আর্জেন্টিনার ‘নতুন মেসি’কে পেতে রিয়াল–পিএসজি–ম্যান সিটির লড়াই

উত্তরাপথ

লাতিন আমেরিকার কিশোর প্রতিভাদের ইউরোপীয় ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে রিয়াল মাদ্রিদের জুড়ি মেলা ভার। বর্তমান দলটার অপরিহার্য অংশ হয়ে যাওয়া ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, ফেদে ভালর্ভেদেরা তো তাঁরই প্রমাণ।ভবিষ্যৎ ভাবনায় ব্রাজিলের নতুন ‘বিস্ময় বালক’ এন্দরিক ফেলিপেকে আগেভাগেই কিনে রেখেছে রিয়াল। আগামী বছরের জুলাইয়ে সাও পাওলোর ক্লাব পালমেইরাস ছেড়ে মাদ্রিদে যাবেন ১৬ বছর বয়সী এন্দরিক। এবার শোনা যাচ্ছে, আর্জেন্টিনার ‘নতুন মেসি’কেও দলে ভেড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে ইউরোপের সফলতম ক্লাবটি।

আর্জেন্টিনার ‘নতুন মেসি’র নাম ক্লদিও এচেভেরি। ইউরোপীয় মিডিয়া এই নাম দিলেও আর্জেন্টাইনরা তাঁকে ‘এল দিয়াব্লিতো’(ছোট্ট অধিপতি) নামে চেনে। দলবদল–বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ‘ফিচাহেস’ বলছে, রিভারপ্লেটের এই বিস্ময় বালকের ওপর পাখির চোখ করে রেখেছে রিয়াল ও ম্যানচেস্টার সিটি। ১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে নিজেদের করে নেওয়ার চেষ্টায় আছে পিএসজিও। আসছে গ্রীষ্মকালীন দলবদলেই এচেভেরির জন্য হতে যাচ্ছে স্প্যানিশ, ইংলিশ ও ফ্রেঞ্চ লিগ চ্যাম্পিয়নদের ত্রিমুখী লড়াই।

মাসে পানামা ও কুরাসাওয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রীতি ম্যাচ খেলেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। সে সময় জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন এচেভেরি। স্বাভাবিকভাবেই ট্রেনিং ক্যাম্পে লিওনেল মেসির সান্নিধ্য পেয়েছেন ‘নতুন মেসি’। বিশেষ দিনটির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এচেভেরি বলেছেন, ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে ট্রেনিংয়ের দিনটি কখনো ভুলব না। মেসির সঙ্গে দেখা হওয়া স্বপ্নপূরণের মতো। এখনো বিশ্বাস হয় না। তিনি কতটা ভালো মানুষ বলে বোঝাতে পারব না। তিনি সবার জন্য উদাহরণ।’অনূর্ধ্ব–১৭ কোপা আমেরিকা (দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ) খেলতে এই মুহূর্তে ইকুয়েডরে আছেন এচেভেরি। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আর্জেন্টিনাকে পরের রাউন্ডে তোলার পেছনে তাঁর অবদানই সবচেয়ে বেশি। নিজে করেছেন ৩ গোল, সতীর্থদের গিয়ে করিয়েছেন ৩টি।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"

ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top