

Moungi G.Bawendi সাফল্যের পথ চলা এক নোবেল জয়ী
উত্তরাপথঃ Moungi G.Bawendi ব্যর্থতাকে স্বীকার করে সাফল্যের পথ চলা এক নোবেল জয়ী। একাডেমি অফ সায়েন্সেস, স্টকহোম এই বছরের পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা ও সাহিত্যের জন্য নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে। ২০২৩ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তিন বিজ্ঞানীকে। কোয়ান্টাম ডট আবিষ্কারের জন্য Moungi G. Bawendi, Louis E. Brus and Alexei I. Ekimov on, কে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
Moungi G.Bawendi ১৯৯০ সাল থেকে এমআইটিতে একজন অধ্যাপক ছিলেন এবং অন্য দুই বিজ্ঞানীর সাথে তিনি এই বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। প্রফেসর বাভেন্ডি কোয়ান্টাম ডট আবিষ্কার করেননি কিন্তু তা আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কোয়ান্টাম ডটস হল ন্যানো পার্টিকেল যা টিভি স্ক্রিনেও পাওয়া যায়। কোয়ান্টাম ডটস সাহায্যে টিউমার সনাক্ত করা যেতে পারে।
তিউনিসিয়ান এবং ফরাসি ঐতিহ্যের এই অধ্যাপক বাওয়েন্দি স্কুল জীবনে পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলেন। বিজ্ঞানের প্রতি তার খুব আগ্রহ ছিল। ১৯৭০-এর দশকে যখন তিনি হার্ভার্ডে ভর্তি হন, তখন তার পড়াশোনা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়।সেই সময় তিনি রসায়নে ১০০ র মধ্যে ২০ পান। পরীক্ষায় ফেল করে সেই সময় তিনি খুব ভেঙে পড়েছিলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অধ্যাপক বাওয়েন্দি বলেন, ‘পড়াশোনা না করে পরীক্ষা দিতাম, এটাই আমার অভ্যাস। প্রথম পরীক্ষায় এত খারাপ ফল দেখে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেললাম।পরীক্ষায় আমি প্রথম প্রশ্নটি দেখে কিছুই বুঝতে পারিনি, দ্বিতীয় প্রশ্নটি দেখেও বুঝতে পারিনি।’
সেই সময় আমার মনে হয়েছিল যে এটি আমার জীবনের শেষ পরীক্ষা এবং আমাকে এই বিষয়ের জন্য তৈরি করা হয়নি।
বাভেন্দি রসায়ন পছন্দ করতেন কিন্তু পরীক্ষার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হয় সে সম্পর্কে তিনি জানতেন না। সমস্যাটি আবিষ্কৃত হওয়ার সাথে সাথে তিনি সমাধান খোঁজার দিকে মনোনিবেশ করেন। অধ্যাপক বাওয়েন্দি বলেন, ‘আমি কীভাবে পড়াশোনা করতে হয় তা খুঁজে বের করেছি, আগে জানতাম না’। প্রথম পরীক্ষার পর পরবর্তী প্রায় প্রতিটি পরীক্ষায় তিনি ১০০ নম্বরের মধ্যে ১০০ নম্বর পান। বাভেন্দি তরুণদের জন্য একটি ছোট বার্তাও দিয়েছিলেন, ‘পরাজয়ে নিজেদের ধ্বংস হতে দিও না’। প্রফেসর জানান,’আমি প্রথমবার পরীক্ষায় ফেল করে খুব ভেঙে পড়েছিলাম, এই পরাজয় আমাকে ধ্বংস করতে পারত,কিন্তু তারপর আমি ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’
Moungi G.Bawendi ব্যর্থতাকে স্বীকার করে সাফল্যের পথ চলা এক নোবেল জয়ী।তাঁর জীবন আগামী দিনের বহু ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এক প্রেরণা।
আরও পড়ুন
Side effects of vitamin: ভিটামিনের আধিক্য আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে
উত্তরাপথঃ ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে সুস্থ থাকতে হলে শরীরে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন থাকা খুবই জরুরি। ভিটামিন আমাদের সুস্থ করার পাশাপাশি আমাদের সমগ্র শরীরের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে। আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side effects of vitamin)সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সব ধরনের পুষ্টি থাকা খুবই জরুরি। এ কারণেই বয়স্ক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সবাই আমাদেরকে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। সমস্ত পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে সুস্থ করে তোলে। এর মধ্যে ভিটামিন একটি, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়- রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র
সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন। আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়। আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল। আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন
Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে
বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন