ঘ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন
প্রীতি গুপ্তাঃ চাকমা উপজাতি বাংলাদেশের বৃহত্তম আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি। এদের প্রধানত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে, এছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা এবং মিজোরাম সহ অরুণাচল প্রদেশের তিরাপ, চাংলাং, সুবানসুরি এবং লোহিত জেলা, কার্বি-আংলাংয়ের ল্যাংসিলেট এলাকায় এবং উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলা , আসামের কাছাড় জেলা এবং পশ্চিমবঙ্গেও কিছু চাকমা উপজাতি পরিবার দেখা যায়।সর্বশেষ পাওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে বাংলাদেশে চাকমাদের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৫-৬ লক্ষ, মিজোরামে ৮০,০০০ - ১০০,০০০ অরুণাচল প্রদেশে ৬০-৭০ হাজার, ত্রিপুরায় ৪০ -৫০ হাজার এবং আসামে প্রায় ৩০ হাজার। এই চাকমা উপজাতির একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, তবে এরা বছরের পর বছর ধরে অসংখ্য প্রতিকূলতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও তারা তাদের অনন্য ঐতিহ্য ও রীতিনীতি রক্ষা করে চলেছে।চাকমা উপজাতির উৎপত্তি বর্তমান মায়ানমারের প্রাচীন আরাকান রাজ্যে বলে জানা যায়। ১৬ শতকে বার্মিজদের দ্বারা তাদের জন্মভূমি আক্রমণের পর তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলে আসে। চাকমারা প্রধানত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং তাদের ধর্মীয় অনুশীলন তাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িত। তবে চাকমাদের উৎপত্তিস্থল ঠিক কোথায় তা খুঁজে বের করা খুবই কঠিন। চাকমা বা প্রাচীন চাকমা ইতিহাসের উৎপত্তি সম্পর্কে ঐতিহাসিকরাও নীরব। খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীর আগে চাকমাদের অস্তিত্বের কোনো লিখিত তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায় না। হাচিনসন, ক্যাপ্টেন লইন এবং অন্যান্যদের বিবরণেও চাকমাদের উৎপত্তি সম্পর্কে সঠিক আলোকপাত করা হয়নি।তবে প্রাথমিক ভাবে শোনা কথার উপর ভিত্তি করে এবং চালিত ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে হিন্দুরা চাকমাদের হিন্দু হিসেবে এবং মুসলমানদেরকে মোহামেডান হিসেবে দেখতেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে চাকমা ইতিহাস, যাকে বিজাগ বলা হয় তাও অনেক ক্ষেত্রে স্ববিরোধী বলে মনে হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Jagannath Temple in Puri: রহস্যে ভরা পুরীর জগন্নাথ মন্দির
প্রীতি গুপ্তা-সম্প্রতি ওড়িশা সরকারের উদ্যোগে ৪৬ বছর পর পুরীর ভগবান জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলা হয়।এর আগে রত্ন ভান্ডার সর্বশেষ ১৯৭৮ সালে খোলা হয়েছিল। আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রাচীন মন্দিরগুলির রত্নভান্ডার সম্পর্কে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই, সেই নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা কল্প কাহিনী।সম্প্রতি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের অভ্যন্তরে একটি অভিভাবক সাপ থাকার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। মন্দিরের রত্ন ভান্ডার খোলার পর সেই গুজবের সত্যতা প্রমানিত হয় নি। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের(Jagannath Temple in Puri) ইতিহাস সম্পর্কে গবেষক, ইতিহাসবিদ, মহাকাব্য রচয়িতা থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন পণ্ডিত নানা রকম মতামত দিয়েছেন।প্রসঙ্গত পুরীর জগন্নাথ মন্দির বিশ্বের প্রাচীনতম মন্দিরগুলোর মধ্যে একটি। স্কন্দপুরাণ অনুসারে, সত্যযুগে, অবন্তীর সোমবংশ রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন পুরীতে ভগবান জগন্নাথের মন্দির তৈরি করেছিলেন এবং তিনি মন্দিরে দেবতাদের মূর্তি (প্রতিষ্ঠা) স্থাপনের জন্য স্রষ্টা ব্রহ্মাকে আমন্ত্রণ জানান।মহাভারতের (বনপর্ব) এবং শ্রীমন্দ ভাগবত গীতায় (পুরুষসত্তোম যোগ) ভগবান জগন্নাথের নাম উল্লেখ রয়েছে ।পণ্ডিতদের অনুমান পুরাণ মতের ভিত্তিতে পুরীর জগন্নাথ মন্দির প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। পুরীর এই মন্দিরের ইতিহাস অনেক পুরানো সম্ভবত এটি সত্যযুগে নির্মিত। গবেষকদের মতে পুরীর জগন্নাথ মন্দির ৯৪৯ থেকে ৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রাজা যজতি কেশরী দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এরপর মন্দিরটি গঙ্গা রাজবংশের বিখ্যাত রাজা অনন্ত বর্মণ চোদাগঙ্গা দেব ১০৭৮ থেকে ১১৪৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পুনর্নির্মাণ করেছিলেন এবং ১১৯০ থেকে ১১৯৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অনঙ্গভীম দেব দ্বারা মন্দিরের নির্মাণ শেষ হয়। .....বিস্তারিত পড়ুন
ছোটগল্প - গন্তব্য
অসীম পাঠকঃ ঠিক পাঁচটায় আ্যালার্ম বেজে ওঠে ব্রজমাধবের । আর একদম দেরি করা ঠিক হবেনা , সাড়ে পাঁচটার বাসটা ধরতে না পারলে মুশকিল আছে, সাতটা দশে রূপসী বাংলা ট্রেন ধরে কোলকাতা যেতে হবে। শালডিহা থেকে বাঁকুড়া দেড় ঘন্টার বাস জার্নি শেষ করে ট্রেন ধরার জন্য তার সময় থাকবে মাত্র পনেরো মিনিট। পুরো দিনটাই দৌড়ের উপর। পাঁচ ঘন্টার ট্রেন জার্নি। তারপর কোলকাতার কাজ গুছিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত এগারোটা। ব্রজ স্টেশনে এসে দেখে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারির সকাল , মেঘলা আকাশ বোধহয় আর কিছু পরেই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামবে। মেঘ মল্লার রাগের কথা মনে হলো তার , ব্রজর বাবা কি দরদ দিয়ে গাইতেন। বলতেন মেঘ মল্লার রাগ মানে মনে করতে হবে ঝমঝম বৃষ্টি নয় , এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে , চারদিকে বৃষ্টি স্নাত সজীব সবুজ প্রকৃতি , আকাশ কালো করে আছে , আরো বৃষ্টি নামবে। মেঘ মল্লারের আদর্শ সময় এটাই। যাইহোক তার ভাবনায় ছেদ পড়ে , রূপসী বাংলা নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। উঠেই জানালার পাশে সিট পেয়ে যায় ব্রজ। একি তার সামনে মুখোমুখি বসে তার পছন্দের সিঙ্গার নিশা মুখার্জি। বিবর্তন ব্যান্ডের কোকিলকন্ঠি তন্বী ছিপছিপে সুদর্শনা গায়িকা নিশা। গত ডিসেম্বরে বিষ্ণুপুর মেলা কভার করতে গিয়েছিলো আনন্দ বাজারের পক্ষ থেকে ব্রজমাধব। সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়া শেষ করার পর আনন্দ বাজারে ধারাবাহিক ভাবে গ্রাম বাংলার লৌকিক বিষয়ের উপর লিখে চলেছে সে। হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে সংরক্ষিত করাই তার কাজ। ফেরার পথে ভিড় বাসে দেখাও হয়েছিলো। কিন্তু মনের সংকোচ কাটিয়ে পারেনি পরিচয় করতে। সেবার নিশাকে সিটটা সেই ছেড়েছিলো ,তার স্টপেজ আস্তে মিনিট দশ বাকি ছিলো। নিশা ছোট্ট করে থ্যাঙ্ক ইউ বলে সিটে বসে পড়েছিলো। প্রায় আড়াই মাসের ব্যাবধানে আবারও সহযাত্রী নিশা। .....বিস্তারিত পড়ুন
দূষণে তাজমহল বর্ণহীন হয়ে পড়ছে, শুরু করা হয়েছে মাডপ্যাক থেরাপি
প্রীতি গুপ্তাঃ বছরের পর বছর ধরে, ভারতের তাজমহলের আইকনিক সাদা মার্বেলটি ধীরে ধীরে রঙ পরিবর্তন করে চলেছে, যার ফলে অনেকেই ভাবছেন কেন এই প্রিয় স্মৃতিস্তম্ভটি আর আগের মতো সাদা নেই। তাজমহলের মার্বেল, যা আবহাওয়া, ধূলিকণা এবং দূষণের কারণে হলুদ ও মাঝে মাঝে কালো হয়ে গিয়েছে, বর্তমানে মাডপ্যাক থেরাপি ব্যবহার করে তা উজ্জ্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাজমহলের রঙ পরিবর্তনের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা। তাজমহলের বর্ণহীনতার অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে দূষণকে দায়ী করা হচ্ছে। আগ্রা শহর, যেখানে তাজমহল অবস্থিত, সেই অঞ্চলটি উচ্চ মাত্রার বায়ু দূষণের জন্য পরিচিত। এই দূষণ যানবাহন নিষ্কাশন, শিল্প নির্গমন এবং অন্যান্য দূষণের উৎসের কারণে হচ্ছে। এই দূষণে রয়েছে কণা পদার্থ এবং সালফার ডাই অক্সাইড, যা মার্বেলের সাথে বিক্রিয়া করে মার্বেলের মধ্যে অসংখ্য কালো,হলুদ দাগ তৈরি করেছে।উপরন্তু, এলাকায় পোকামাকড় এবং পাখির উপস্থিতিও মার্বেলের বিবর্ণতায় অবদান রাখতে পারে, কারণ তাদের বর্জ্য এই স্মৃতিস্তম্ভের পৃষ্ঠে দাগ তৈরি করতে পারে। আরেকটি কারণ যা তাজমহলের রঙ পরিবর্তনের জন্য অবদান রেখেছে তা হল আবহাওয়া। স্মৃতিস্তম্ভটি সারা বছর ধরে প্রখর সূর্যালোক, বৃষ্টি এবং আর্দ্রতা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানগুলির সংস্পর্শে আসে। এই আবহাওয়ার কারণে মার্বেল ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে এর আসল উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে, যার ফলে ধীরে ধীরে তাজমহলের রঙের পরিবর্তন হতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের ধারনা। যদিও বর্তমানে প্রশাসন তাজমহলের রঙের পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন । তারা তাজমহলের আশেপাশের এলাকায় বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন .....বিস্তারিত পড়ুন
এক নজরে অতীত ও বর্তমানের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়
উত্তরাপথঃ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়, বর্তমান ভারতের বিহারে অবস্থিত, খ্রিস্টীয় ৫ ম থেকে ১২ শতক পর্যন্ত বৌদ্ধ শিক্ষা ও বৃত্তির একটি বিখ্যাত কেন্দ্র ছিল। ৪৫০ খ্রিস্টাব্দে গুপ্ত সম্রাট কুমার গুপ্ত প্রথম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে এটি হর্ষবর্ধন ও পাল শাসকদেরও পৃষ্ঠপোষকতা পায়।নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এশিয়ার উচ্চশিক্ষার প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি।গত ১৯ জুন রাজগীরে অবস্থিত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।আজও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে, ভারত এবং বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহ্য বলে মনে করা হয়। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল খ্রিস্টীয় ৫ম শতাব্দীতে, একজন ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ রাজা কুমারগুপ্ত প্রথমের রাজত্বকালে। বিশ্ববিদ্যালয়টি বৌদ্ধধর্মের অধ্যয়ন ও প্রসারের পাশাপাশি যুক্তিবিদ্যা, ব্যাকরণ এবং ওষুধের মতো অন্যান্য বিষয়ের চর্চার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় চীন, তিব্বত, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সহ সমগ্র এশিয়া থেকে ছাত্র এবং পণ্ডিতদের আকর্ষণ করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ বিশিষ্ট পণ্ডিতদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল যারা বৌদ্ধ দর্শন, ধ্যান এবং যোগ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। পূর্বের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বৌদ্ধিক কার্যকলাপের একটি কেন্দ্র, যেখানে পণ্ডিতরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে বৌদ্ধধর্ম, জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, চিকিৎসা এবং দর্শন সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ৯ মিলিয়নেরও বেশি পাণ্ডুলিপি ছিল বলে ঐতিহাসিক বিবরণ থেকে জানা যায়।সেইসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পণ্ডিতরা বৌদ্ধ দর্শনের বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন ,বিশেষ করে মধ্যমাকা (মধ্যম পথ) এবং জ্ঞানবাদ (শুধুমাত্র-চেতনা) তত্ত্ব প্রচারের ক্ষেত্রে। .....বিস্তারিত পড়ুন
ছোট গল্প - অসমাপ্ত
অসীম পাঠকঃ প্রথম পর্ব- লাল মাটির রাস্তা পেরিয়ে , এবড়ো খেবড়ো কালো পিচ ঢাকা রাস্তার পাশেই শিরীষ সেগুন আর পাইন গাছে ঢাকা বাঁকুড়া জেলার ঐতিহ্য মন্ডিত শালডিহা কলেজ । পাশাপাশি বেশ কয়কটা গ্রাম । ছায়া সুশীতল কলেজ বিল্ডিং পেরিয়ে তিনটে বয়েজ হোষ্টেলে। দিনরাত হৈ হুল্লোড় লেগেই থাকে সেখানে। টিনের চালের কলেজ ক্যান্টিনকে বাঁদিকে রেখে তিনটি হোষ্টেলকে সারিবদ্ধভাবে দুপাশে রেখে বিরাট এক খেলার মাঠ। এক পাশে পুকুর , অন্য পাশে অড়র কলাই চাষের জমি , তারি মাঝে সরু মেঠো রাস্তা চলে গেছে একটি গ্রামের দিকে। নয় এর শেষ দশকের এক আলোকোজ্জ্বল সকাল। কলেজ ময়দানে সকাল থেকেই মাইকে বাজছে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত "কুছকুছ হোতা হ্যায় " মুভির হিট গান ..... সবুজ মাঠের বুক চিরে সাদা লাইনের পাশে রঙ বেরঙের পতাকা । চারপাশে কৌতুহলী জনতা । ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি , হাল্কা শীত থেকে গেছে, এলাকার গর্বের প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা । মাইকে ঘোষণা হলো , পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সাদা পায়রা উড়িয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন। টেন্টের পাশে বেশ কিছু চেয়ার পাতা । উঠে দাঁড়ালেন সাদা ধুতি পাঞ্জাবী পরিহিত কালো ফ্রেমের চশমায় সৌম্যকান্তি অধ্যক্ষ মহাশয় । পাশে সাদা টিশার্টের উপর উলেন শার্ট কালো প্যান্ট স্কাই কালারের কেডস পরা কালো সানগ্লাস চোখে পাতলা ছিপছিপে কোঁকড়া চুলের শ্যামবর্ণ তরুণ তুর্কী ছাত্র নেতা , কলেজের জি এস সুব্রত .... অধ্যক্ষ আর জি এস এমনিতে আদায় কাঁচকলায়, সুব্রত বোঝে আন্দোলন আর বিপ্লব। বাংলায় তখন বাম জমানা । বাম বিরোধী আন্দোলনের এক দৃপ্ত প্রতিবাদ সুব্রতর চোখে মুখে। তার আগুন ঝরা বক্তৃতায় শাসক দলের ঘুম উড়ে যাওয়া অবস্থা। কলেজের সবার কাছে প্রিয়পাত্র এবং রাজ্যের সাংস্কৃতি অঙ্গনে পরিচিত মুখ। অভিজাত জমিদার বাড়ির ছেলে। .....বিস্তারিত পড়ুন
হোপ ডায়মন্ড এবং কোহ-ই-নূর (Hope and Koh-i-Noor) হীরার উৎস চিহ্নিত করল গবেষকরা
উত্তরাপথঃ বিশ্বের সবচেয়ে আইকনিক এবং ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ দুটি হীরা, হোপ ডায়মন্ড এবং কোহ-ই-নূর (Hope and Koh-i-Noor) । এই দুটি হীরা, যা বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসি-র স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি এবং লন্ডনের টাওয়ারে যথাক্রমে সংরক্ষিত রয়েছে, এই হীরাদুটির উৎপত্তি কোথা থেকে তা আজও অজানা । বহু শতাব্দী ধরে এই হীরা দুটি নিয়ে অসংখ্য রহস্য তৈরি হয়েছে।সম্প্রতি গবেষকরা এই হীরা দুটির উৎপত্তির রহস্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন। দ্য হোপ ডায়মন্ড, একটি ৪৫.৫৬-ক্যারেট গভীর নীল হীরা, বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত হীরাগুলির মধ্যে এটি একটি এবং বলা হয় যে ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন রাজপরিবারের মালিকানায় ছিল এই হীরা, যার মধ্যে মেরি অ্যান্টোয়েনেট এবং রানী এলিজাবেথ আই অন্যতম।অন্যদিকে কোহ-ই-নূর, একটি ১৯০-ক্যারেট আয়তক্ষেত্রাকার-কাট হীরা, ১৪ শতকের এই হীরার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে । এটি বিভিন্ন মুঘল সম্রাট এবং ব্রিটিশ রাজাদের মালিকানাধীন। আমেরিকার জেমোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট (জিআইএ) এবং অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দুটি হীরার রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করতে উন্নত কৌশল ব্যবহার করেছেন এবং একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছেন। তাদের অনুসন্ধান অনুসারে, উভয় হীরাই মধ্য আফ্রিকার একই অঞ্চল থেকে, বিশেষ করে বতসোয়ানার ওরাপা খনি থেকে বেরিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গবেষকরা হীরার ক্ষুদ্র টুকরোগুলির রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করতে "লেজার অ্যাবলেশন-ইন্ডাকটিভলি কাপলড প্লাজমা ভর স্পেকট্রোমেট্রি" (LA-ICP-MS) নামে একটি কৌশল ব্যবহার করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন